বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রিমান্ডে পাঁচ পুলিশ

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য

দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন পুলিশের করণীয় কর্তব্য বলে বিবেচিত। কিন্তু লোভের বশবর্তী হয়ে সেই কর্তব্য ভুলে অপকর্মে জড়িত হওয়ার ঘটনা পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও অহরহ ঘটে। প্রতি বছর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে বিভাগীয় শাস্তিদানের ঘটনা তারই প্রমাণ। অতিসম্প্রতি পুলিশের পাঁচ সদস্য সীমালঙ্ঘনকারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যারা আসামি ছেড়ে দিয়ে আটক ইয়াবা ভাগবাটোয়ারা ও বিক্রির প্রস্তুতির সময় আটক হয়েছেন পুলিশ সদস্যদের হাতে। এমন পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় মাদক আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগরী হাকিম কনক বড়ুয়া তিনজনকে তিন দিন ও দুজনকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এর মধ্যে গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মন্ডল ও নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে তিন দিন করে এবং এপিবিএনের কনস্টেবল মো. রনি মোল্লা ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলামকে দুই দিন করে রিমান্ড দেন। স্মর্তব্য, গুলশান থানার গুদারাঘাট এলাকায় ১১ সেপ্টেম্বর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে তল্লাশি করে ৫৫২ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য ইয়াবাগুলো রেখে আসামিকে ছেড়ে দেন। পরে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দফতরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে আটক ইয়াবা ভাগবাটোয়ারার সময় বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়। পুলিশের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকসহ ধরা পড়ার পর আসামিকে ছেড়ে দিয়ে আটক মাদক নিজেদের মধ্যে ভাগ বণ্টন ও তা বিক্রির চেষ্টা নিঃসন্দেহে এক গুরুতর অভিযোগ। চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্য এমন গর্বিত অপরাধে জড়িত হয়ে পুলিশের সুনামের জন্য যে বিড়ম্বনা ডেকে এনেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করব, পুলিশ বাহিনীর সুনাম রক্ষায় এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। আমরা আশা করব, দোষী পুলিশ সদস্যদের রিমান্ডকালে অপরাধের ইতিবৃত্ত উদ্ঘাটনের সব চেষ্টা করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপকর্মে জড়িত হওয়ার সাহস না পায় তা নিশ্চিত করতেই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর