শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১ আপডেট:

মুরাদরা রাজনীতির অভিশাপ- দল থেকেও বাদ দিন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মুরাদরা রাজনীতির অভিশাপ- দল থেকেও বাদ দিন

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুননাহার মুকুলের অডিও ফাঁস হলে গোটা দেশ একজন শিক্ষকের নোংরা, অশালীন কথাবার্তা শুনে স্তম্ভিত হয়েছিল। কলতলার ভাষাকে হার মানানো এমন ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত একজন নারী আর যা-ই হোন দেশসেরা একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পদ দূরে থাক শিক্ষকতা পেশায়ও থাকতে পারেন না। সে সময় তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে গণমাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সবকিছু একে একে নষ্টদের দখলে চলে যাওয়ায় আমরা একটি বিকৃত লোভ-লালসাকবলিত সমাজে বসবাস করার সুবাদে দেখলাম নির্লজ্জের মতো কামরুননাহার মুকুলের মতো নোংরা ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত একদল নর-নারী তার পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন। তার পক্ষে সাফাই গাইলেন। এমন নোংরা ভাষায় যারা অভ্যস্ত তাদের পক্ষে এমন শিষ্টাচারবিবর্জিত অশালীন ভাষার একজন শিক্ষকের পাশে দাঁড়ানো বিচিত্র কিছু নয়। লোভ-লালসা চরিত্রহীনতা বিকৃতি সমাজের এক কুৎসিত কদর্য গা ঘিন ঘিন করা ভয়ংকর চিত্রপট। এ চিত্রপট যারা দিনে দিনে তৈরি করেছেন তারা এ নিয়ে গর্ব করেন। এ নিয়ে তাদের লাজলজ্জা গ্লানি বলে কিছু নেই। মূল্যবোধ আদর্শ নীতি-নৈতিকতা এক কথায় নির্বাসনে দিয়ে, সমাজটাকে তারা আধুনিকতার নামে মধ্যবিত্তের রক্ষণশীলতার দুর্গ ভেঙে দিয়ে, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনকে পদদলিত করে গভীর অন্ধকারে টেনে নিচ্ছেন। মাদকের আগ্রাসন থেকে যৌনবিকৃতির চরম লাম্পট্য এখানে গ্রাস করেছে। ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করলেও আজ পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি। যেন তাকে বহাল তবিয়তে রাখার ব্যবস্থা। সর্বশেষ মহামান্য হাই কোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। ব্যক্তিজীবনে এই শিক্ষিকা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সশস্ত্র ক্যাডারকে। জীবনের পরতে পরতে যখন যাকে ব্যবহার দরকার তখন তাকে ব্যবহার করেই ফায়দা হাসিল করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। এ ধরনের মানুষ কেবল শিক্ষাব্যবস্থা বা সমাজের জন্যই অশুভ নয়, একটি জবাবদিহিমূলক গণমুখী সরকারের জন্যও ভারী বোঝা। কিন্তু দুর্নীতির অর্থের লেনদেন এতটাই শক্তিশালী যে, এদের রক্ষা করতে শাসক দলের অনেকেই তৎপর হয়ে যান প্রকাশ্যে।

ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের কথা থাক। পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কথায় আসি। তিনি ডাক্তার হয়েছিলেন মানুষ হতে পারেননি! এমপি-মন্ত্রী হয়েছিলেন একজন আদর্শিক রাজনৈতিক কর্মী হতেও পারেননি! কথায় কথায় বাবা মতিউর রহমান তালুকদারের সন্তান বলে দম্ভ দেখাতেন। বাপের সুনাম রাখা দূরে থাক প্রমাণ করেছেন পরিবার থেকেও পাঠ নেই। নটর ডেম কলেজে পড়েছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়েছেন, একজন উন্মাদ মাতাল যৌনবিকৃত নষ্ট অসভ্য হয়ে বের হয়েছেন। তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত দিয়ে উন্নাসিক আচরণ করেছেন, তিনি রাজনীতির ভাষা জানেন না, শেখেননি প্রতিপক্ষকে সমালোচনার কৌশল! কলতলার খিস্তি শিখে বেড়ে উঠেছেন তাই কন্যাসম জাইমাকে নোংরা গালি দিয়েছেন। পিতৃতুল্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নোংরা আক্রমণ করেছেন। ঢাবির ছাত্রীদের নোংরা মন্তব্য করে জানান দিয়েছেন তিনি কতটা অন্ধকার জগতের মানুষ। ঢাকা ক্লাবের সদস্যদের মা তুলে গালিগালাজ করে জানিয়েছেন মাকে সম্মান করার শিক্ষাও তিনি পাননি। নায়িকা মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন গা ঘিন ঘিন করে বমি আসে! বুঝিয়েছেন তিনি আজন্ম কুৎসিত কদর্য এক যৌনবিকৃত অমানুষ। ডা. মুরাদ হাসান রাজনীতির অভিশাপ, সমাজের অভিশাপ। বাইরে মানুষের আদল ভিতরে পশুর বাস! তার শাস্তির দন্ড আরও পাওনা বাকি। কেবিনেটকে অভিশাপ ও কলঙ্কমুক্ত করতে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। দল ও সংসদ থেকেও তাকে বিদায় জানাতে হবে। তার সীমাহীন অসভ্যতা নোংরামি ও ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকাই নেয়নি, প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন কঠিন পদক্ষেপ। গণমাধ্যমকেও আজ নিজেদের দিকে তাকাতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে তার এত কর্মকান্ড নিয়ে কোথাও কেউ কেন একটি প্রতিবেদনও করতে পারেনি?

একটা বানর একটা বাগান নষ্ট করতে যথেষ্ট। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিস্ময়কর উন্নয়নের বাংলাদেশে আজ সব ইমেজে আঁচড় বসিয়ে সরকারকে বিতর্কিত করতে একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে যথেষ্ট গত কিছুদিন ধরে তার লাগামহীন কথাবার্তা ও উন্নাসিক দাম্ভিক আচরণে প্রমাণ করে দিয়েছেন। যেভাবে একের পর এক বিকৃত অশালীন বক্তব্য আর অস্বাভাবিক আচরণে ভাইরাল হয়েছে তাতে নিজেকেই মাটিতে শুইয়ে দেননি, সরকারকেও ঝাঁকুনি দিয়েছেন। ধর্মানুরাগী মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত তথা সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসে তিনি থেমে যাননি। যেন বিতর্কের কাঙাল হয়ে পড়েন। তার পিতা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। আদর্শ পিতার সুসন্তান না কুসন্তান- তার কর্মকান্ডে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একজন পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার সন্তান হিসেবে ডা. মুরাদ হাসানকে দলের মনোনয়ন দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন। তার আচরণের কারণে এক দফা তাকে বাদ দিতে হয়েছে। আবার এমপি বানিয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী করলেও সেখানে তাকে বেশিদিন রাখা যায়নি। মিডিয়াবান্ধব তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের অধীনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করেন। কিন্তু ডা. মুরাদ হাসান প্রমাণ করেছেন পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগের সন্তান হলেই রাজনীতিতে সফল হওয়া যায় না। পরিপক্বতা অর্জন করতে না পারলে ভদ্র, বিনয়ী না হলে, অর্বাচীন নাবালক হয়েই থাকতে হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগারদের সন্তান হিসেবে মুজিবকন্যা যাদের দলের পদ থেকে নানা দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেকে সফল হলেও কেউ কেউ অর্বাচীন নাবালকের মতো দল ও সরকারের ইমেজ নষ্ট করছেন। লোভ-লালসা দম্ভ উন্নাসিকতা একেকজনকে মাটিতে পা ফেলতে দেয়নি। চিরকাল যে দল ক্ষমতায় থাকবে না এবং জনগণকে অসন্তুষ্ট করে যে রাজনীতি সুখকর হয় না এই শুভবুদ্ধির উদয়ও তাদের হচ্ছে না। ডা. মুরাদ হাসানের নোংরা আক্রমণাত্মক ভাষার ছোবল থেকে তার পিতার বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও রেহাই পাননি। রাজনীতিতে মতের দ্বিমত থাকলে প্রতিপক্ষের সমালোচনা করা যায়, তাই বলে শালীনতার সব পর্দা ছিঁড়ে ফেলে নয়। নোংরা, অশালীন, অশোভন ভাষা প্রয়োগ করে নয়। নোংরা, কুৎসিত গালি দিয়ে নয়। এ শিক্ষা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীকে তার নেতৃবৃন্দও দেন না। বক্তৃতা একটা আর্ট, যা মানুষকে টানে। পাগলের চিৎকার নয়, উন্মাদের প্রলাপ নয় যে, লোকে হাসবে বা জনগণ ক্ষুব্ধ হবে। অথচ ডা. মুরাদ হাসান ঔদ্ধত্য নিয়ে মিথ্যাচার করে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে যখন যা তা বলছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে যখন রাজনীতিতে একটি ইস্যু তৈরি হয়েছে এবং কখনোসখনো উত্তেজনাও তৈরি হচ্ছে ঠিক তখন তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান যে নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন সেটি একজন সুস্থ মানুষের ভাষা হতে পারে না। একজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর ভাষাও হতে পারে না। আর একজন প্রতিমন্ত্রী এমপির ভাষা হলে দলীয়ভাবে তার জন্য শাস্তি অনিবার্য হওয়া উচিত। এটা ভদ্রলোকের ভাষা নয়। এটা কলতলার খিস্তিখেউর। একজন প্রতিমন্ত্রীর ভাষা এমন হলে তার সরকার, রাজনৈতিক দল ও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি করতে সময় নেবে না। এ ধরনের মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী তা-ই করেছেন। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর জাতির বেদনাবিধুর আগস্ট হত্যাকান্ডের মীরজাফর খুনি মোশতাকের ডান হাত ছিলেন। এরশাদের তথ্যমন্ত্রী চীনপন্থি আনোয়ার জাহিদ ঝাড়ুদার মন্ত্রী হয়েছিলেন। ওদের বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্লজ্জতার পর ডা. মুরাদ হাসান ছাড়া এমন বিকৃত অশোভন নোংরা মানসিকতার ও নারীবিদ্বেষী মন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আসেনি। পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির টেলি কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়েছে যেখানে কান রাখা দায়। পরিবারের সবাই মিলে একজন মন্ত্রীর ভাষ্য শোনার উপায় ছিল না। তরুণ প্রজন্ম দেখছে একজন প্রতিমন্ত্রী কত নিম্নরুচির হতে পারেন! নায়ক ইমনের মোবাইলে নায়িকা মাহিকে যে নোংরা কদর্য ভাষায় মুরাদ কথা বলেছেন তা জঘন্য ও ভয়ংকর। এমন মানুষ আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলের মন্ত্রিসভায় দূরে থাক, সাধারণ সদস্য পদেও থাকতে পারেন না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মন্ত্রিত্বের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যা খুশি তা করে বেড়ানোর এখতিয়ার তাকে সংবিধানও দেয়নি। তার আচার-আচরণ ও কথাবার্তা সংবিধানেরও চরম লঙ্ঘন। এই প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ক্লাবে চরম অশোভন আচরণ করেছেন। তার এ আচরণের প্রতিবাদে সদস্যরা মুখর হয়ে উঠলে তাকে সেখান থেকে বের করেই দেওয়া হয়নি, ক্লাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে! আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে তার কর্মকান্ড চরম অসন্তোষ তৈরি করছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মুরাদের বক্তব্য দল ও সরকারের বক্তব্য নয়। এটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তিনি এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। ওবায়দুল কাদের কথা রেখেছেন। আমরা আশা করতেই পারি, এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত, শালীনতার সীমানা লঙ্ঘনকারী অসভ্য, অভদ্র ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না। দল থেকেও বিদায় জানিয়ে সারা দেশের নেতা-কর্মীকে সজাগ ও সতর্ক করে দেবেন। অপরিপক্ব দাম্ভিকদের পতন অনিবার্য।

সারা দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও তাদের কর্মীরা তৃণমূলে স্বতন্ত্র পরিচয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হচ্ছেন। অনেক জায়গায় বিজয়ী হচ্ছেন। ১৫ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতায় নেই। এলাকায় তাদের মন্ত্রী-এমপি নেই। দলীয়ভাবে তারা নির্বাচনও করছে না। কিন্তু তাদের প্রার্থীরা অনেক জায়গায় বিজয়ী হচ্ছেন, অনেক জায়গায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন। ক্ষমতানির্ভর আওয়ামী লীগ ১৩ বছরে ক্লান্ত হয়েছে নাকি ক্ষমতার দম্ভে আকাশে উড়ছে, নাকি দলাদলি কোন্দলে সংগঠনকে এতটাই দুর্বল ও গণবিচ্ছিন্ন করেছে যে তিন ধাপে সম্পন্ন ইউপি নির্বাচনে ২ হাজার ১৯০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা ৮৭১টিতে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেছেন। বাঘা বাঘা মন্ত্রী, এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এলাকায়ও এ পরাজয় দেখতে হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা, কোথাও বা বিজয় ছিনিয়ে আনা, কোথাও বা সহিংসতায় রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। প্রান্তিক পর্যন্ত এটা দৃশ্যমান হয়েছে যে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের হিসাবে এতটাই ব্যস্ত যে না দল গুছিয়েছেন না জনগণকে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার বিশাল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ তুলে ধরে গণসম্পৃক্ত করে তুলেছেন। কোনো কোনো জেলায় অতিশয় দুর্বল নেতৃত্ব কখনো কমিটি বাণিজ্য কখনো বা নির্লজ্জ মনোনয়ন বাণিজ্যে অভিশপ্ত হয়েছেন। মাঝখানে ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝিরা করুণ পরাজয় বরণ করেছেন। অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে থাক জামানত হারানোরও রেকর্ড গড়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরের নয়টি ইউনিয়নের একটিতেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়নি। ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চারটিতে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে দুটিতে ও সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে ৫৭ ভোটে হেরেছেন। চারটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন। আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী জিতলেও জামানত হারিয়েছেন চারটিতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন দুটিতে। নেতৃত্ব সেখানে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের বদলে নিজেদের আখের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সংগঠন ও নেতৃত্ব তৈরি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। বিগত জেলা কমিটি নিয়েই রয়েছে হাজারো বিতর্ক। একই ছায়া সারা দেশেই পড়েছে। ঝিনাইদহে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। বিএনপি এটি নিয়ে সরকারি দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শামসুজ্জামান দুদুর মতো নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ হিজড়াদের কাছে হেরে যায়! পশ্চিমা দুনিয়ায় ওরা মানুষ বলে সম্মানের সঙ্গে স্বীকৃত। এ দেশেও তাদের সব নাগরিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের তাচ্ছিল্য একজন রাজনীতিবিদের জন্য দেউলিয়াত্ব ছাড়া কিছু নয়। হীন মানসিকতারও বহিঃপ্রকাশ। এ মানসিকতা থেকে বের না হলে মানবিক রাজনীতি দেশে কোনো দিন আলোর মুখ দেখবে না।

যাই হোক, আওয়ামী লীগের জন্য আগামী দিনের নির্বাচন ও ক্ষমতার রাজনীতি সামনে রেখে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির পথে ইউপি নির্বাচনসহ সামগ্রিক পরিস্থিতির চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে সংগঠনকে সারা দেশে কীভাবে গণমুখী পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্বে সাজানো যায়, কীভাবে বিতর্কের বাইরে থাকা ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে নামানো যায় এবং কীভাবে দলকে একদিকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালীকরণ এবং অন্যদিকে জনগণকে সম্পৃক্ত করবে সে উদ্যোগ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সব থেকে বড় শক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো সরকার-প্রধানের বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও জনপ্রিয়তা। এর ওপর ভর করে এ চ্যালেঞ্জে নেতৃত্ব কীভাবে উত্তরণ ঘটাবেন সেটিই দেখার অপেক্ষা সামনে। তার আগে দল ও সরকারের বোঝা হয়ে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বা অপসারণ করে ইমেজ পুনরুদ্ধার করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা দেশজুড়ে আজ সবাই আওয়ামী লীগ। চাটুকার, সুবিধাবাদিতে ভরে গেছে দল। দুঃসময়ের পথের সাথীরা ছিটকে পড়েছে। সুসময়ের ভয়ংকর বন্ধুরা জুটে গেছে। একখানা দেয়াল তুলে দিয়েছে তেলের নহর বইয়ে দিয়ে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
‘দেশের মানুষ মনে করে হাসিনাকে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন’
‘দেশের মানুষ মনে করে হাসিনাকে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন’

১ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে  দিপু ভূইয়ার উদ্যোগ দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
রূপগঞ্জে  দিপু ভূইয়ার উদ্যোগ দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৪ নেতা-কর্মী আটক
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৪ নেতা-কর্মী আটক

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের দুই মামলা
সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের দুই মামলা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ
ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ

২৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দুই দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন ৩১ প্রার্থী
দুই দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন ৩১ প্রার্থী

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জামালপুরে ইয়াবাসহ নারী আটক
জামালপুরে ইয়াবাসহ নারী আটক

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে
বরিশালে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘ভুয়া ভিডিও’ সম্পর্কে সচেতন হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
‘ভুয়া ভিডিও’ সম্পর্কে সচেতন হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

এবার ১০ গোলে বাংলাদেশের হার
এবার ১০ গোলে বাংলাদেশের হার

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব

৪৪ মিনিট আগে | পরবাস

গৌরনদীতে তিন মরদেহ উদ্ধার: দুটি হত্যা, একটি আত্মহত্যা
গৌরনদীতে তিন মরদেহ উদ্ধার: দুটি হত্যা, একটি আত্মহত্যা

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা
চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা

৫০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনা-বরিশাল বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
খুলনা-বরিশাল বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা গ্রেফতার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা গ্রেফতার

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা, গ্রেফতার ৬
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা, গ্রেফতার ৬

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি
রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দিন: সাইফুল হক
জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দিন: সাইফুল হক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর
আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
৩০ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মতভেদ ঐক্য ভাঙবে না: তুলি-আরমান
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মতভেদ ঐক্য ভাঙবে না: তুলি-আরমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা