মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্কনীতির কারণে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের অতিরিক্ত প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক।
বিশ্লেষকদের সঙ্গে এক আলোচনায় বৃহস্পতিবার টিম কুক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “শুল্ক নিয়ে প্রশাসন ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেবে তা অনিশ্চিত হওয়ায় বর্তমানে আমরা শুল্কের প্রভাব সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে পারছি না। তবে যদি নতুন করে কোনও শুল্ক আরোপ না হয়, তাহলে আমাদের খরচ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।”
আইফোনসহ প্রতিষ্ঠানটির বহু জনপ্রিয় পণ্যের বড় অংশ চীনে উৎপাদিত হয় এবং সেখান থেকেই বিশ্ববাজারে সরবরাহ করা হয়। তাই চীনের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে অ্যাপল।
গত মাসে চীনের ওপর আরোপ করা প্রতিশোধমূলক শুল্ক পণ্যের তালিকা থেকে স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারকে বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এগুলোর ওপর এখনও তথাকথিত ‘ফেন্টানিল শুল্ক’ হিসেবে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে।
শুল্কযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে অ্যাপল ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য আইফোন উৎপাদনের একটি বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও অ্যাপল ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে আশাতীত বিক্রি দেখেছে অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ প্রান্তিকে তাদের মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৯৫.৪ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। একই সময়ে মুনাফা হয়েছে ২৪.৮ বিলিয়ন ডলার।
এর মধ্যে ওয়াল স্ট্রিটের পূর্বাভাস ছাড়িয়ে শুধু আইফোন বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৬.৮ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুল্কের কারণে ভবিষ্যতে দাম বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় অনেক গ্রাহক আগেভাগেই নতুন আইফোন কিনে নিয়েছেন, যার ফলে বিক্রিতে এই বৃদ্ধি দেখেছে অ্যাপল। তবে অ্যাপলের বিক্রি কিছুটা কমে এসেছে চীনে। ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে চীনে বিক্রি হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য কম। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
বিডি প্রতিদিন/একেএ