শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

আলম রায়হান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ জুলাই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। আন্দোলন বা সংগ্রাম যাই করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় নিশ্চয়ই দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ এক প্রকার ভরসা পেয়েছে। চলমাম সময়ে এ বক্তব্য অন্যরকম গুরুত্ব¡ বহন করে। সরকারপ্রধান হিসেবে যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কথা যদি হয় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার, তাহলে নিয়শ্চই গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। ফলে যে কোনো মানদন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কথার গুরুত্ব আলাদা গুরুত্ববহ। আর ৩১ জুলাই সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি যে কথা বলেছেন, তার গুরুত্ব এবং গভীরতা এ সময়ে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার এবং এর ব্যঞ্জনা কবিতার মতো বিশাল। বলাই তো হয়, কবিতার একটি শব্দের ব্যঞ্জনা অনেক পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি। আর কোনো কোনো বক্তব্য যে কবিতার গভীরতাকেও ছাড়িয়ে যায় তার উদাহরণ তো হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। সেই ভাষণের সঙ্গে কোনো ভাষণেরই তুলনা হওয়ার নয়। এটি প্রমাণিত সত্য। সঙ্গে এটিও সত্য, কোনো কোনো ভাষণ কখনো কখনো বিশেষ অর্থ বহন করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে। এর নানান কারণের মধ্যে ধরে নেওয়া হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এমন সময়ে এলো যখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অধিকতর জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এদিকে কিছুদিন পরপরই বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। একদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো এক দফার লাগাতার কর্মসূচিতে আছে তেমনি একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন কথা বলে আসছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগের মতোই বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বলা বাহুল্য, ৭১ সালে বিজয়ী এবং পরাজিত শক্তি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন মরিয়া অবস্থানে। এটা স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির পেছনে দেশি-বিদেশি অনেক শক্তি কেন্দ্র সক্রিয়। তেমনি অতি সক্রিয় ৭৫-এর থিংকট্যাকং। কারও কারও ধারণা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর এরা ধরেই নিয়েছিল, তাদের হাতে সময় কম। কিন্তু বিশ্ববাস্তবতায় আর একটি ১৫ আগস্ট ঘটানো যাচ্ছে না। যদিও কাছাকাছি ঘটনা ঘটানো হয়েছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। কোনোই সন্দেহ নেই, দেশি-বিদেশি চাপের কারণে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে একটা বড় ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক অংশের মধ্যে একটু হলেও আতঙ্ক সংক্রমিত হতেই পারে। সে জন্যই তাদের মনোবল চাঙা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা বলতে হচ্ছে বলে অনেকেরই ধারণা। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক চললে নির্বাচন আসুক আর যাই আসুক, তাতে ভয় পাওয়া অথবা উৎফুল্ল হওয়ার প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু এ প্রশ্ন উঠেছে। আর সবাই যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে আতঙ্কিত হয়েছেন, তা কিন্তু নয়। নিশ্চয়ই খুশিও হয়েছেন অনেকে। এরা সময় বুঝে হুক্কা হুয়া বলার অপেক্ষায়। প্রশাসন কাঠামোর এই যে দুরবস্থা তার দায় কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয়কেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সূচনার দায় বিএনপির এবং ক্লাইমেক্সে পৌঁছে দেওয়ার দায়ভার আওয়ামী লীগের। ১৯৯১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আমলাতন্ত্রকে দলীয়করণের জুব্বা পরিয়েছে বিএনপি। কিন্তু এ কাজটি সুচারুরূপে করতে পারেনি। বরং শিব গড়তে বাঁদর হয়েছে। যার প্রমাণ পেতে বিএনপিকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের বড় একটি ভূমিকা দেখা দিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেই সময় বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছিল, তার অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করা হয়। সচিবালয়কেন্দ্রিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা বড় অংশ জনতার মঞ্চে গিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানায়। এতে বিএনপি সরকারের অবস্থান টালমাটাল হয়ে যায়। চাকরিবিধির বাইরে গিয়ে সেই সময় যে আমলারা আচরণ করেছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুরস্কৃত হয়েছেন। এদের টিম লিডার মহীউদ্দীন খান আলমগীর হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তিত্ব। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি অনুগত থেকে চাকরি করেছেন। কিন্তু এ আমলাই বিএনপি সরকারের অবস্থা বেগতিক দেখে মহাবিপ্লবীর মূর্তি ধারণ করলেন। এর পুরস্কার হিসেবে তাকে অনেক কিছু করা হয়েছে এবং একপর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের জন্যই অনেক ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিবিধানের বাইরে যাওয়ার যে প্রবণতা মাঝেমধ্যে উঁকি দেয় তার প্রশ্বস্ত পথ করে দিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যে প্রবণতা বিগত বছরগুলোতে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও অঙ্কুরে বিনষ্ট করা গেছে কি না তা বড় এক প্রশ্ন হয়েই বিরাজমান। বরং ১৯৯৬ সালের ঘটনাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরে নিয়েই ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ হয়েছিল। তবে সেই ষড়যন্ত্র শুরুতেই ধরা পড়ে মাঠে মারা যায়। এ ধরা পড়ার বিষয়টিও আর এক রহস্য হয়ে আছে। সেই ঘটনার মামলায় মাহমুদুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম, তৎকালীন যুগ্মসচিব আবদুস সবুরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর পরও কিন্তু এ ধরনের একাধিক ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন ছিল। সরকারের ওপর চাপ বাড়লে এ ধরনের তৎপরতার পালে হাওয়া লাগবে বোধগম্য কারণেই। উল্লেখ্য, অন্যরকম যোগাযোগের অভিযোগে তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়েছে। আরও বিদায় করা হয়েছে এক অতিরিক্ত ও আর এক উপসচিবকে। এদিকে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, বর্তমানে আন্দোলনে আমলাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগও করা হচ্ছে। অনেক সময় বিরোধী বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান আমলারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই আমলাদের খুশি করতে বছর বছর বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সরকার তার মতো করে দলীয় সমর্থক কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে বলে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। আবার বিএনপি সরকারের আমলেও একই ধরনের অভিযোগ ছিল সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগেরও। এ অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দেশের প্রশাসনব্যবস্থার জন্য নির্মম এক পরিহাস!

এরপরও নির্বাচনে যাই ঘটুক না কেন, সরকারি কর্মকর্তাদের তো এতটা ভয় পাওয়ার কোনো কথা নয় যে, খোদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে অভয় বাণী শোনাতে হবে। আর নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী এটি খামাখা করেননি। তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ‘ভয় না পাওয়ার’ আহ্বানের প্রেক্ষাপট কী? আর এ ‘ভয় না পাওয়ার আহ্বান’ কি অভয়ের দৃঢ়তা সৃষ্টি করেছে? এ এক গোলক ধাঁধার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অতএব এদিকে না গিয়ে অন্য বাস্তবতায় আলোকপাত করা যাক। অতীতের প্রেক্ষাপটে এর আবেদন চিরকালীন।

পকিস্তানের দুঃশাসন এবং শোষণের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এক নিঃশ্বাসে এক দৌড় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়ার মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তুলনামূলক বিচারে স্বল্পমেয়াদি। এ বিষয়টি নানান ডকুমেন্টে উল্লেখ আছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুর রাজ্জাকও স্বল্প মেয়াদের যুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে নানান সময়ে কথা বলেছেন। তাঁর এ বক্তব্য ইউটিউবেও আছে। মোদ্দা কথা, স্বল্প সময়ের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণহানি যেমন বাড়েনি তেমনি ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে ভারতেরও। সবাই জানেন, ভারত শক্তভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হতে পারত দীর্ঘমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ করার প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি না হওয়ায় অনেক সুবিধা আমরা পেয়েছি। সঙ্গে কিছু কুফল থেকে গেছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- পাকিস্তানি ধারার আমলাতন্ত্র। যা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকেও সরকার চালাতে হয়েছে সেই সময়ের বাস্তবতার কারণে। কিন্তু সেই ধারা থেকে বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের প্রশাসনব্যবস্থা কতটা উঠে আসতে পেরেছে তা নিয়ে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ আছে মনে হয়। এমনকি বলা হয়, দেশের প্রশাসনব্যবস্থা নেমেছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়। জাতির পিতার আহ্বান ছিল, মানুষের মধ্যে নিজের বাপ-ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি দেখার। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীরা জনগণের মধ্যে আসলে কার প্রতিচ্ছবি দেখেন আর নিজেকে কী ভাবেন তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। এ নিয়ে নানান রটনা এবং ঘটনা আছে। আছে নানান হতাশাজনক উদাহরণও। এমনকি এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেরও আছে অবজারভেশন। এটা সবাই জানে। কাজেই এ নিয়ে চর্বিত চর্বণ না করাই বেহেতের। কেবল একটু পেছনে ফেরা যাক। 

১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত জিয়া-এরশাদ-খালেদা শাসনের মধ্যে খালেদা সরকারের আবার গণতাত্রিক আচ্ছাদন আছে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এটি সবারই জানা। তবে অনেকেই যা জানেন না তা হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্রের নানান ইন্ডিকেটর নিম্নমুখী হওয়ার ধারা কিন্তু এ খালেদা সরকারের আমলেই নগ্নভাবে শুরু হয়েছে। মহা উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- প্রশাসনকে দলীয়করণের প্রবণতা থেকে কোনো সরকারই আর উঠে আসতে পারেনি। বরং ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চোরাবালিতে ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাওয়ার মতো। সবকিছুতেই যেন দলীয় পরিচয় এবং কথিত আনুগত্য প্রধান হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে নাকি টঙ্কারও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যা পুলিশে ওপেন সিক্রেট বলে রটনা আছে। আর অনেক ক্ষেত্রে চাকরি পেতে যে টাকা দিতে হয় তা তো প্রায় মুখে মুখে প্রচারিত অভিযোগ। এদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই যে কত বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক সেই খবর তো প্রায়ই প্রকাশিত হয়। কানাডার বেগমপাড়ার কাহিনি তো অনেকেরই জানা। এমনকি এও বলা হয়, আমেরিকার ভিসানীতি ঘোষণার পর যাদের মুখ শুকিয়ে গেছে তাদের বিশাল একটি অংশ হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর সবাই জানেন, বাংলাদেশের বৈধ-অবৈধ টাকার পাখনা আছে। এ টাকা উড়াল দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে। এক সময় যে দেশগুলোকে নিরাপদ সিন্দুক মনে করা হতো সেগুলো আমেরিকার ভিসানীতির কারণে এখন টাকা রাখার জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ। ব্যাপারটি দাঁড়িয়েছে শিয়ালের কাছে মুরগি রাখার মতো। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের অনেকেই বিরোধী দলের আন্দোলনে ভয় না পেলেও অন্যরকম ভয়ে আছেন। ভিসানীতির আওতায় পড়ে কখন জানি টাকা গায়েব হয়ে যায়া। লালনের সেই গানের মতো, ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়, একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়।’ এদিকে বাস্তবতা হচ্ছে- নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিরাজমান ব্যবস্থায় আমলাদের নড়াচড়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের গতিবিধি। কিন্তু নির্বাচনকে যদি আমরা অন্য সব দেশের কাছাকাছিও গ্রহণযোগ্য একটা নিয়মের মধ্যে রাখতে পারতাম তাহলে দেশের প্রশাসনব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে জটিল পরিস্থিতির দিকে যেত না। আর প্রশাসনও এমন কাজ করতে পারত না যে কাজ তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারি কর্মকর্তাদের বিধিবিধান মোতাবেক প্রফেশনালি চলতে দিত তাহলে সরকারে যেই আসুক, তাদের নির্দেশ মান্য করা তাদের কাজ হতো এবং বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকত না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বিধান অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোরকম দলীয় আনুগত্যের সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে নানান পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর অবসরের পর তো মাশা আল্লাহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় সবাই রাজনীতিতে নেমে পড়েন। তবে তাদের এ রাজনীতি অন্যরকম। শুরুতেই তারা সংসদ সদস্য হতে চান। এ ক্ষেত্রে উপনির্বাচন প্রথম পছন্দ। আর বোধগম্য কারণেই, সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদ সদস্য হয়ে পুনরায় ক্ষমতা বলয়ে ফিরে আসার বিষয়টি কিন্তু অবসরে যাওয়ার পর শুরু হয় না। এ ধারায় গুণধর আমলারা সম্পৃক্ত হন সরকারি আসনে আসীন থাকাকালেই। এ কারণে এরা জাহেরে ক্ষমতাসীনদের অতি অনুগত হওয়ার ভান করেন। আবার বাতেনে যোগাযোগ রাখেন বিরুদ্ধশক্তির সঙ্গেও। আর হাওয়া দেখে কেবলা বদল করেন। অথচ এদের ওপর ভর করেই একটি অনুরাগী গ্রুপ সৃষ্টির বিভ্রমে থাকে সরকারগুলো। কিন্তু তা যে সাগর সৈকতে বালুর ইমারত- তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। কারও অজানা নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয় দেওয়ার প্রয়োজন হতো না যদি তাদের বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে পরিচালিত করা যেত। তা তো হয়নি। বরং তাদের দলীয়করণের নর্দমায় নামানো হয়েছে। যার নগ্ন সূচনা হয়েছে ১৯৯১ সালে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তা যে কোনো কাজে আসে না তা সবাই দেখেছেন ১৯৯৬ সালে। আর কেবল দলীয়করণ নয়, কত লোককে যে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তার কি কোনো ইয়ত্তা আছে? যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেয় তাদের কি কোনো নীতি-নৈতিকতার অথবা আনুগত্য-কৃতজ্ঞতার বালাই থাকে? আর টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির ঢোকেনি তা কি হলফ করে বলা যাবে! সময় সুযোগ মতো এরা যে অন্য রূপ ধারণ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী

৫২ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা
চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা

১ মিনিট আগে | শোবিজ

মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির
অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসির
নির্বাচন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসির

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ
ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক
মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে