শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

আলম রায়হান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ জুলাই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। আন্দোলন বা সংগ্রাম যাই করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় নিশ্চয়ই দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ এক প্রকার ভরসা পেয়েছে। চলমাম সময়ে এ বক্তব্য অন্যরকম গুরুত্ব¡ বহন করে। সরকারপ্রধান হিসেবে যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কথা যদি হয় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার, তাহলে নিয়শ্চই গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। ফলে যে কোনো মানদন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কথার গুরুত্ব আলাদা গুরুত্ববহ। আর ৩১ জুলাই সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি যে কথা বলেছেন, তার গুরুত্ব এবং গভীরতা এ সময়ে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার এবং এর ব্যঞ্জনা কবিতার মতো বিশাল। বলাই তো হয়, কবিতার একটি শব্দের ব্যঞ্জনা অনেক পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি। আর কোনো কোনো বক্তব্য যে কবিতার গভীরতাকেও ছাড়িয়ে যায় তার উদাহরণ তো হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। সেই ভাষণের সঙ্গে কোনো ভাষণেরই তুলনা হওয়ার নয়। এটি প্রমাণিত সত্য। সঙ্গে এটিও সত্য, কোনো কোনো ভাষণ কখনো কখনো বিশেষ অর্থ বহন করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে। এর নানান কারণের মধ্যে ধরে নেওয়া হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এমন সময়ে এলো যখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অধিকতর জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এদিকে কিছুদিন পরপরই বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। একদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো এক দফার লাগাতার কর্মসূচিতে আছে তেমনি একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন কথা বলে আসছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগের মতোই বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বলা বাহুল্য, ৭১ সালে বিজয়ী এবং পরাজিত শক্তি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন মরিয়া অবস্থানে। এটা স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির পেছনে দেশি-বিদেশি অনেক শক্তি কেন্দ্র সক্রিয়। তেমনি অতি সক্রিয় ৭৫-এর থিংকট্যাকং। কারও কারও ধারণা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর এরা ধরেই নিয়েছিল, তাদের হাতে সময় কম। কিন্তু বিশ্ববাস্তবতায় আর একটি ১৫ আগস্ট ঘটানো যাচ্ছে না। যদিও কাছাকাছি ঘটনা ঘটানো হয়েছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। কোনোই সন্দেহ নেই, দেশি-বিদেশি চাপের কারণে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে একটা বড় ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক অংশের মধ্যে একটু হলেও আতঙ্ক সংক্রমিত হতেই পারে। সে জন্যই তাদের মনোবল চাঙা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা বলতে হচ্ছে বলে অনেকেরই ধারণা। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক চললে নির্বাচন আসুক আর যাই আসুক, তাতে ভয় পাওয়া অথবা উৎফুল্ল হওয়ার প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু এ প্রশ্ন উঠেছে। আর সবাই যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে আতঙ্কিত হয়েছেন, তা কিন্তু নয়। নিশ্চয়ই খুশিও হয়েছেন অনেকে। এরা সময় বুঝে হুক্কা হুয়া বলার অপেক্ষায়। প্রশাসন কাঠামোর এই যে দুরবস্থা তার দায় কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয়কেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সূচনার দায় বিএনপির এবং ক্লাইমেক্সে পৌঁছে দেওয়ার দায়ভার আওয়ামী লীগের। ১৯৯১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আমলাতন্ত্রকে দলীয়করণের জুব্বা পরিয়েছে বিএনপি। কিন্তু এ কাজটি সুচারুরূপে করতে পারেনি। বরং শিব গড়তে বাঁদর হয়েছে। যার প্রমাণ পেতে বিএনপিকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের বড় একটি ভূমিকা দেখা দিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেই সময় বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছিল, তার অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করা হয়। সচিবালয়কেন্দ্রিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা বড় অংশ জনতার মঞ্চে গিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানায়। এতে বিএনপি সরকারের অবস্থান টালমাটাল হয়ে যায়। চাকরিবিধির বাইরে গিয়ে সেই সময় যে আমলারা আচরণ করেছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুরস্কৃত হয়েছেন। এদের টিম লিডার মহীউদ্দীন খান আলমগীর হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তিত্ব। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি অনুগত থেকে চাকরি করেছেন। কিন্তু এ আমলাই বিএনপি সরকারের অবস্থা বেগতিক দেখে মহাবিপ্লবীর মূর্তি ধারণ করলেন। এর পুরস্কার হিসেবে তাকে অনেক কিছু করা হয়েছে এবং একপর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের জন্যই অনেক ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিবিধানের বাইরে যাওয়ার যে প্রবণতা মাঝেমধ্যে উঁকি দেয় তার প্রশ্বস্ত পথ করে দিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যে প্রবণতা বিগত বছরগুলোতে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও অঙ্কুরে বিনষ্ট করা গেছে কি না তা বড় এক প্রশ্ন হয়েই বিরাজমান। বরং ১৯৯৬ সালের ঘটনাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরে নিয়েই ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ হয়েছিল। তবে সেই ষড়যন্ত্র শুরুতেই ধরা পড়ে মাঠে মারা যায়। এ ধরা পড়ার বিষয়টিও আর এক রহস্য হয়ে আছে। সেই ঘটনার মামলায় মাহমুদুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম, তৎকালীন যুগ্মসচিব আবদুস সবুরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর পরও কিন্তু এ ধরনের একাধিক ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন ছিল। সরকারের ওপর চাপ বাড়লে এ ধরনের তৎপরতার পালে হাওয়া লাগবে বোধগম্য কারণেই। উল্লেখ্য, অন্যরকম যোগাযোগের অভিযোগে তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়েছে। আরও বিদায় করা হয়েছে এক অতিরিক্ত ও আর এক উপসচিবকে। এদিকে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, বর্তমানে আন্দোলনে আমলাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগও করা হচ্ছে। অনেক সময় বিরোধী বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান আমলারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই আমলাদের খুশি করতে বছর বছর বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সরকার তার মতো করে দলীয় সমর্থক কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে বলে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। আবার বিএনপি সরকারের আমলেও একই ধরনের অভিযোগ ছিল সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগেরও। এ অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দেশের প্রশাসনব্যবস্থার জন্য নির্মম এক পরিহাস!

এরপরও নির্বাচনে যাই ঘটুক না কেন, সরকারি কর্মকর্তাদের তো এতটা ভয় পাওয়ার কোনো কথা নয় যে, খোদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে অভয় বাণী শোনাতে হবে। আর নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী এটি খামাখা করেননি। তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ‘ভয় না পাওয়ার’ আহ্বানের প্রেক্ষাপট কী? আর এ ‘ভয় না পাওয়ার আহ্বান’ কি অভয়ের দৃঢ়তা সৃষ্টি করেছে? এ এক গোলক ধাঁধার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অতএব এদিকে না গিয়ে অন্য বাস্তবতায় আলোকপাত করা যাক। অতীতের প্রেক্ষাপটে এর আবেদন চিরকালীন।

পকিস্তানের দুঃশাসন এবং শোষণের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এক নিঃশ্বাসে এক দৌড় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়ার মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তুলনামূলক বিচারে স্বল্পমেয়াদি। এ বিষয়টি নানান ডকুমেন্টে উল্লেখ আছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুর রাজ্জাকও স্বল্প মেয়াদের যুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে নানান সময়ে কথা বলেছেন। তাঁর এ বক্তব্য ইউটিউবেও আছে। মোদ্দা কথা, স্বল্প সময়ের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণহানি যেমন বাড়েনি তেমনি ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে ভারতেরও। সবাই জানেন, ভারত শক্তভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হতে পারত দীর্ঘমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ করার প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি না হওয়ায় অনেক সুবিধা আমরা পেয়েছি। সঙ্গে কিছু কুফল থেকে গেছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- পাকিস্তানি ধারার আমলাতন্ত্র। যা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকেও সরকার চালাতে হয়েছে সেই সময়ের বাস্তবতার কারণে। কিন্তু সেই ধারা থেকে বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের প্রশাসনব্যবস্থা কতটা উঠে আসতে পেরেছে তা নিয়ে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ আছে মনে হয়। এমনকি বলা হয়, দেশের প্রশাসনব্যবস্থা নেমেছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়। জাতির পিতার আহ্বান ছিল, মানুষের মধ্যে নিজের বাপ-ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি দেখার। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীরা জনগণের মধ্যে আসলে কার প্রতিচ্ছবি দেখেন আর নিজেকে কী ভাবেন তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। এ নিয়ে নানান রটনা এবং ঘটনা আছে। আছে নানান হতাশাজনক উদাহরণও। এমনকি এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেরও আছে অবজারভেশন। এটা সবাই জানে। কাজেই এ নিয়ে চর্বিত চর্বণ না করাই বেহেতের। কেবল একটু পেছনে ফেরা যাক। 

১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত জিয়া-এরশাদ-খালেদা শাসনের মধ্যে খালেদা সরকারের আবার গণতাত্রিক আচ্ছাদন আছে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এটি সবারই জানা। তবে অনেকেই যা জানেন না তা হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্রের নানান ইন্ডিকেটর নিম্নমুখী হওয়ার ধারা কিন্তু এ খালেদা সরকারের আমলেই নগ্নভাবে শুরু হয়েছে। মহা উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- প্রশাসনকে দলীয়করণের প্রবণতা থেকে কোনো সরকারই আর উঠে আসতে পারেনি। বরং ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চোরাবালিতে ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাওয়ার মতো। সবকিছুতেই যেন দলীয় পরিচয় এবং কথিত আনুগত্য প্রধান হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে নাকি টঙ্কারও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যা পুলিশে ওপেন সিক্রেট বলে রটনা আছে। আর অনেক ক্ষেত্রে চাকরি পেতে যে টাকা দিতে হয় তা তো প্রায় মুখে মুখে প্রচারিত অভিযোগ। এদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই যে কত বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক সেই খবর তো প্রায়ই প্রকাশিত হয়। কানাডার বেগমপাড়ার কাহিনি তো অনেকেরই জানা। এমনকি এও বলা হয়, আমেরিকার ভিসানীতি ঘোষণার পর যাদের মুখ শুকিয়ে গেছে তাদের বিশাল একটি অংশ হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর সবাই জানেন, বাংলাদেশের বৈধ-অবৈধ টাকার পাখনা আছে। এ টাকা উড়াল দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে। এক সময় যে দেশগুলোকে নিরাপদ সিন্দুক মনে করা হতো সেগুলো আমেরিকার ভিসানীতির কারণে এখন টাকা রাখার জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ। ব্যাপারটি দাঁড়িয়েছে শিয়ালের কাছে মুরগি রাখার মতো। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের অনেকেই বিরোধী দলের আন্দোলনে ভয় না পেলেও অন্যরকম ভয়ে আছেন। ভিসানীতির আওতায় পড়ে কখন জানি টাকা গায়েব হয়ে যায়া। লালনের সেই গানের মতো, ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়, একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়।’ এদিকে বাস্তবতা হচ্ছে- নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিরাজমান ব্যবস্থায় আমলাদের নড়াচড়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের গতিবিধি। কিন্তু নির্বাচনকে যদি আমরা অন্য সব দেশের কাছাকাছিও গ্রহণযোগ্য একটা নিয়মের মধ্যে রাখতে পারতাম তাহলে দেশের প্রশাসনব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে জটিল পরিস্থিতির দিকে যেত না। আর প্রশাসনও এমন কাজ করতে পারত না যে কাজ তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারি কর্মকর্তাদের বিধিবিধান মোতাবেক প্রফেশনালি চলতে দিত তাহলে সরকারে যেই আসুক, তাদের নির্দেশ মান্য করা তাদের কাজ হতো এবং বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকত না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বিধান অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোরকম দলীয় আনুগত্যের সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে নানান পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর অবসরের পর তো মাশা আল্লাহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় সবাই রাজনীতিতে নেমে পড়েন। তবে তাদের এ রাজনীতি অন্যরকম। শুরুতেই তারা সংসদ সদস্য হতে চান। এ ক্ষেত্রে উপনির্বাচন প্রথম পছন্দ। আর বোধগম্য কারণেই, সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদ সদস্য হয়ে পুনরায় ক্ষমতা বলয়ে ফিরে আসার বিষয়টি কিন্তু অবসরে যাওয়ার পর শুরু হয় না। এ ধারায় গুণধর আমলারা সম্পৃক্ত হন সরকারি আসনে আসীন থাকাকালেই। এ কারণে এরা জাহেরে ক্ষমতাসীনদের অতি অনুগত হওয়ার ভান করেন। আবার বাতেনে যোগাযোগ রাখেন বিরুদ্ধশক্তির সঙ্গেও। আর হাওয়া দেখে কেবলা বদল করেন। অথচ এদের ওপর ভর করেই একটি অনুরাগী গ্রুপ সৃষ্টির বিভ্রমে থাকে সরকারগুলো। কিন্তু তা যে সাগর সৈকতে বালুর ইমারত- তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। কারও অজানা নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয় দেওয়ার প্রয়োজন হতো না যদি তাদের বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে পরিচালিত করা যেত। তা তো হয়নি। বরং তাদের দলীয়করণের নর্দমায় নামানো হয়েছে। যার নগ্ন সূচনা হয়েছে ১৯৯১ সালে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তা যে কোনো কাজে আসে না তা সবাই দেখেছেন ১৯৯৬ সালে। আর কেবল দলীয়করণ নয়, কত লোককে যে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তার কি কোনো ইয়ত্তা আছে? যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেয় তাদের কি কোনো নীতি-নৈতিকতার অথবা আনুগত্য-কৃতজ্ঞতার বালাই থাকে? আর টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির ঢোকেনি তা কি হলফ করে বলা যাবে! সময় সুযোগ মতো এরা যে অন্য রূপ ধারণ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
নাশকতা-অরাজকতা
নাশকতা-অরাজকতা
খাদ্য নিরাপত্তা
খাদ্য নিরাপত্তা
কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে
কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে
সন্তানের প্রতিও অবিচার করা যাবে না
সন্তানের প্রতিও অবিচার করা যাবে না
জামায়াতের সামনে সুযোগ ও সংকট
জামায়াতের সামনে সুযোগ ও সংকট
ছফা-শামীম সিকদার সম্পর্কের মিথ
ছফা-শামীম সিকদার সম্পর্কের মিথ
সালাম প্রদানের ফজিলত
সালাম প্রদানের ফজিলত
অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক
ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেন যুদ্ধ
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
সর্বশেষ খবর
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা

এই মাত্র | অর্থনীতি

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ঢাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ঢাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‌‘রাজনীতিতে বৈষম্য দূর করে উন্নত দেশ গঠন করা সম্ভব’
‌‘রাজনীতিতে বৈষম্য দূর করে উন্নত দেশ গঠন করা সম্ভব’

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
টেকনাফে ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.১৫ বিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.১৫ বিলিয়ন ডলার

৩২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সিরাজগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
সিরাজগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর বাস সেবার মানোন্নয়নে টিএফএল মডেল প্রস্তাব ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের
রাজধানীর বাস সেবার মানোন্নয়নে টিএফএল মডেল প্রস্তাব ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পর্তুগালের প্রবাসী বাংলাদেশি খুন
পর্তুগালের প্রবাসী বাংলাদেশি খুন

৫০ মিনিট আগে | পরবাস

ভোট পাওয়ার জন্য মোদি নাচতেও পারেন: রাহুল গান্ধী
ভোট পাওয়ার জন্য মোদি নাচতেও পারেন: রাহুল গান্ধী

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে বাড়ছে না চিকিৎসকের পদ
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে বাড়ছে না চিকিৎসকের পদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মবিরতি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মবিরতি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিনাজপুরে ঐতিহ্যবাহী মেলায় মানুষের ঢল
দিনাজপুরে ঐতিহ্যবাহী মেলায় মানুষের ঢল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চব্বিশের তরুণরা একাত্তরের শহীদদের উত্তরসূরি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
চব্বিশের তরুণরা একাত্তরের শহীদদের উত্তরসূরি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা
সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কু‌ড়িগ্রামে গৃহবধূ নি‌খোঁজ, উদ্ধারে কাজ কর‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস
কু‌ড়িগ্রামে গৃহবধূ নি‌খোঁজ, উদ্ধারে কাজ কর‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৩২
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৩২

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময়
পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১০ বছর পর মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী
১০ বছর পর মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারলে পিছিয়ে যাব : এ্যানি
মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারলে পিছিয়ে যাব : এ্যানি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া
এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিইসির বৈঠকে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে আলোচনা
টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিইসির বৈঠকে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে আলোচনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই মাথাওয়ালা শিশুর জন্ম
দুই মাথাওয়ালা শিশুর জন্ম

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৬ আসন চেয়ে বিএনপির কাছে চিঠি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির
৬ আসন চেয়ে বিএনপির কাছে চিঠি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাকসু নির্বাচনের দাবিতে তিন শিক্ষার্থী অনশনে
বাকসু নির্বাচনের দাবিতে তিন শিক্ষার্থী অনশনে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কি আছে ইরানের সিমোর্গে, কেন এই নামকরণ?
কি আছে ইরানের সিমোর্গে, কেন এই নামকরণ?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩৪ কোটি ডলার
অক্টোবরের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩৪ কোটি ডলার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমবে
দেশজুড়ে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমবে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র
মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃহস্পতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
বৃহস্পতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার কবর দিলেন সাকিব আল হাসান
যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার কবর দিলেন সাকিব আল হাসান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় নির্বাচন নাও হতে পারে, সবার আগে জুলাই সনদ হতে হবে: তাহের
জাতীয় নির্বাচন নাও হতে পারে, সবার আগে জুলাই সনদ হতে হবে: তাহের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ হাজার কোটি টাকার মিল হাতিয়ে নেন পানির দরে
৪ হাজার কোটি টাকার মিল হাতিয়ে নেন পানির দরে

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাতিল হতে যাচ্ছে ১২৭ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট
বাতিল হতে যাচ্ছে ১২৭ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরিপত্র জারি
অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরিপত্র জারি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক
বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক

২০ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!
১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মথ ডালকে মুগ হিসেবে বিক্রি, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
মথ ডালকে মুগ হিসেবে বিক্রি, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে আঘাত হানলো ঘূর্ণিঝড় মোন্থা
ভারতে আঘাত হানলো ঘূর্ণিঝড় মোন্থা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, আবারও মোদির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন কটাক্ষ
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, আবারও মোদির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন কটাক্ষ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেমন আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন
কেমন আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সম্পত্তি ফেরত পেতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা এস আলমের
সম্পত্তি ফেরত পেতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা এস আলমের

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৫ বছরের চেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তির কার্গো বিমান তৈরি করল ইরান
১৫ বছরের চেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তির কার্গো বিমান তৈরি করল ইরান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সময় চেয়ে ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বিজিএমইএ সভাপতি
সময় চেয়ে ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বিজিএমইএ সভাপতি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যত্যয় হলে দায় এই সরকারের : মির্জা ফখরুল
সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যত্যয় হলে দায় এই সরকারের : মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইতালিতে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ইতালিতে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খোলা বাজারে ডলার ১২৫ টাকায়, ব্যাংকেও বাড়ছে দাম
খোলা বাজারে ডলার ১২৫ টাকায়, ব্যাংকেও বাড়ছে দাম

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯ অক্টোবর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতালে ভর্তি হাসান মাসুদ
হাসপাতালে ভর্তি হাসান মাসুদ

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফের কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
ফের কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও
স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন সুযোগ
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন সুযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টসের বিরুদ্ধে বিপুল কর ফাঁকির অভিযোগ
হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টসের বিরুদ্ধে বিপুল কর ফাঁকির অভিযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন
আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন

প্রথম পৃষ্ঠা

চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি
চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’
পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’

নগর জীবন

এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা
এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে যাবেন নতুন ডিসি
মাঠে যাবেন নতুন ডিসি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন

নগর জীবন

স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক
স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক

পেছনের পৃষ্ঠা

কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন
কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি-জামায়াত ছাড়া মাঠে নেই অন্য কেউ
বিএনপি-জামায়াত ছাড়া মাঠে নেই অন্য কেউ

নগর জীবন

শিমুল গাছের বয়স ২০০ বছর
শিমুল গাছের বয়স ২০০ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ
বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের

প্রথম পৃষ্ঠা

বেশির ভাগ অবৈধ সম্পদ হিসাবের বাইরে
বেশির ভাগ অবৈধ সম্পদ হিসাবের বাইরে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১০ লক্ষাধিক শিশু
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১০ লক্ষাধিক শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

হাইব্রিড মরিচে কৃষকের মুখে হাসি
হাইব্রিড মরিচে কৃষকের মুখে হাসি

পেছনের পৃষ্ঠা

বোরকা নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্যে উত্তাল রাবি
বোরকা নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্যে উত্তাল রাবি

নগর জীবন

প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

খবর

সংশোধিত শ্রম আইনে শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে
সংশোধিত শ্রম আইনে শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমান শাহর ১২ নায়িকা
সালমান শাহর ১২ নায়িকা

শোবিজ

ঐকমত্যের অনৈক্যের সুপারিশ
ঐকমত্যের অনৈক্যের সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

লিটনদের ফেরার ম্যাচ আজ
লিটনদের ফেরার ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

এককভাবে সরকার গঠন করলে বেশি দিন টিকবে না
এককভাবে সরকার গঠন করলে বেশি দিন টিকবে না

নগর জীবন

বাংলাদেশিসহ ৪৫ হাজার গ্রিনকার্ডধারীকে বহিষ্কারের নোটিস
বাংলাদেশিসহ ৪৫ হাজার গ্রিনকার্ডধারীকে বহিষ্কারের নোটিস

পেছনের পৃষ্ঠা

তোয়ালে কথন
তোয়ালে কথন

রকমারি লাইফ স্টাইল

ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন
ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

নগর জীবন

‘তেজাব’ ছবির নায়ক আমিই ছিলাম : আদিত্য পাঞ্চোলি
‘তেজাব’ ছবির নায়ক আমিই ছিলাম : আদিত্য পাঞ্চোলি

শোবিজ

সংস্কারের বিপক্ষের কারও সঙ্গে জোট করবে না এনসিপি
সংস্কারের বিপক্ষের কারও সঙ্গে জোট করবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরি পেলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ লালের ছেলে
চাকরি পেলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ লালের ছেলে

নগর জীবন