বনের মাঝে চলছে হাতি। কিছুক্ষণ আগে সে প্রচুর লতাপাতা, শিকড় বাকর খেয়েছে। তাই তার প্রচুর পিপাসা লেগেছে। কিন্তু পানির উৎস নদীটা বনের শেষ মাথায়। তাই হাতিটা বন পেরিয়ে নদীর দিকে যাচ্ছে। হঠাৎ হাতি তার একটা পা যেখানে ফেলবে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল একটা বড়োসড়ো কালো পিঁপড়ে। সে চেঁচিয়ে উঠলো হাতি ভাই, এখানে পা ফেলো না। তাহলে আমি তোমার পায়ের তলায় পড়ে মরে যাবো। হাতিটা পিঁপড়ের কথা শুনতে পেলো। সে ভেবে দেখলো, পিঁপড়ে তো ঠিক বলেছে- ওকে আমি মারবো কেন? সে পিঁপড়ে কে বলল, ঠিক আছে বন্ধু, তোমাকে মারতে চাই না। আমি অন্যদিকে পা ফেলছি। পিঁপড়ে বলল, অনেক কৃতজ্ঞতা হাতি ভাই, তুমি যখন আমাকে বন্ধু ডেকেছো, এখন থেকে আমরা সত্যি সত্যি বন্ধু। হাতিও পিঁপড়ের কথায় মাথা ঝাঁকালো। তারা যে যার কাজে চলে গেল। তবে বনে মাঝে মাঝেই হাতির সাথে পিঁপড়ের দেখা হয়ে যেতো। হাতি তখন পিঁপড়েকে পিঠে নিয়ে বনবাদাড়ে বেড়াতে যেতো। এভাবে দিন চলছিল। একদিন বনে এলো এক মস্ত শিকারি। তার হাতে ইয়া বড় এক বন্দুক। সে বনে এসে নানা প্রাণী শিকার করতে লাগলো। একপর্যায়ে সে হাতিটাকে দেখে তাকে গুলি করার জন্য বন্দুক তুললো। পিঁপড়েটা সেই ঘটনা দেখতে পেয়ে সাথে সাথে ছুটে এসে শিকারির পায়ের পাতায় কামড় দিলো। কামড়ের যন্ত্রণায় শিকারির বন্দুকের তাক ছুটে গিয়ে গুলি অন্যদিকে চলে গেল। হাতি তখন দৌড়ে আরও গভীর বনে চলে গিয়ে প্রাণ বাঁচালো। হাতিটা মনে মনে পিঁপড়ে বন্ধুর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ বোধ করলো।