বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুর আগ্রাসন

এডিস মশা নিধনের উদ্যোগ নিন

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর রোগীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমন বেড়েছে মৃত্যুর হার। শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও ডেঙ্গুর আগ্রাসন চলছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কমবেশি ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ বছর জানুয়ারিতে ডেঙ্গুজ্বর শুরু হয়েছে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরকে ডেঙ্গু মৌসুম বলা হয়। এ চার মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বর ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীতে এ বছর বিপুলসংখ্যক মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। ঘন ঘন বৃষ্টিপাতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। শীত আসার আগ পর্যন্ত এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব থাকে। শীতকালে এডিস মশা তেমন একটা বংশ বিস্তার করে না। রাজধানীর অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, হাতিরপুল, আজিমপুর কলোনি, পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, বাসাবো, খিলগাঁও, মানিকনগর ও যাত্রাবাড়ীতে ঘাতক রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। বর্ষা বিদায় নেওয়ায় ডেঙ্গুর মৌসুম এ বছর শেষ হওয়ার পথে। তবে বৃষ্টি হলে শীতকালেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির পেছনে মশা নিধনে গাফিলতিকে দায়ী করা হচ্ছে। বিগত সিটি নির্বাচনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মশা নিধনকে তাদের অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। গত তিন বছর মশা নিধনে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিধনে তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুম বিদায় নেওয়ায় এ মুহূর্তে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে এ ভয়াবহ ও কষ্টকর রোগের জীবাণু যাতে আগামীতে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। ডেঙ্গুজ্বরে রাজধানীতে যত মানুষ আক্রান্ত হয়, তার সিংহভাগকে যেহেতু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেহেতু এ রোগ বিস্তারের একটি সাধারণ চিত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে থাকে। কিন্তু সারা দেশে কত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় সে বিষয়টি অন্ধকারে থেকে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানোর একমাত্র পথ এডিস মশার প্রজননে আঘাত হানা। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

ডেঙ্গু বা এডিসবিরোধী লড়াইয়ে যার কোনো বিকল্প নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর