শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১ আপডেট:

মুরাদরা রাজনীতির অভিশাপ- দল থেকেও বাদ দিন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মুরাদরা রাজনীতির অভিশাপ- দল থেকেও বাদ দিন

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুননাহার মুকুলের অডিও ফাঁস হলে গোটা দেশ একজন শিক্ষকের নোংরা, অশালীন কথাবার্তা শুনে স্তম্ভিত হয়েছিল। কলতলার ভাষাকে হার মানানো এমন ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত একজন নারী আর যা-ই হোন দেশসেরা একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পদ দূরে থাক শিক্ষকতা পেশায়ও থাকতে পারেন না। সে সময় তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে গণমাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সবকিছু একে একে নষ্টদের দখলে চলে যাওয়ায় আমরা একটি বিকৃত লোভ-লালসাকবলিত সমাজে বসবাস করার সুবাদে দেখলাম নির্লজ্জের মতো কামরুননাহার মুকুলের মতো নোংরা ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত একদল নর-নারী তার পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন। তার পক্ষে সাফাই গাইলেন। এমন নোংরা ভাষায় যারা অভ্যস্ত তাদের পক্ষে এমন শিষ্টাচারবিবর্জিত অশালীন ভাষার একজন শিক্ষকের পাশে দাঁড়ানো বিচিত্র কিছু নয়। লোভ-লালসা চরিত্রহীনতা বিকৃতি সমাজের এক কুৎসিত কদর্য গা ঘিন ঘিন করা ভয়ংকর চিত্রপট। এ চিত্রপট যারা দিনে দিনে তৈরি করেছেন তারা এ নিয়ে গর্ব করেন। এ নিয়ে তাদের লাজলজ্জা গ্লানি বলে কিছু নেই। মূল্যবোধ আদর্শ নীতি-নৈতিকতা এক কথায় নির্বাসনে দিয়ে, সমাজটাকে তারা আধুনিকতার নামে মধ্যবিত্তের রক্ষণশীলতার দুর্গ ভেঙে দিয়ে, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনকে পদদলিত করে গভীর অন্ধকারে টেনে নিচ্ছেন। মাদকের আগ্রাসন থেকে যৌনবিকৃতির চরম লাম্পট্য এখানে গ্রাস করেছে। ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করলেও আজ পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি। যেন তাকে বহাল তবিয়তে রাখার ব্যবস্থা। সর্বশেষ মহামান্য হাই কোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। ব্যক্তিজীবনে এই শিক্ষিকা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সশস্ত্র ক্যাডারকে। জীবনের পরতে পরতে যখন যাকে ব্যবহার দরকার তখন তাকে ব্যবহার করেই ফায়দা হাসিল করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। এ ধরনের মানুষ কেবল শিক্ষাব্যবস্থা বা সমাজের জন্যই অশুভ নয়, একটি জবাবদিহিমূলক গণমুখী সরকারের জন্যও ভারী বোঝা। কিন্তু দুর্নীতির অর্থের লেনদেন এতটাই শক্তিশালী যে, এদের রক্ষা করতে শাসক দলের অনেকেই তৎপর হয়ে যান প্রকাশ্যে।

ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের কথা থাক। পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কথায় আসি। তিনি ডাক্তার হয়েছিলেন মানুষ হতে পারেননি! এমপি-মন্ত্রী হয়েছিলেন একজন আদর্শিক রাজনৈতিক কর্মী হতেও পারেননি! কথায় কথায় বাবা মতিউর রহমান তালুকদারের সন্তান বলে দম্ভ দেখাতেন। বাপের সুনাম রাখা দূরে থাক প্রমাণ করেছেন পরিবার থেকেও পাঠ নেই। নটর ডেম কলেজে পড়েছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়েছেন, একজন উন্মাদ মাতাল যৌনবিকৃত নষ্ট অসভ্য হয়ে বের হয়েছেন। তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত দিয়ে উন্নাসিক আচরণ করেছেন, তিনি রাজনীতির ভাষা জানেন না, শেখেননি প্রতিপক্ষকে সমালোচনার কৌশল! কলতলার খিস্তি শিখে বেড়ে উঠেছেন তাই কন্যাসম জাইমাকে নোংরা গালি দিয়েছেন। পিতৃতুল্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নোংরা আক্রমণ করেছেন। ঢাবির ছাত্রীদের নোংরা মন্তব্য করে জানান দিয়েছেন তিনি কতটা অন্ধকার জগতের মানুষ। ঢাকা ক্লাবের সদস্যদের মা তুলে গালিগালাজ করে জানিয়েছেন মাকে সম্মান করার শিক্ষাও তিনি পাননি। নায়িকা মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন গা ঘিন ঘিন করে বমি আসে! বুঝিয়েছেন তিনি আজন্ম কুৎসিত কদর্য এক যৌনবিকৃত অমানুষ। ডা. মুরাদ হাসান রাজনীতির অভিশাপ, সমাজের অভিশাপ। বাইরে মানুষের আদল ভিতরে পশুর বাস! তার শাস্তির দন্ড আরও পাওনা বাকি। কেবিনেটকে অভিশাপ ও কলঙ্কমুক্ত করতে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। দল ও সংসদ থেকেও তাকে বিদায় জানাতে হবে। তার সীমাহীন অসভ্যতা নোংরামি ও ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকাই নেয়নি, প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন কঠিন পদক্ষেপ। গণমাধ্যমকেও আজ নিজেদের দিকে তাকাতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে তার এত কর্মকান্ড নিয়ে কোথাও কেউ কেন একটি প্রতিবেদনও করতে পারেনি?

একটা বানর একটা বাগান নষ্ট করতে যথেষ্ট। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিস্ময়কর উন্নয়নের বাংলাদেশে আজ সব ইমেজে আঁচড় বসিয়ে সরকারকে বিতর্কিত করতে একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে যথেষ্ট গত কিছুদিন ধরে তার লাগামহীন কথাবার্তা ও উন্নাসিক দাম্ভিক আচরণে প্রমাণ করে দিয়েছেন। যেভাবে একের পর এক বিকৃত অশালীন বক্তব্য আর অস্বাভাবিক আচরণে ভাইরাল হয়েছে তাতে নিজেকেই মাটিতে শুইয়ে দেননি, সরকারকেও ঝাঁকুনি দিয়েছেন। ধর্মানুরাগী মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত তথা সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসে তিনি থেমে যাননি। যেন বিতর্কের কাঙাল হয়ে পড়েন। তার পিতা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। আদর্শ পিতার সুসন্তান না কুসন্তান- তার কর্মকান্ডে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একজন পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার সন্তান হিসেবে ডা. মুরাদ হাসানকে দলের মনোনয়ন দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন। তার আচরণের কারণে এক দফা তাকে বাদ দিতে হয়েছে। আবার এমপি বানিয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী করলেও সেখানে তাকে বেশিদিন রাখা যায়নি। মিডিয়াবান্ধব তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের অধীনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করেন। কিন্তু ডা. মুরাদ হাসান প্রমাণ করেছেন পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগের সন্তান হলেই রাজনীতিতে সফল হওয়া যায় না। পরিপক্বতা অর্জন করতে না পারলে ভদ্র, বিনয়ী না হলে, অর্বাচীন নাবালক হয়েই থাকতে হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগারদের সন্তান হিসেবে মুজিবকন্যা যাদের দলের পদ থেকে নানা দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেকে সফল হলেও কেউ কেউ অর্বাচীন নাবালকের মতো দল ও সরকারের ইমেজ নষ্ট করছেন। লোভ-লালসা দম্ভ উন্নাসিকতা একেকজনকে মাটিতে পা ফেলতে দেয়নি। চিরকাল যে দল ক্ষমতায় থাকবে না এবং জনগণকে অসন্তুষ্ট করে যে রাজনীতি সুখকর হয় না এই শুভবুদ্ধির উদয়ও তাদের হচ্ছে না। ডা. মুরাদ হাসানের নোংরা আক্রমণাত্মক ভাষার ছোবল থেকে তার পিতার বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও রেহাই পাননি। রাজনীতিতে মতের দ্বিমত থাকলে প্রতিপক্ষের সমালোচনা করা যায়, তাই বলে শালীনতার সব পর্দা ছিঁড়ে ফেলে নয়। নোংরা, অশালীন, অশোভন ভাষা প্রয়োগ করে নয়। নোংরা, কুৎসিত গালি দিয়ে নয়। এ শিক্ষা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীকে তার নেতৃবৃন্দও দেন না। বক্তৃতা একটা আর্ট, যা মানুষকে টানে। পাগলের চিৎকার নয়, উন্মাদের প্রলাপ নয় যে, লোকে হাসবে বা জনগণ ক্ষুব্ধ হবে। অথচ ডা. মুরাদ হাসান ঔদ্ধত্য নিয়ে মিথ্যাচার করে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে যখন যা তা বলছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে যখন রাজনীতিতে একটি ইস্যু তৈরি হয়েছে এবং কখনোসখনো উত্তেজনাও তৈরি হচ্ছে ঠিক তখন তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান যে নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন সেটি একজন সুস্থ মানুষের ভাষা হতে পারে না। একজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর ভাষাও হতে পারে না। আর একজন প্রতিমন্ত্রী এমপির ভাষা হলে দলীয়ভাবে তার জন্য শাস্তি অনিবার্য হওয়া উচিত। এটা ভদ্রলোকের ভাষা নয়। এটা কলতলার খিস্তিখেউর। একজন প্রতিমন্ত্রীর ভাষা এমন হলে তার সরকার, রাজনৈতিক দল ও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি করতে সময় নেবে না। এ ধরনের মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী তা-ই করেছেন। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর জাতির বেদনাবিধুর আগস্ট হত্যাকান্ডের মীরজাফর খুনি মোশতাকের ডান হাত ছিলেন। এরশাদের তথ্যমন্ত্রী চীনপন্থি আনোয়ার জাহিদ ঝাড়ুদার মন্ত্রী হয়েছিলেন। ওদের বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্লজ্জতার পর ডা. মুরাদ হাসান ছাড়া এমন বিকৃত অশোভন নোংরা মানসিকতার ও নারীবিদ্বেষী মন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আসেনি। পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির টেলি কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়েছে যেখানে কান রাখা দায়। পরিবারের সবাই মিলে একজন মন্ত্রীর ভাষ্য শোনার উপায় ছিল না। তরুণ প্রজন্ম দেখছে একজন প্রতিমন্ত্রী কত নিম্নরুচির হতে পারেন! নায়ক ইমনের মোবাইলে নায়িকা মাহিকে যে নোংরা কদর্য ভাষায় মুরাদ কথা বলেছেন তা জঘন্য ও ভয়ংকর। এমন মানুষ আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলের মন্ত্রিসভায় দূরে থাক, সাধারণ সদস্য পদেও থাকতে পারেন না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মন্ত্রিত্বের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যা খুশি তা করে বেড়ানোর এখতিয়ার তাকে সংবিধানও দেয়নি। তার আচার-আচরণ ও কথাবার্তা সংবিধানেরও চরম লঙ্ঘন। এই প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ক্লাবে চরম অশোভন আচরণ করেছেন। তার এ আচরণের প্রতিবাদে সদস্যরা মুখর হয়ে উঠলে তাকে সেখান থেকে বের করেই দেওয়া হয়নি, ক্লাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে! আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে তার কর্মকান্ড চরম অসন্তোষ তৈরি করছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মুরাদের বক্তব্য দল ও সরকারের বক্তব্য নয়। এটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তিনি এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। ওবায়দুল কাদের কথা রেখেছেন। আমরা আশা করতেই পারি, এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত, শালীনতার সীমানা লঙ্ঘনকারী অসভ্য, অভদ্র ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না। দল থেকেও বিদায় জানিয়ে সারা দেশের নেতা-কর্মীকে সজাগ ও সতর্ক করে দেবেন। অপরিপক্ব দাম্ভিকদের পতন অনিবার্য।

সারা দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও তাদের কর্মীরা তৃণমূলে স্বতন্ত্র পরিচয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হচ্ছেন। অনেক জায়গায় বিজয়ী হচ্ছেন। ১৫ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতায় নেই। এলাকায় তাদের মন্ত্রী-এমপি নেই। দলীয়ভাবে তারা নির্বাচনও করছে না। কিন্তু তাদের প্রার্থীরা অনেক জায়গায় বিজয়ী হচ্ছেন, অনেক জায়গায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন। ক্ষমতানির্ভর আওয়ামী লীগ ১৩ বছরে ক্লান্ত হয়েছে নাকি ক্ষমতার দম্ভে আকাশে উড়ছে, নাকি দলাদলি কোন্দলে সংগঠনকে এতটাই দুর্বল ও গণবিচ্ছিন্ন করেছে যে তিন ধাপে সম্পন্ন ইউপি নির্বাচনে ২ হাজার ১৯০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা ৮৭১টিতে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেছেন। বাঘা বাঘা মন্ত্রী, এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এলাকায়ও এ পরাজয় দেখতে হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা, কোথাও বা বিজয় ছিনিয়ে আনা, কোথাও বা সহিংসতায় রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। প্রান্তিক পর্যন্ত এটা দৃশ্যমান হয়েছে যে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের হিসাবে এতটাই ব্যস্ত যে না দল গুছিয়েছেন না জনগণকে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার বিশাল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ তুলে ধরে গণসম্পৃক্ত করে তুলেছেন। কোনো কোনো জেলায় অতিশয় দুর্বল নেতৃত্ব কখনো কমিটি বাণিজ্য কখনো বা নির্লজ্জ মনোনয়ন বাণিজ্যে অভিশপ্ত হয়েছেন। মাঝখানে ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝিরা করুণ পরাজয় বরণ করেছেন। অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে থাক জামানত হারানোরও রেকর্ড গড়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরের নয়টি ইউনিয়নের একটিতেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়নি। ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চারটিতে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে দুটিতে ও সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে ৫৭ ভোটে হেরেছেন। চারটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন। আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী জিতলেও জামানত হারিয়েছেন চারটিতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন দুটিতে। নেতৃত্ব সেখানে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের বদলে নিজেদের আখের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সংগঠন ও নেতৃত্ব তৈরি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। বিগত জেলা কমিটি নিয়েই রয়েছে হাজারো বিতর্ক। একই ছায়া সারা দেশেই পড়েছে। ঝিনাইদহে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। বিএনপি এটি নিয়ে সরকারি দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শামসুজ্জামান দুদুর মতো নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ হিজড়াদের কাছে হেরে যায়! পশ্চিমা দুনিয়ায় ওরা মানুষ বলে সম্মানের সঙ্গে স্বীকৃত। এ দেশেও তাদের সব নাগরিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের তাচ্ছিল্য একজন রাজনীতিবিদের জন্য দেউলিয়াত্ব ছাড়া কিছু নয়। হীন মানসিকতারও বহিঃপ্রকাশ। এ মানসিকতা থেকে বের না হলে মানবিক রাজনীতি দেশে কোনো দিন আলোর মুখ দেখবে না।

যাই হোক, আওয়ামী লীগের জন্য আগামী দিনের নির্বাচন ও ক্ষমতার রাজনীতি সামনে রেখে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির পথে ইউপি নির্বাচনসহ সামগ্রিক পরিস্থিতির চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে সংগঠনকে সারা দেশে কীভাবে গণমুখী পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্বে সাজানো যায়, কীভাবে বিতর্কের বাইরে থাকা ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে নামানো যায় এবং কীভাবে দলকে একদিকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালীকরণ এবং অন্যদিকে জনগণকে সম্পৃক্ত করবে সে উদ্যোগ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সব থেকে বড় শক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো সরকার-প্রধানের বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও জনপ্রিয়তা। এর ওপর ভর করে এ চ্যালেঞ্জে নেতৃত্ব কীভাবে উত্তরণ ঘটাবেন সেটিই দেখার অপেক্ষা সামনে। তার আগে দল ও সরকারের বোঝা হয়ে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বা অপসারণ করে ইমেজ পুনরুদ্ধার করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা দেশজুড়ে আজ সবাই আওয়ামী লীগ। চাটুকার, সুবিধাবাদিতে ভরে গেছে দল। দুঃসময়ের পথের সাথীরা ছিটকে পড়েছে। সুসময়ের ভয়ংকর বন্ধুরা জুটে গেছে। একখানা দেয়াল তুলে দিয়েছে তেলের নহর বইয়ে দিয়ে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
সর্বশেষ খবর
সুদানে আরএসএফের হামলায় রাজধানী থেকে পালিয়েছে ৩২৪০ পরিবার
সুদানে আরএসএফের হামলায় রাজধানী থেকে পালিয়েছে ৩২৪০ পরিবার

৪৪ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

৫৪ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

১ মিনিট আগে | জাতীয়

স্বামী-স্ত্রী সেজে আসামি ধরলেন দুই পুরুষ পুলিশ সদস্য
স্বামী-স্ত্রী সেজে আসামি ধরলেন দুই পুরুষ পুলিশ সদস্য

৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ইজিবাইকের মোটরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু
ইজিবাইকের মোটরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক মেয়র আইভীর হাইকোর্টে জামিন
সাবেক মেয়র আইভীর হাইকোর্টে জামিন

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

‘সুনামগঞ্জের ধান-চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক কম’
‘সুনামগঞ্জের ধান-চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক কম’

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় নিহত ৪, আহত ১৩
যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় নিহত ৪, আহত ১৩

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করে ঐকমত্য হয় না : আমীর খসরু
রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করে ঐকমত্য হয় না : আমীর খসরু

২৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন বন্ধ

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় থামছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ, বিপাকে ক্রেতা
বগুড়ায় থামছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ, বিপাকে ক্রেতা

৩১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

পিএসসি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান নিক্ষেপ
পিএসসি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান নিক্ষেপ

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘রাজনীতি করতে হলে শরীরের চেয়ে কলিজা বড় হতে হয়’
‘রাজনীতি করতে হলে শরীরের চেয়ে কলিজা বড় হতে হয়’

৩৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাইবান্ধায় ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৩

৪৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উচ্চ মাধ্যমিকে টেস্ট পরীক্ষা ‘আপাতত’ নয়
উচ্চ মাধ্যমিকে টেস্ট পরীক্ষা ‘আপাতত’ নয়

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে ২০৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার: বিজিবি
অক্টোবরে ২০৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার: বিজিবি

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শেরপুরে জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার
শেরপুরে জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক
৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বায়ুদূষণ রোধে মানববন্ধন
সাভারে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বায়ুদূষণ রোধে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে গণভোট নয়, ভোটের দিনেই গণভোট হবে : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের আগে গণভোট নয়, ভোটের দিনেই গণভোট হবে : মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রায়পুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি
রায়পুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ সালে ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ দিন ছুটি
২০২৬ সালে ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ দিন ছুটি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কলেজের মেয়েরা তো প্রতি সপ্তাহেই বয়ফ্রেন্ড বদলায়: রাভিনা
কলেজের মেয়েরা তো প্রতি সপ্তাহেই বয়ফ্রেন্ড বদলায়: রাভিনা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রেসক্লাব বাঞ্ছারামপুরের নতুন কমিটি গঠন
প্রেসক্লাব বাঞ্ছারামপুরের নতুন কমিটি গঠন

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা