শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯ আপডেট:

পদ্মা সেতু ও কল্পনার মাথা

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
পদ্মা সেতু ও কল্পনার মাথা

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বলা যায়, সিংহভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯২টির কাজ শেষ; ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩০টি ইতিমধ্যে সম্পন্ন। ১৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮১ শতাংশ। সেতু নির্মাণ যখন এই পর্যায়ে তখন একটি দুষ্ট চক্র কী কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল তা আমার বোধগম্যতার বাইরে। এ ধরনের কল্পকাহিনি ছড়ানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। এখনো আমার স্মরণ আছে; আমি অনেক ছোট। সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছি। আমাদের বাড়ি থেকে দুই মাইল দূরে, পূর্বদিকে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাটাখালি ব্রিজ। আমাদের গ্রামের পাশ-ঘেঁষে যাওয়া খালটি নির্মাণাধীন ওই ব্রিজের পরই মিলিত হয়েছে বড় একটি বিলে। ব্রিজের কাছে পৌঁছার আগেই খালের প্রস্থ বাড়তে থাকে এবং ব্রিজটি যেখানে দক্ষিণ দিক থেকে আসা রাস্তাকে উত্তরাংশের সঙ্গে যুক্ত করবে সেখানে পানির বিস্তৃতি অনেক। রাস্তা দক্ষিণে গেছে শহরের দিকে এবং উত্তরে গেছে গাড়ো পাহাড়ে। বড়দের যারা দিনের বেলায় কোনো কাজে, অথবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে সেদিকে যান, ব্রিজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকাজুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তারা তা দেখে আসেন। আমরা বাড়ি থেকে বা স্কুলে থাকার সময়ে ব্রিজের দিক থেকে প্রচ- শব্দ ভেসে আসতে শুনি। বড়রা বলেন, পাইলিংয়ের কাজ চলছে। পাইলিং কী, আমরা ছোটরা তা জানি না। বড়দের অনেকে জানেন না। শুনে শুনে শব্দটি মনে গেঁথে গেছে। প্রতিদিন আমরা এমন শব্দ শুনতে পাই। থেমে থেমে শব্দটা কানে আসে। একই তালে, একই প্রচ-তায়। আমরা আগে কখনো এমন শব্দ শুনিনি। রাতের বেলায় এ শব্দ আর থাকে না। পরদিন আমাদের ঘুম ভাঙে আগের দিন সন্ধ্যায় থেমে যাওয়া শব্দ পুনরায় শোনার জন্য। যারা সেখানে যান তারা গ্রামে ফিরে পরিচিত সবাইকে বলে বেড়ান, কি এলাহি কারবার তিনি দেখে এসেছেন! শ্রোতারা মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনে এবং বাড়ি গিয়ে বউ-ঝিদের বলার সময় প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে শোনা বর্ণনার সঙ্গে বাড়তি রং যোগ করে। বাংলাদেশে কেউ যদি তিলকে তাল বানিয়ে নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে চায়, তাহলে গ্রামের বউ-ঝিদের চেয়ে সেরা মাধ্যম আর নেই। সব গ্রামেই দু-চার জন মহিলা থাকে, যারা ‘পাড়াবেড়ানি’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তাদের অন্য কোনো নাম আমরা জানতাম না। প্রত্যেক গ্রামে কিছু ভিখারিনিও থাকে, যারা প্রতিদিন ভিক্ষা করতে কয়েকটি গ্রামে যায় এবং প্রতিদিনই ক্লান্তির কারণে অথবা ইতিমধ্যে পাড়ায় পাড়ায় শোনা কাহিনি বলার জন্য এর-ওর বাড়ির ছায়ায় বসে, কপালের ঘাম মোছে, কুয়া থেকে পানি তুলে পান করে; এরপর থলে বা কোঁচড়ে গুঁজে রাখা পান-সুপারি বের করে খায়। সেখানে আরও ভিখারিনি থাকে, তারাও পান চিবোয়। ভিখারিনিদের প্রায় সবাই বিধবা এবং ইতিমধ্যে তাদের সন্তানরাও মৃত। তা সত্ত্বে মৃত স্বামীর নামের চেয়ে মৃত সন্তানের মা হিসেবেই তারা পরিচিত। দুজনের নাম এখনো আমার মনে আছে- ‘ঝাটা ম-লের মা’ ও ‘ইন্দুরির মা’। এমন নামের ব্যাপারে আমাদের কোনো কৌতূহল ছিল না। পান চিবোতে চিবোতে তারা তাদের কথার ঝুলি খোলে। ব্রিজ ছাড়া ওই সময় তাদের কথায় নতুন কিছু থাকে না। কারণ, এলাকাজুড়ে সবার মনোযোগের কেন্দ্রস্থল কাটাখালি ব্রিজ। ওইদিন পর্যন্ত যে যা শুনেছে, এক এক করে ওগরাতে শুরু করে। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী কাটাখালিতে ‘মস্তবড় একটি পুল’ বানানোর কাজ চলছে; এত্ত বড় যে, এক মাথা থেকে আরেক মাথা দেখা যায় না (আসলে ব্রিজটি অত দীর্ঘ নয়)। মুভির কাহিনিতে যেমন টুইস্ট থাকে বা নতুন মাত্রার যোগ হয়; কাটাখালি ব্রিজ নির্মাণের কাহিনিতেও ভিন্নমাত্রা যুক্ত হলো। কিছুদিন ধরে ব্রিজের দিক থেকে শব্দ ভেসে আসছিল না। আমাদের অভ্যস্ত কান তা মেনে নিতে পারছে না। কানে কোনো সমস্যা হয়নি তো! লোকজন কথা বলছে, চারপাশে শব্দ হচ্ছে, পাখি কিচিরমিচির করছে- সবই তো শুনতে পাই। নিঃসন্দেহ হওয়ার জন্য বড়দের চোখ এড়িয়ে কবুতরের কোমল পালক সরিষা তেলে চুবিয়ে কানে ঢুকিয়ে ঘোরাই। তবু ব্রিজের দিক থেকে আগের মতো শব্দ আসে না। আমাদের কৌতূহলের অবসান ঘটান ‘ময়ূরের বাপ’। সব গ্রামেই এ ধরনের আজব নামে কেউ না কেউ থাকে। ‘ময়ূরের বাপ’ সুঠাম গড়নের দীর্ঘদেহী মাঝবয়সী ব্যক্তি। কাছের কোনো গ্রামে তার মতো দীর্ঘাকৃতির মানুষ আর দ্বিতীয়টি নেই। তাকে কেন ‘ময়ূরের বাপ’ বলা হয় তা আমরা কোনো দিন জানতে পারিনি। জানার চেষ্টাও করিনি কখনো। পাশের গ্রামের সম্পন্ন কৃষক, সবার আস্থাভাজন ব্যক্তি। তিনি যে কখনো মিথ্যা বলেন না, গ্রামের সব বয়সের মানুষ তা জানে। ব্রিজ থেকে যে শব্দ ভেসে আসত সে সম্পর্কে অনেকেই তাকে বলতে শুনেছেন। যেখানে ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে সেখানে একটি ‘কুর’ (একটি নির্দিষ্ট স্থানে পানির ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্ট গভীর খাদ) আছে, যার কোনো থই (তলা) নেই। এই ‘কুর’ সব বিপত্তির কারণ। সেখানে পাইলিংয়ের (খুঁটি পোতা) জন্য যত খুঁটি পোঁতার চেষ্টা করা হচ্ছে সেই ‘কুর’ সব খুঁটি টেনে নিচ্ছে। অথচ ওই স্থানটিই ব্রিজের কেন্দ্রস্থল, যেখানে পাইলিং করা গেলে কংক্রিটের স্তম্ভ গেঁথে তুলতে আর সমস্যা হবে না। ইঞ্জিনিয়ার, সাব-ইঞ্জিনিয়ার, ওভারশিয়াররা গলদঘর্ম। কী করবেন! হাজারটা ব্রিজ বানিয়েছেন তারা, কোথাও এমন হয়নি। এর মধ্যেই চিফ ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্নযোগে আদেশ পেয়েছেন; ‘রক্ত দাও, রক্ত লাগবে!’ তার অধীনস্থরা কয়েকটি খাসি জবাই করে খাসির রক্ত ‘কুর’-এ ঢালেন। কাজ হয় না। আবার স্বপ্নাদেশ, ‘মানুষের রক্ত লাগবে।’ এসবের সত্যাসত্য কেউ যাচাই করেনি। তবু সবার রক্ত হিম হয়ে যায়। কাহিনিতে বরাবর যা থাকে- এ ধরনের ঘটনায় মানুষের রক্ত চাওয়ার মানে হলো, নিষ্পাপ শিশুর রক্ত লাগবে এবং তা অনিবার্যভাবে ছেলেশিশুর। মেয়েদের রক্ত কোথাও চাওয়া হয়েছে, এমন ঘটনা কেউ কখনো শোনেনি। শিশুরা তো নিষ্পাপই থাকে। পাপ স্পর্শ করার বয়সই তো তাদের হয়নি। আমরা শুনে অভ্যস্ত যে, শিশুকালে কেউ মারা গেলে সে তার মা-বাবাকে নিজ হাতে ধরে পুলসিরাত পার করাবে, মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বেহেশতের বাগানে খেলবে। যাই হোক, মানবশিশুর রক্তের প্রয়োজনের কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সব গ্রামে। গ্রামের হাটেও সবাই ফিসফিসিয়ে একই আলোচনা করে। যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে তারা হাট থেকে সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরতে চেষ্টা করে। ব্রিজের জন্য শিশুর খোঁজে লোকজন নাকি ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বড় ঝোলা কাঁধে ফকিরের বেশে, এলোমেলো ময়লা জটাধারী ছালা পরিহিত পাগলের বেশে।

ঠিক এই সময় ব্রিজের কাছে একটি দুর্ঘটনা ঘটল এবং তা ঘটল আমাদের পরিবারে- আসলে আমার নানার পরিবারে। ব্রিজটি যেখানে নির্মিত হচ্ছিল সেখান থেকে আমাদের গ্রাম দুই মাইল পশ্চিমে, নানাবাড়ি ব্রিজের পূর্বদিকে; ব্রিজের জায়গা থেকে মাইলখানেক উত্তরে। যেহেতু ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছিল, সেজন্য যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজের পশ্চিম দিকে একটি বিকল্প কাঁচা রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। নানা আমার বড় মামা ডা. মহসীন আলীর বড় ছেলে লেবু ভাইকে (তিনি তখন ক্লাস ফাইভ বা সিক্সের ছাত্র, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে কর্মরত চিকিৎসক) নিয়ে বাসযোগে শেরপুর যাচ্ছিলেন। লেবু ভাই শেরপুর ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলে পড়তেন। বিকল্প পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কাটাখালির মুখে পৌঁছতেই বাসটি উল্টে কাটাখালির পানিতে ডুবে যায়। ব্রিজের কাজ থেমে থাকলেও কর্মহীন শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে ছিল; তারা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। নানাকেও উদ্ধার করে। কিন্তু উদ্ধারপ্রাপ্তদের মধ্যে লেবু ভাই ছিলেন না। গুজবের কারণে এবং গুজবজনিত আশঙ্কায় আমার নানা বিলাপ করে লেবু ভাইয়ের নাম ধরে ডাকতে থাকেন। লোকজন আবার পানিতে নামে। পানিতে জাল ফেলে এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পর লেবু ভাইকে জ্ঞানহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন কৌশলে তার পেট থেকে পানি বের করে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। এই দুর্ঘটনার কারণে লেবু ভাইয়ের একটি কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং পরে সেই কানে অপারেশন করাতে হয়েছিল। তার কানের পেছনে অপারেশনের কাটা দাগ এখনো আছে। (এ ঘটনার বহু বছর পর একই স্থানে আমাদের ধানচাল বহনকারী একটি নৌকাও ডুবে গিয়েছিল)। বাস দুর্ঘটনার ফলে এলাকাবাসীর ধারণা আরও বদ্ধমূল হয় যে, ব্রিজের জায়গায় শনির দৃষ্টি পড়েছে। কিছু শিশুর রক্ত ছাড়া ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন করা অসম্ভব ব্যাপার। যে বাড়িতেই শিশু রয়েছে তাদের অভিভাবকদের সতর্কতা আরও বাড়ে। আমাদের বলে দেওয়া হয়, অচেনা কাউকে দেখলে আমরা যাতে কাছে না যাই। কাছে আসতে চেষ্টা করলেই আমরা যাতে দৌড়ে পালাই। তখনকার দিনে ‘ছেলেধরা’ শব্দটিও আমাদের পরিচিত ছিল। আমরা বিশ্বাস করতাম, ছেলেধরারা ফুসলিয়ে ছেলেদের ধরে নিয়ে যায় এবং যেখানেই বড় ধরনের কোনো নির্মাণকাজ হয় সেখানে সমস্যার সৃষ্টি হলে তাদের জবাই করে রক্ত ঢাললেই কাজে আর কোনো সমস্যা থাকে না।

কিছুদিন পর আবার ব্রিজের জায়গা থেকে শব্দ ভেসে আসতে শুনি। আমাদের মুরব্বিরা হা-হুতাশ করেন, ‘না জানি কার বুকের ধনের জীবন গেছে।’ তবে তারা আমাদের জন্য স্বস্তি অনুভব করেন। আমরা আবার স্কুলে যেতে শুরু করি। স্কুলে যাওয়ার সময় দাদি অথবা আম্মা দোয়া পড়ে ‘শরীর বন্ধ’ করে দেন। স্কুল থেকে ফিরলে জামাকাপড় খুলে শরীর পরীক্ষা করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার ‘শরীর বন্ধ’ করেন। আম্মা অথবা দাদি দোয়া পড়ে বুকে ফুঁ দিলে নিজেকে বলবান ভেবে ঘুমিয়ে পড়ি। মুরব্বিদের আমরা বলাবলি করতে শুনেছি, ওপর থেকে বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার কাটাখালি আসেন। ব্রিজ নির্মাণে যে সমস্যা হচ্ছিল বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে তা পরীক্ষা করেন। ‘কুর’-এর ডুবুনি নামান। সমস্যা চিহ্নিত করে আবার নির্মাণকাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। স্বপ্নাদেশ, রক্তের প্রয়োজন ইত্যাদি সবই যে ভুয়া, দুষ্ট লোকদের কারসাজি স্থানীয় লোকজনকে এসব ব্যাখ্যা করেন। আমরাও তা জানতে পারি বড়দের কাছ থেকে। ব্রিজের কাজ পূর্ণোদ্যমে শুরু হয়। সেখান থেকে বাতাসে ভেসে আসা শব্দ শুনেই আমরা বুঝতে পারতাম, ঘটনা যাই হোক, মস্তবড় ফাঁড়া থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। এ ধরনের কাহিনি শুনে শুনেই আমরা বড় হয়েছি। কুসংস্কারের মৃত্যু নেই। সব সমাজে, সভ্যতায় কুসংস্কার ছিল, এখনো আছে; হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতে দেবতাকে প্রসন্ন করতে ‘নরবলি’ প্রাচীনকাল থেকে আচরিত পদ্ধতি। এখন যদিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ, কিন্তু পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। আইন প্রয়োগকারীদের দৃষ্টি এড়িয়ে এখনো নরবলি চলে। ১৯৯২-৯৩ সালে আমি দিল্লির কানহাইয়া নগরে বাস করতাম। একটি খাল দিয়ে যমুনা নদীর পানি শহর ছাড়িয়ে দূরে কৃষিজমিতে নেওয়া হয়। খালটি কানহাইয়া নগরের পাশ-ঘেঁষে গেছে। সকাল-বিকাল একটি সাঁকোর ওপর দিয়ে আমি ওই খাল অতিক্রম করতাম। সেখানে আমার ছয় মাসের অবস্থানকালে তিনটি মু-ুবিহীন লাশ খালের পানিতে ভেসে যেতে দেখেছি। আমার বাড়িওয়ালা মনোহর লাল দং বলেছেন, উজানে বেশকটি মন্দির আছে, যেখানে রাতের অন্ধকারে এখনো নরবলি দেওয়া হয় বলে মানুষের বিশ্বাস। প্রশাসন তত্ত্বতালাশ করে কিছু করতে পারেনি।

সার্বিয়ার নোবেল বিজয়ী সাহিত্যক আইভো অ্যানড্রিচের ‘দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা’ আমার একটি প্রিয় উপন্যাস। উপন্যাসে ষোড়শ শতাব্দীতে অটোমান শাসকদের দ্বারা সার্বিয়ার খরস্রোতা নদী দ্রিনির (ইংরেজিতে ‘দ্রিনা’) ওপর ব্রিজ নির্মাণকে কেন্দ্র করেও এ ধরনের কাহিনির উল্লেখ রয়েছে। অটোমানরা অধিকৃত ভূখ-গুলো থেকে শিশুদের নিয়ে যেত তাদের জন্মভূমি থেকে দূরে বহুদূরে ইস্তাম্বুলে। তারা  দাসতুল্য হলেও প্রশিক্ষণ নিয়ে অটোমান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারত। তাদের অনেকে অটোমান সেনাবাহিনীর উচ্চ পদাধিকারী, এমনকি সেনাপতি পর্যন্ত হয়েছেন। এক বসনীয় কৃষকের পুত্র মোহাম্মদ সো কোলু (গড়যধসসধফ ঝড়“শড়”ষষঁ“) ১৫৬৬ সালে তুরস্কের প্রধান উজির হন এবং ১৫৭৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাম্রাজ্য পরিচালনা করেন। তার তুর্কি নাম ছিল মেহমেদ পাশা সোকোলি। এত ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তার মন পড়ে থাকত বসনিয়ায়। দ্রিনা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করে জন্মস্থানের প্রতি তিনি তার কর্তব্য পালন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনায় কৌশলগত কারণে ব্রিজটির অংশবিশেষ ধ্বংস করেছিল ইউরোপীয় শক্তিগুলো। যুদ্ধ শেষে এর সংস্কার করা হয়। চমৎকারভাবে কাটা পাথর দিয়ে তৈরি ১১টি প্রশস্ত খিলানশোভিত ব্রিজটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই ব্রিজের অস্তিত্বের সঙ্গে একই ধরনের কাহিনি বাস্তব ও কল্পনার মিশেলে চমৎকারভাবে জড়িয়ে আছে। মানুষের মন থেকে এসব কুসংস্কার ও কল্পকাহিনি মুছে ফেলা যায় না। প্রজন্ম পরম্পরায় চলতে থাকে। কিন্তু কেউ স্মরণ করতে পারে না, কার কাছ থেকে এসব শুনেছে বা কখন প্রথম শুনেছে।

কোনো না কোনো কারণে দ্রিনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন কাজ বিঘিœত হচ্ছিল। দিনের বেলায় নির্মাণে যতটুকু অগ্রগতি ঘটে, পরদিন সকালে তা ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখা যায়। এ অবস্থার অবসান ঘটে যখন পানির ভিতর থেকে কোনো কিছু উঠে এসে প্রধান কারিগরের কানে কানে বলে যায়, দুটি যমজ শিশু- স্টোজা ও ওস্টোজাকে খুঁজে বের করে তাদের সেতুর কেন্দ্রস্থলে স্তম্ভের মধ্যে গেঁথে ফেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত ব্রিজের কাজে নিয়োজিত প্রহরীরা যমজ শিশু দুটিকে খুঁজে পায় প্রত্যন্ত এক গ্রামে। তখনো দুগ্ধপোষ্য। উজিরের লোকজন বলপূর্বক তাদের ছিনিয়ে নেয়। শিশু দুটির মা প্রহরীদের পিছু পিছু বিলাপ করতে করতে ব্রিজ পর্যন্ত আসেন এবং তার জানা সব অভিশাপ বর্ষণ করেন। প্রধান কারিগরের সামনে উপস্থিত হয়ে তার সন্তানদের জীবন ভিক্ষা চান।

শিশু দুটিকে সেতুর মূল স্তম্ভে গেঁথে ফেলা হয়, এর অন্যথা হওয়ার উপায় ছিল না। কিন্তু লোকজন বলে যে, প্রধান কারিগর দয়াপরবশ হয়ে স্তম্ভে একটু ফাঁকা জায়গা রাখে, যাতে অসহায় মা তার কোরবানি দেওয়া সন্তানদের খাওয়াতে পারেন। এই করুণ ঘটনার কারণে সেই ফাঁকা জায়গাটির একটি স্থান দিয়ে মায়ের দুধের একটি ক্ষীণ ধারা স্তম্ভের গা বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে শত শত বছর ধরে। শুভ্র ধারা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিখুঁত সেতুটির গাত্র থেকে নির্গত হয়ে পাথরের গায়ে অমোচনীয় দাগ ফেলেছে। লোকজন স্তম্ভ থেকে সেই শুকিয়ে যাওয়া দুধের গুঁড়ো চেঁছে নেয় এবং ওষুধি গুঁড়ো হিসেবে সেসব মহিলার কাছে বিক্রি করে, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর যাদের বুকে দুধ আসেনি। সাধারণ মানুষ শুধু সেগুলোই মনে রাখে ও বলে যেগুলো তারা ধারণ করতে এবং কাহিনিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়। আর বাদবাকি সবকিছু তাদের ওপর গভীর প্রভাব না ফেলেই অতিক্রান্ত হয়, কোনো সূত্রবিহীন স্বাভাবিক ঘটনার মতো, যা কল্পনাকে স্পর্শ করে না অথবা স্মৃতিতেও থাকে না।

বাস্তব ঘটনা যদি ভিন্নরকমও থাকে, তবু মানুষের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে কল্পকাহিনি ডালপালা ছড়ায়। ঘটনাটি ছিল পর্বতের ওপরের একটি গ্রামে এক দরিদ্র বোকাসোকা মেয়ের। সে গৃহপরিচারিকার কাজ করত এবং কারও দ্বারা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। যথাসময়ে কোনো আস্তাবলে সে মৃত যমজ সন্তান প্রসব করে। শিশু দুটিকে কবর দেওয়া হলেও প্রসবের তিন দিন পর দুর্ভাগা মা তার সন্তানদের খোঁজ করতে গ্রামের সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। গ্রামবাসী তাকে সান্ত¡না দিতে ব্যর্থ চেষ্টা করে। তাকে বলে যে, তার সন্তানদের জন্ম হয়েছিল মৃতাবস্থায় এবং তাদের কবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিরামহীন প্রশ্ন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত তারা তার কাছে ব্যাখ্যা করে যে, তুর্কিরা তার সন্তান দুটিকে নিয়ে গেছে ব্রিজ নির্মাণের জায়গায়। মেয়েটি ঘুরতে ঘুরতে ব্রিজের নির্মাণস্থল খুঁজে বের করে। দুর্বোধ্য ভাষায় তার সন্তানদের ব্যাপারে তাদের প্রশ্ন করে। মেয়েটি যখন দেখল যে, সে যা বলতে চাইছে তুর্কিরা তা বুঝতে অক্ষম, তখন মোটা কাপড়ে তৈরি জামার সম্মুখভাগের বোতাম খুলে তাদের তার বেদনায় ভারাক্রান্ত স্ফীত স্তন দেখায়। স্তনের বোঁটা ইতিমধ্যে ফেটে ফেটে যাচ্ছে এবং বোঁটা থেকে দুধ বের হয়ে তার দেহের সম্মুখভাগ ভিজে গেছে। কেউ বুঝতে পারছিল না কী করে মেয়েটিকে সাহায্য করবে অথবা কীভাবে তাকে ব্যাখ্যা করবে যে, তার সন্তানদের সেতুর স্তম্ভে গেঁথে ফেলা হয়নি। সব ধরনের সান্ত¡না বাক্য ও আশ্বাসের পর, গালি ও ধমক দেওয়া সত্ত্বেও মেয়েটি বিক্ষিপ্তভাবে এবং অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ব্রিজের কর্মব্যস্ত জায়গাগুলোয় ঘোরাফেরা ও অনুসন্ধান অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত তারা মেয়েটিকে কোনোভাবে নিপীড়ন না করতে এবং অবাধে ঘোরাফেরা করায় বাধা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যেহেতু কাহিনিটি চালু হয়ে গিয়েছিল যে, তুর্কিরা তার সন্তানদের ব্রিজের স্তম্ভে গেঁথে ফেলেছে, এ কথা কেউ কেউ বিশ্বাস করেছে, আবার অনেকে বিশ্বাস করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ কাহিনি কমবেশি আলোচিত হয়েছে এবং তা বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে।

আমাদের দেশেও এ ধরনের কাহিনি নতুন কিছু নয়। পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে দুষ্টবুদ্ধির কেউ কল্পকাহিনি উদ্ভাবন করলেও তা খুব দোষণীয় নয়। মানুষ কল্পনাপ্রবণ। অলস মস্তিষ্ক আরও বেশি কল্পনার জন্ম দেয়। কল্পনার বিস্তৃতি যাতে ক্ষতির কারণ না ঘটায় সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সতর্ক দৃষ্টি থাকলেই হলো।

লেখক : সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

১৯ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ
১৯ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় নিজ ঘরে মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা
কলাপাড়ায় নিজ ঘরে মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘পরিবেশ রক্ষায় পাট কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ও উদ্ভাবন জরুরি’
‘পরিবেশ রক্ষায় পাট কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ও উদ্ভাবন জরুরি’

২৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

নানা আয়োজনে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা আয়োজনে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঝিনাইদহে প্রবাসী হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে প্রবাসী হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদপত্র
এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদপত্র

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

‘সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন’
‘সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন’

৪১ মিনিট আগে | নগর জীবন

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে ফের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে ফের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানে অর্কেস্ট্রা সংগীতে নির্দেশনা দিয়ে ইতিহাস করলেন ফারিউসেফি
ইরানে অর্কেস্ট্রা সংগীতে নির্দেশনা দিয়ে ইতিহাস করলেন ফারিউসেফি

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাদারীপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, টহল জোরদার
মাদারীপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, টহল জোরদার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাইওয়ান ইস্যু: চীনকে শান্ত করতে দূত পাঠাল জাপান
তাইওয়ান ইস্যু: চীনকে শান্ত করতে দূত পাঠাল জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ ফেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ ফেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ শহরে জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি
নারায়ণগঞ্জ শহরে জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্প-মাদুরো বৈঠকের সম্ভাবনা, ফের নৌযানে হামলায় নিহত ৩
ট্রাম্প-মাদুরো বৈঠকের সম্ভাবনা, ফের নৌযানে হামলায় নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভার ও ধামরাইয়ে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫
সাভার ও ধামরাইয়ে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন
রাজধানীর নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাসিনার মামলার রায় দিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে
হাসিনার মামলার রায় দিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে এনসিপি নেতার মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে এনসিপি নেতার মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়
ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে