সোমবার, ২১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ

সরকারের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ভূমিকা কাম্য

সাইবার অপরাধ এখন দেশের অপরাধ জগতের শিরোমণি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই এর শিকার হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। সাইবার অপরাধের শিকার যারা তাদের মধ্যে মাত্র ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ আনুষ্ঠানিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বাদবাকিরা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকেন বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে কোনো প্রতিকার পাবেন কিনা এ সংশয়ে। যারা অভিযোগ করেন তাদের মাত্র ২২ শতাংশ আশানুরূপ ফল পেলেও ৭২ ভাগই প্রতিকার পান না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। সংগঠনটি গত শুক্রবার ১৬৮ জনের ওপর চালানো জরিপের ভিত্তিতে এমন ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের সবাই ২০১৯-২০ সালে সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছিলেন। প্রতিবেদনটিতে সাইবার অপরাধের তুলনামূলক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বলা হয়- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের মতো অপরাধ শীর্ষে রয়েছে। যার হার ২৮ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে এ হার ছিল ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের ঘটনা ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ হলেও এবার তা কমে ১৬.৩১ শতাংশ হয়েছে। যৌন হয়রানিমূলক একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে হয়রানির মাত্রা বেড়েছে। অপরাধের মাত্রায় অনলাইনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনা এবার তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে। তবে এ অপরাধের মাত্রা গতবারের প্রতিবেদনের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে। জরিপ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সর্বাধিক সংখ্যায় সাইবার অপরাধের শিকার এবং ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই নারী। সাইবার অপরাধের প্রতিকারে দেশে আইন থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অদক্ষতায় অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাইবার অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার ঘটনাও কম নয়। এ প্রেক্ষাপটে অপরাধীদের সামাল দিতে সরকারকে আরও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর