‘গাজীপুরে চুরির অপবাদে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা’ খবরটি গতকাল দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়। হতভাগ্য যুবকের নাম হৃদয়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে কিছু মানুষের পশুর মতো নৃশংসতায় নিভে গেল তাঁর প্রাণপ্রদীপ। নিজের কর্মক্ষেত্র গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে বিবস্ত্র করে, দীর্ঘ সময় ধরে আদিম বর্বরতায় পিটিয়ে খুন করেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করলেও পরে অন্য শ্রমিকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে মূল ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে গা-ঢাকা দেয়। এর আগে ৩১ মে দুপুরে রাজধানীর দারুসসালাম এলাকায় দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঘোরাঘুরি, ছিনতাই ও নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। মসজিদের মাইকে এঁদের উপস্থিতির ঘোষণা দেওয়া হলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে পিটিয়ে খুন করে। ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল। পিটিয়ে হত্যার যেন মচ্ছব চলছে। সেই ২০১২-এর ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা, ২০১৯-এর ৭ অক্টোবর বুয়েটে আবরার হত্যা, ২০২৪-এর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ এইচ হলে তোফাজ্জল হত্যা এবং একই দিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম হত্যার ঘটনা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। রেনু বেগম নামের ভাগ্যাহত নারীকেও বিস্মৃত হওয়ার কথা নয়, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই যিনি সন্তানকে রাজধানীর একটি স্কুলে ভর্তির খোঁজখবর নিতে গিয়ে দিনদুপুরে অসংখ্য মানুষের সামনে কিছু মানুষরূপী পশুর হাতে চরম নির্যাতনে নিহত হয়েছিলেন। আমরা কোথায় আছি, আমাদের সন্তানরা কোন সমাজে চলাফেরা করছে-ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। কারণ যে কেউ যে কোনো সময় এমন নির্মমতর অরাজক বর্বরতার শিকার হতে পারি। সমাজ এতটাই অরক্ষিত হয়ে উঠেছে। এ অপরাধপ্রবণতা বন্ধ না হওয়ার দায় সরকারের। কিছু মানুষ আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে। নিছক সন্দেহ অথবা লঘু অপরাধে মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন এমনকি খুন করছে। সমাজ তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সর্বনাশ ঘটে যাচ্ছে। পরে মামলা, গ্রেপ্তার, তদন্ত ইত্যাদি আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলেও তার গতি এতই শ্লথ যে তা নিয়ে অপরাধীরা শঙ্কিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লঘুদণ্ড হয়। গুরুদণ্ড হলে কার্যকর হতে যুগের পর যুগ কেটে যায়। এ কারণেই পিটিয়ে মানুষ মারতেও ওদের হাত কাঁপে না। পরিণামে কঠিন শাস্তির ভীতি তৈরি হয় না। এ ধরনের সব হত্যার বিচার এবং কঠোর দণ্ড বাস্তবায়ন দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করা না হলে এ অপরাধও কমবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বিত তৎপরতায় সর্বোচ্চ সদিচ্ছা ও শক্তি প্রয়োগ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
শিরোনাম
- ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: তিন আসামির স্বীকারোক্তি
- অবশেষে বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ওবামা দম্পতি
- তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না : মীর হেলাল
- ইরাকে নরওয়ের কোম্পানির তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা
- জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব : আসিফ মাহমুদ
- বরিশালে শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার বানাবে যুক্তরাজ্য
- গৃহবধূকে বাস থেকে নামিয়ে নির্যাতন, ৫ নারী কারাগারে
- আওয়ামী লীগ ও নৌকা ফিরিয়ে আনার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : রাশেদ প্রধান
- পাহাড়ে প্রার্থনায় শ্রদ্ধা জানানো হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের
- চিরিরবন্দরে চার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
- আওয়ামী লীগ আমলের ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল: ইসি
- দেশজুড়ে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৭৯৬
- গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- পাথরঘাটায় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- সকল রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: এ্যানি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ
- মেহেরপুরে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে মিলল মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ
- ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ মাসুদের পদত্যাগ