নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আজকের নির্বাচনের দিকে শুধু ওই মহানগরীই নয়, সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি নিবদ্ধ। বহুল আলোচিত এই সিটি নির্বাচনে পাঁচ লাখের বেশি ভোটার আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটের মাধ্যমে তারা নির্ধারণ করবেন কে হবেন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মহানগরীর পরবর্তী মেয়র। কারা হবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচারণা শান্তিপূর্ণভাবে এবং বড় ধরনের কোনো অভিযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘চর দখলের’ মতো বর্বর মনোভাব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাথা উঁচু করলেও তা থেকে মুক্ত থাকার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন বন্দরনগরীর মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আজ ফল ঘোষণা পর্যন্ত সে ঐতিহ্য বজায় থাকলে একটি ভালো দৃষ্টান্ত বলে বিবেচিত হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেশ বড়সড়ো হলেও অনুমিত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে। আইভী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার প্রার্থী হিসেবে। বিএনপি নেতা তৈমূর হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তার পিছনে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর কর্মীরা কোমর বেঁধে নেমেছে। দুই প্রার্থীর বিপরীতে নির্বাচনী জোয়ারে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখার প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ। জিততে না পারলেও তিনি যে বিপুল ভোট পাবেন তা ভোটের ভাগ্য নির্ধারণে পরোক্ষভাবে ভূমিকা হয়তো রাখবে। সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারগুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে পর পর তিন মেয়াদে বর্তমান মেয়র আইভী নির্বাচিত হবেন, না নগরবাসী পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবেন তা একান্তই তাদের বিষয়। আমরা চাই নির্বাচনে ব্যক্তি বা দলের ঊর্ধ্বে গণতন্ত্র যেন জয়ী হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমেই তা নিশ্চিত হতে পারে।