শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১ আপডেট:

মুরাদরা রাজনীতির অভিশাপ- দল থেকেও বাদ দিন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মুরাদরা রাজনীতির অভিশাপ- দল থেকেও বাদ দিন

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুননাহার মুকুলের অডিও ফাঁস হলে গোটা দেশ একজন শিক্ষকের নোংরা, অশালীন কথাবার্তা শুনে স্তম্ভিত হয়েছিল। কলতলার ভাষাকে হার মানানো এমন ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত একজন নারী আর যা-ই হোন দেশসেরা একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পদ দূরে থাক শিক্ষকতা পেশায়ও থাকতে পারেন না। সে সময় তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে গণমাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সবকিছু একে একে নষ্টদের দখলে চলে যাওয়ায় আমরা একটি বিকৃত লোভ-লালসাকবলিত সমাজে বসবাস করার সুবাদে দেখলাম নির্লজ্জের মতো কামরুননাহার মুকুলের মতো নোংরা ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত একদল নর-নারী তার পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন। তার পক্ষে সাফাই গাইলেন। এমন নোংরা ভাষায় যারা অভ্যস্ত তাদের পক্ষে এমন শিষ্টাচারবিবর্জিত অশালীন ভাষার একজন শিক্ষকের পাশে দাঁড়ানো বিচিত্র কিছু নয়। লোভ-লালসা চরিত্রহীনতা বিকৃতি সমাজের এক কুৎসিত কদর্য গা ঘিন ঘিন করা ভয়ংকর চিত্রপট। এ চিত্রপট যারা দিনে দিনে তৈরি করেছেন তারা এ নিয়ে গর্ব করেন। এ নিয়ে তাদের লাজলজ্জা গ্লানি বলে কিছু নেই। মূল্যবোধ আদর্শ নীতি-নৈতিকতা এক কথায় নির্বাসনে দিয়ে, সমাজটাকে তারা আধুনিকতার নামে মধ্যবিত্তের রক্ষণশীলতার দুর্গ ভেঙে দিয়ে, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনকে পদদলিত করে গভীর অন্ধকারে টেনে নিচ্ছেন। মাদকের আগ্রাসন থেকে যৌনবিকৃতির চরম লাম্পট্য এখানে গ্রাস করেছে। ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করলেও আজ পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি। যেন তাকে বহাল তবিয়তে রাখার ব্যবস্থা। সর্বশেষ মহামান্য হাই কোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। ব্যক্তিজীবনে এই শিক্ষিকা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সশস্ত্র ক্যাডারকে। জীবনের পরতে পরতে যখন যাকে ব্যবহার দরকার তখন তাকে ব্যবহার করেই ফায়দা হাসিল করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। এ ধরনের মানুষ কেবল শিক্ষাব্যবস্থা বা সমাজের জন্যই অশুভ নয়, একটি জবাবদিহিমূলক গণমুখী সরকারের জন্যও ভারী বোঝা। কিন্তু দুর্নীতির অর্থের লেনদেন এতটাই শক্তিশালী যে, এদের রক্ষা করতে শাসক দলের অনেকেই তৎপর হয়ে যান প্রকাশ্যে।

ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের কথা থাক। পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কথায় আসি। তিনি ডাক্তার হয়েছিলেন মানুষ হতে পারেননি! এমপি-মন্ত্রী হয়েছিলেন একজন আদর্শিক রাজনৈতিক কর্মী হতেও পারেননি! কথায় কথায় বাবা মতিউর রহমান তালুকদারের সন্তান বলে দম্ভ দেখাতেন। বাপের সুনাম রাখা দূরে থাক প্রমাণ করেছেন পরিবার থেকেও পাঠ নেই। নটর ডেম কলেজে পড়েছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়েছেন, একজন উন্মাদ মাতাল যৌনবিকৃত নষ্ট অসভ্য হয়ে বের হয়েছেন। তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত দিয়ে উন্নাসিক আচরণ করেছেন, তিনি রাজনীতির ভাষা জানেন না, শেখেননি প্রতিপক্ষকে সমালোচনার কৌশল! কলতলার খিস্তি শিখে বেড়ে উঠেছেন তাই কন্যাসম জাইমাকে নোংরা গালি দিয়েছেন। পিতৃতুল্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নোংরা আক্রমণ করেছেন। ঢাবির ছাত্রীদের নোংরা মন্তব্য করে জানান দিয়েছেন তিনি কতটা অন্ধকার জগতের মানুষ। ঢাকা ক্লাবের সদস্যদের মা তুলে গালিগালাজ করে জানিয়েছেন মাকে সম্মান করার শিক্ষাও তিনি পাননি। নায়িকা মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন গা ঘিন ঘিন করে বমি আসে! বুঝিয়েছেন তিনি আজন্ম কুৎসিত কদর্য এক যৌনবিকৃত অমানুষ। ডা. মুরাদ হাসান রাজনীতির অভিশাপ, সমাজের অভিশাপ। বাইরে মানুষের আদল ভিতরে পশুর বাস! তার শাস্তির দন্ড আরও পাওনা বাকি। কেবিনেটকে অভিশাপ ও কলঙ্কমুক্ত করতে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। দল ও সংসদ থেকেও তাকে বিদায় জানাতে হবে। তার সীমাহীন অসভ্যতা নোংরামি ও ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকাই নেয়নি, প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন কঠিন পদক্ষেপ। গণমাধ্যমকেও আজ নিজেদের দিকে তাকাতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে তার এত কর্মকান্ড নিয়ে কোথাও কেউ কেন একটি প্রতিবেদনও করতে পারেনি?

একটা বানর একটা বাগান নষ্ট করতে যথেষ্ট। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিস্ময়কর উন্নয়নের বাংলাদেশে আজ সব ইমেজে আঁচড় বসিয়ে সরকারকে বিতর্কিত করতে একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে যথেষ্ট গত কিছুদিন ধরে তার লাগামহীন কথাবার্তা ও উন্নাসিক দাম্ভিক আচরণে প্রমাণ করে দিয়েছেন। যেভাবে একের পর এক বিকৃত অশালীন বক্তব্য আর অস্বাভাবিক আচরণে ভাইরাল হয়েছে তাতে নিজেকেই মাটিতে শুইয়ে দেননি, সরকারকেও ঝাঁকুনি দিয়েছেন। ধর্মানুরাগী মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত তথা সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসে তিনি থেমে যাননি। যেন বিতর্কের কাঙাল হয়ে পড়েন। তার পিতা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। আদর্শ পিতার সুসন্তান না কুসন্তান- তার কর্মকান্ডে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একজন পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার সন্তান হিসেবে ডা. মুরাদ হাসানকে দলের মনোনয়ন দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন। তার আচরণের কারণে এক দফা তাকে বাদ দিতে হয়েছে। আবার এমপি বানিয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী করলেও সেখানে তাকে বেশিদিন রাখা যায়নি। মিডিয়াবান্ধব তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের অধীনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করেন। কিন্তু ডা. মুরাদ হাসান প্রমাণ করেছেন পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগের সন্তান হলেই রাজনীতিতে সফল হওয়া যায় না। পরিপক্বতা অর্জন করতে না পারলে ভদ্র, বিনয়ী না হলে, অর্বাচীন নাবালক হয়েই থাকতে হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগারদের সন্তান হিসেবে মুজিবকন্যা যাদের দলের পদ থেকে নানা দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেকে সফল হলেও কেউ কেউ অর্বাচীন নাবালকের মতো দল ও সরকারের ইমেজ নষ্ট করছেন। লোভ-লালসা দম্ভ উন্নাসিকতা একেকজনকে মাটিতে পা ফেলতে দেয়নি। চিরকাল যে দল ক্ষমতায় থাকবে না এবং জনগণকে অসন্তুষ্ট করে যে রাজনীতি সুখকর হয় না এই শুভবুদ্ধির উদয়ও তাদের হচ্ছে না। ডা. মুরাদ হাসানের নোংরা আক্রমণাত্মক ভাষার ছোবল থেকে তার পিতার বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও রেহাই পাননি। রাজনীতিতে মতের দ্বিমত থাকলে প্রতিপক্ষের সমালোচনা করা যায়, তাই বলে শালীনতার সব পর্দা ছিঁড়ে ফেলে নয়। নোংরা, অশালীন, অশোভন ভাষা প্রয়োগ করে নয়। নোংরা, কুৎসিত গালি দিয়ে নয়। এ শিক্ষা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীকে তার নেতৃবৃন্দও দেন না। বক্তৃতা একটা আর্ট, যা মানুষকে টানে। পাগলের চিৎকার নয়, উন্মাদের প্রলাপ নয় যে, লোকে হাসবে বা জনগণ ক্ষুব্ধ হবে। অথচ ডা. মুরাদ হাসান ঔদ্ধত্য নিয়ে মিথ্যাচার করে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে যখন যা তা বলছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে যখন রাজনীতিতে একটি ইস্যু তৈরি হয়েছে এবং কখনোসখনো উত্তেজনাও তৈরি হচ্ছে ঠিক তখন তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান যে নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন সেটি একজন সুস্থ মানুষের ভাষা হতে পারে না। একজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর ভাষাও হতে পারে না। আর একজন প্রতিমন্ত্রী এমপির ভাষা হলে দলীয়ভাবে তার জন্য শাস্তি অনিবার্য হওয়া উচিত। এটা ভদ্রলোকের ভাষা নয়। এটা কলতলার খিস্তিখেউর। একজন প্রতিমন্ত্রীর ভাষা এমন হলে তার সরকার, রাজনৈতিক দল ও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি করতে সময় নেবে না। এ ধরনের মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী তা-ই করেছেন। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর জাতির বেদনাবিধুর আগস্ট হত্যাকান্ডের মীরজাফর খুনি মোশতাকের ডান হাত ছিলেন। এরশাদের তথ্যমন্ত্রী চীনপন্থি আনোয়ার জাহিদ ঝাড়ুদার মন্ত্রী হয়েছিলেন। ওদের বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্লজ্জতার পর ডা. মুরাদ হাসান ছাড়া এমন বিকৃত অশোভন নোংরা মানসিকতার ও নারীবিদ্বেষী মন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আসেনি। পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির টেলি কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়েছে যেখানে কান রাখা দায়। পরিবারের সবাই মিলে একজন মন্ত্রীর ভাষ্য শোনার উপায় ছিল না। তরুণ প্রজন্ম দেখছে একজন প্রতিমন্ত্রী কত নিম্নরুচির হতে পারেন! নায়ক ইমনের মোবাইলে নায়িকা মাহিকে যে নোংরা কদর্য ভাষায় মুরাদ কথা বলেছেন তা জঘন্য ও ভয়ংকর। এমন মানুষ আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলের মন্ত্রিসভায় দূরে থাক, সাধারণ সদস্য পদেও থাকতে পারেন না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মন্ত্রিত্বের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যা খুশি তা করে বেড়ানোর এখতিয়ার তাকে সংবিধানও দেয়নি। তার আচার-আচরণ ও কথাবার্তা সংবিধানেরও চরম লঙ্ঘন। এই প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ক্লাবে চরম অশোভন আচরণ করেছেন। তার এ আচরণের প্রতিবাদে সদস্যরা মুখর হয়ে উঠলে তাকে সেখান থেকে বের করেই দেওয়া হয়নি, ক্লাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে! আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে তার কর্মকান্ড চরম অসন্তোষ তৈরি করছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মুরাদের বক্তব্য দল ও সরকারের বক্তব্য নয়। এটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তিনি এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। ওবায়দুল কাদের কথা রেখেছেন। আমরা আশা করতেই পারি, এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত, শালীনতার সীমানা লঙ্ঘনকারী অসভ্য, অভদ্র ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না। দল থেকেও বিদায় জানিয়ে সারা দেশের নেতা-কর্মীকে সজাগ ও সতর্ক করে দেবেন। অপরিপক্ব দাম্ভিকদের পতন অনিবার্য।

সারা দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও তাদের কর্মীরা তৃণমূলে স্বতন্ত্র পরিচয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হচ্ছেন। অনেক জায়গায় বিজয়ী হচ্ছেন। ১৫ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতায় নেই। এলাকায় তাদের মন্ত্রী-এমপি নেই। দলীয়ভাবে তারা নির্বাচনও করছে না। কিন্তু তাদের প্রার্থীরা অনেক জায়গায় বিজয়ী হচ্ছেন, অনেক জায়গায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন। ক্ষমতানির্ভর আওয়ামী লীগ ১৩ বছরে ক্লান্ত হয়েছে নাকি ক্ষমতার দম্ভে আকাশে উড়ছে, নাকি দলাদলি কোন্দলে সংগঠনকে এতটাই দুর্বল ও গণবিচ্ছিন্ন করেছে যে তিন ধাপে সম্পন্ন ইউপি নির্বাচনে ২ হাজার ১৯০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা ৮৭১টিতে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেছেন। বাঘা বাঘা মন্ত্রী, এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এলাকায়ও এ পরাজয় দেখতে হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা, কোথাও বা বিজয় ছিনিয়ে আনা, কোথাও বা সহিংসতায় রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। প্রান্তিক পর্যন্ত এটা দৃশ্যমান হয়েছে যে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের হিসাবে এতটাই ব্যস্ত যে না দল গুছিয়েছেন না জনগণকে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার বিশাল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ তুলে ধরে গণসম্পৃক্ত করে তুলেছেন। কোনো কোনো জেলায় অতিশয় দুর্বল নেতৃত্ব কখনো কমিটি বাণিজ্য কখনো বা নির্লজ্জ মনোনয়ন বাণিজ্যে অভিশপ্ত হয়েছেন। মাঝখানে ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝিরা করুণ পরাজয় বরণ করেছেন। অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে থাক জামানত হারানোরও রেকর্ড গড়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরের নয়টি ইউনিয়নের একটিতেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়নি। ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চারটিতে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে দুটিতে ও সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে ৫৭ ভোটে হেরেছেন। চারটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন। আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী জিতলেও জামানত হারিয়েছেন চারটিতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন দুটিতে। নেতৃত্ব সেখানে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের বদলে নিজেদের আখের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সংগঠন ও নেতৃত্ব তৈরি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। বিগত জেলা কমিটি নিয়েই রয়েছে হাজারো বিতর্ক। একই ছায়া সারা দেশেই পড়েছে। ঝিনাইদহে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। বিএনপি এটি নিয়ে সরকারি দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শামসুজ্জামান দুদুর মতো নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ হিজড়াদের কাছে হেরে যায়! পশ্চিমা দুনিয়ায় ওরা মানুষ বলে সম্মানের সঙ্গে স্বীকৃত। এ দেশেও তাদের সব নাগরিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের তাচ্ছিল্য একজন রাজনীতিবিদের জন্য দেউলিয়াত্ব ছাড়া কিছু নয়। হীন মানসিকতারও বহিঃপ্রকাশ। এ মানসিকতা থেকে বের না হলে মানবিক রাজনীতি দেশে কোনো দিন আলোর মুখ দেখবে না।

যাই হোক, আওয়ামী লীগের জন্য আগামী দিনের নির্বাচন ও ক্ষমতার রাজনীতি সামনে রেখে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির পথে ইউপি নির্বাচনসহ সামগ্রিক পরিস্থিতির চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে সংগঠনকে সারা দেশে কীভাবে গণমুখী পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্বে সাজানো যায়, কীভাবে বিতর্কের বাইরে থাকা ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে নামানো যায় এবং কীভাবে দলকে একদিকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালীকরণ এবং অন্যদিকে জনগণকে সম্পৃক্ত করবে সে উদ্যোগ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সব থেকে বড় শক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো সরকার-প্রধানের বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও জনপ্রিয়তা। এর ওপর ভর করে এ চ্যালেঞ্জে নেতৃত্ব কীভাবে উত্তরণ ঘটাবেন সেটিই দেখার অপেক্ষা সামনে। তার আগে দল ও সরকারের বোঝা হয়ে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বা অপসারণ করে ইমেজ পুনরুদ্ধার করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা দেশজুড়ে আজ সবাই আওয়ামী লীগ। চাটুকার, সুবিধাবাদিতে ভরে গেছে দল। দুঃসময়ের পথের সাথীরা ছিটকে পড়েছে। সুসময়ের ভয়ংকর বন্ধুরা জুটে গেছে। একখানা দেয়াল তুলে দিয়েছে তেলের নহর বইয়ে দিয়ে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বতমালা, বয়স ৩.৬ বিলিয়ন বছর!
বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বতমালা, বয়স ৩.৬ বিলিয়ন বছর!

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসকে সাইড দিতে গিয়ে দোকানে উঠে গেল কাভার্ডভ্যান, দোকানির মৃত্যু
বাসকে সাইড দিতে গিয়ে দোকানে উঠে গেল কাভার্ডভ্যান, দোকানির মৃত্যু

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে কৃষকদের সার-বীজ বিতরণ
বাগেরহাটে কৃষকদের সার-বীজ বিতরণ

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বে ক্ষুধার্ত খাদ্য সংগ্রহে ঘাটতি ১৩ বিলিয়ন ডলার: জাতিংসঘ
বিশ্বে ক্ষুধার্ত খাদ্য সংগ্রহে ঘাটতি ১৩ বিলিয়ন ডলার: জাতিংসঘ

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরান খানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে মুশফিক
ইমরান খানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে মুশফিক

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনশেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২
দিনশেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ফিরলেন স্টোকস ও উড
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ফিরলেন স্টোকস ও উড

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষে গাকৃবি
কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষে গাকৃবি

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

২৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঘরের মাঠে টানা ১১ সিরিজ জয় নিউজিল্যান্ডের
ঘরের মাঠে টানা ১১ সিরিজ জয় নিউজিল্যান্ডের

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র‌্যাব
কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র‌্যাব

৩১ মিনিট আগে | নগর জীবন

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধুরন্ধর সিনেমার ‘বাস্তব’ চরিত্রদের বের করে ফেলল নেটিজেনরা
ধুরন্ধর সিনেমার ‘বাস্তব’ চরিত্রদের বের করে ফেলল নেটিজেনরা

৩৪ মিনিট আগে | শোবিজ

নবম পে–স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ইবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন
নবম পে–স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ইবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে সাবেক প্রধান শিক্ষকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে সাবেক প্রধান শিক্ষকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
কেরানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল যারা

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

‘নির্বাচনের শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকার ও কমিশনকেই নিতে হবে’
‘নির্বাচনের শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকার ও কমিশনকেই নিতে হবে’

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কেনিয়ায় বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত
কেনিয়ায় বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি
ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি

৫৪ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর
সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন