শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

আলম রায়হান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ জুলাই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। আন্দোলন বা সংগ্রাম যাই করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় নিশ্চয়ই দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ এক প্রকার ভরসা পেয়েছে। চলমাম সময়ে এ বক্তব্য অন্যরকম গুরুত্ব¡ বহন করে। সরকারপ্রধান হিসেবে যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কথা যদি হয় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার, তাহলে নিয়শ্চই গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। ফলে যে কোনো মানদন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কথার গুরুত্ব আলাদা গুরুত্ববহ। আর ৩১ জুলাই সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি যে কথা বলেছেন, তার গুরুত্ব এবং গভীরতা এ সময়ে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার এবং এর ব্যঞ্জনা কবিতার মতো বিশাল। বলাই তো হয়, কবিতার একটি শব্দের ব্যঞ্জনা অনেক পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি। আর কোনো কোনো বক্তব্য যে কবিতার গভীরতাকেও ছাড়িয়ে যায় তার উদাহরণ তো হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। সেই ভাষণের সঙ্গে কোনো ভাষণেরই তুলনা হওয়ার নয়। এটি প্রমাণিত সত্য। সঙ্গে এটিও সত্য, কোনো কোনো ভাষণ কখনো কখনো বিশেষ অর্থ বহন করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে। এর নানান কারণের মধ্যে ধরে নেওয়া হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এমন সময়ে এলো যখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অধিকতর জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এদিকে কিছুদিন পরপরই বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। একদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো এক দফার লাগাতার কর্মসূচিতে আছে তেমনি একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন কথা বলে আসছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগের মতোই বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বলা বাহুল্য, ৭১ সালে বিজয়ী এবং পরাজিত শক্তি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন মরিয়া অবস্থানে। এটা স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির পেছনে দেশি-বিদেশি অনেক শক্তি কেন্দ্র সক্রিয়। তেমনি অতি সক্রিয় ৭৫-এর থিংকট্যাকং। কারও কারও ধারণা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর এরা ধরেই নিয়েছিল, তাদের হাতে সময় কম। কিন্তু বিশ্ববাস্তবতায় আর একটি ১৫ আগস্ট ঘটানো যাচ্ছে না। যদিও কাছাকাছি ঘটনা ঘটানো হয়েছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। কোনোই সন্দেহ নেই, দেশি-বিদেশি চাপের কারণে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে একটা বড় ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক অংশের মধ্যে একটু হলেও আতঙ্ক সংক্রমিত হতেই পারে। সে জন্যই তাদের মনোবল চাঙা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা বলতে হচ্ছে বলে অনেকেরই ধারণা। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক চললে নির্বাচন আসুক আর যাই আসুক, তাতে ভয় পাওয়া অথবা উৎফুল্ল হওয়ার প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু এ প্রশ্ন উঠেছে। আর সবাই যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে আতঙ্কিত হয়েছেন, তা কিন্তু নয়। নিশ্চয়ই খুশিও হয়েছেন অনেকে। এরা সময় বুঝে হুক্কা হুয়া বলার অপেক্ষায়। প্রশাসন কাঠামোর এই যে দুরবস্থা তার দায় কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয়কেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সূচনার দায় বিএনপির এবং ক্লাইমেক্সে পৌঁছে দেওয়ার দায়ভার আওয়ামী লীগের। ১৯৯১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আমলাতন্ত্রকে দলীয়করণের জুব্বা পরিয়েছে বিএনপি। কিন্তু এ কাজটি সুচারুরূপে করতে পারেনি। বরং শিব গড়তে বাঁদর হয়েছে। যার প্রমাণ পেতে বিএনপিকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের বড় একটি ভূমিকা দেখা দিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেই সময় বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছিল, তার অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করা হয়। সচিবালয়কেন্দ্রিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা বড় অংশ জনতার মঞ্চে গিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানায়। এতে বিএনপি সরকারের অবস্থান টালমাটাল হয়ে যায়। চাকরিবিধির বাইরে গিয়ে সেই সময় যে আমলারা আচরণ করেছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুরস্কৃত হয়েছেন। এদের টিম লিডার মহীউদ্দীন খান আলমগীর হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তিত্ব। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি অনুগত থেকে চাকরি করেছেন। কিন্তু এ আমলাই বিএনপি সরকারের অবস্থা বেগতিক দেখে মহাবিপ্লবীর মূর্তি ধারণ করলেন। এর পুরস্কার হিসেবে তাকে অনেক কিছু করা হয়েছে এবং একপর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের জন্যই অনেক ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিবিধানের বাইরে যাওয়ার যে প্রবণতা মাঝেমধ্যে উঁকি দেয় তার প্রশ্বস্ত পথ করে দিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যে প্রবণতা বিগত বছরগুলোতে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও অঙ্কুরে বিনষ্ট করা গেছে কি না তা বড় এক প্রশ্ন হয়েই বিরাজমান। বরং ১৯৯৬ সালের ঘটনাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরে নিয়েই ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ হয়েছিল। তবে সেই ষড়যন্ত্র শুরুতেই ধরা পড়ে মাঠে মারা যায়। এ ধরা পড়ার বিষয়টিও আর এক রহস্য হয়ে আছে। সেই ঘটনার মামলায় মাহমুদুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম, তৎকালীন যুগ্মসচিব আবদুস সবুরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর পরও কিন্তু এ ধরনের একাধিক ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন ছিল। সরকারের ওপর চাপ বাড়লে এ ধরনের তৎপরতার পালে হাওয়া লাগবে বোধগম্য কারণেই। উল্লেখ্য, অন্যরকম যোগাযোগের অভিযোগে তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়েছে। আরও বিদায় করা হয়েছে এক অতিরিক্ত ও আর এক উপসচিবকে। এদিকে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, বর্তমানে আন্দোলনে আমলাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগও করা হচ্ছে। অনেক সময় বিরোধী বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান আমলারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই আমলাদের খুশি করতে বছর বছর বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সরকার তার মতো করে দলীয় সমর্থক কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে বলে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। আবার বিএনপি সরকারের আমলেও একই ধরনের অভিযোগ ছিল সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগেরও। এ অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দেশের প্রশাসনব্যবস্থার জন্য নির্মম এক পরিহাস!

এরপরও নির্বাচনে যাই ঘটুক না কেন, সরকারি কর্মকর্তাদের তো এতটা ভয় পাওয়ার কোনো কথা নয় যে, খোদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে অভয় বাণী শোনাতে হবে। আর নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী এটি খামাখা করেননি। তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ‘ভয় না পাওয়ার’ আহ্বানের প্রেক্ষাপট কী? আর এ ‘ভয় না পাওয়ার আহ্বান’ কি অভয়ের দৃঢ়তা সৃষ্টি করেছে? এ এক গোলক ধাঁধার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অতএব এদিকে না গিয়ে অন্য বাস্তবতায় আলোকপাত করা যাক। অতীতের প্রেক্ষাপটে এর আবেদন চিরকালীন।

পকিস্তানের দুঃশাসন এবং শোষণের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এক নিঃশ্বাসে এক দৌড় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়ার মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তুলনামূলক বিচারে স্বল্পমেয়াদি। এ বিষয়টি নানান ডকুমেন্টে উল্লেখ আছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুর রাজ্জাকও স্বল্প মেয়াদের যুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে নানান সময়ে কথা বলেছেন। তাঁর এ বক্তব্য ইউটিউবেও আছে। মোদ্দা কথা, স্বল্প সময়ের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণহানি যেমন বাড়েনি তেমনি ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে ভারতেরও। সবাই জানেন, ভারত শক্তভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হতে পারত দীর্ঘমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ করার প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি না হওয়ায় অনেক সুবিধা আমরা পেয়েছি। সঙ্গে কিছু কুফল থেকে গেছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- পাকিস্তানি ধারার আমলাতন্ত্র। যা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকেও সরকার চালাতে হয়েছে সেই সময়ের বাস্তবতার কারণে। কিন্তু সেই ধারা থেকে বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের প্রশাসনব্যবস্থা কতটা উঠে আসতে পেরেছে তা নিয়ে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ আছে মনে হয়। এমনকি বলা হয়, দেশের প্রশাসনব্যবস্থা নেমেছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়। জাতির পিতার আহ্বান ছিল, মানুষের মধ্যে নিজের বাপ-ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি দেখার। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীরা জনগণের মধ্যে আসলে কার প্রতিচ্ছবি দেখেন আর নিজেকে কী ভাবেন তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। এ নিয়ে নানান রটনা এবং ঘটনা আছে। আছে নানান হতাশাজনক উদাহরণও। এমনকি এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেরও আছে অবজারভেশন। এটা সবাই জানে। কাজেই এ নিয়ে চর্বিত চর্বণ না করাই বেহেতের। কেবল একটু পেছনে ফেরা যাক। 

১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত জিয়া-এরশাদ-খালেদা শাসনের মধ্যে খালেদা সরকারের আবার গণতাত্রিক আচ্ছাদন আছে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এটি সবারই জানা। তবে অনেকেই যা জানেন না তা হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্রের নানান ইন্ডিকেটর নিম্নমুখী হওয়ার ধারা কিন্তু এ খালেদা সরকারের আমলেই নগ্নভাবে শুরু হয়েছে। মহা উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- প্রশাসনকে দলীয়করণের প্রবণতা থেকে কোনো সরকারই আর উঠে আসতে পারেনি। বরং ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চোরাবালিতে ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাওয়ার মতো। সবকিছুতেই যেন দলীয় পরিচয় এবং কথিত আনুগত্য প্রধান হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে নাকি টঙ্কারও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যা পুলিশে ওপেন সিক্রেট বলে রটনা আছে। আর অনেক ক্ষেত্রে চাকরি পেতে যে টাকা দিতে হয় তা তো প্রায় মুখে মুখে প্রচারিত অভিযোগ। এদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই যে কত বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক সেই খবর তো প্রায়ই প্রকাশিত হয়। কানাডার বেগমপাড়ার কাহিনি তো অনেকেরই জানা। এমনকি এও বলা হয়, আমেরিকার ভিসানীতি ঘোষণার পর যাদের মুখ শুকিয়ে গেছে তাদের বিশাল একটি অংশ হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর সবাই জানেন, বাংলাদেশের বৈধ-অবৈধ টাকার পাখনা আছে। এ টাকা উড়াল দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে। এক সময় যে দেশগুলোকে নিরাপদ সিন্দুক মনে করা হতো সেগুলো আমেরিকার ভিসানীতির কারণে এখন টাকা রাখার জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ। ব্যাপারটি দাঁড়িয়েছে শিয়ালের কাছে মুরগি রাখার মতো। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের অনেকেই বিরোধী দলের আন্দোলনে ভয় না পেলেও অন্যরকম ভয়ে আছেন। ভিসানীতির আওতায় পড়ে কখন জানি টাকা গায়েব হয়ে যায়া। লালনের সেই গানের মতো, ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়, একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়।’ এদিকে বাস্তবতা হচ্ছে- নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিরাজমান ব্যবস্থায় আমলাদের নড়াচড়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের গতিবিধি। কিন্তু নির্বাচনকে যদি আমরা অন্য সব দেশের কাছাকাছিও গ্রহণযোগ্য একটা নিয়মের মধ্যে রাখতে পারতাম তাহলে দেশের প্রশাসনব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে জটিল পরিস্থিতির দিকে যেত না। আর প্রশাসনও এমন কাজ করতে পারত না যে কাজ তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারি কর্মকর্তাদের বিধিবিধান মোতাবেক প্রফেশনালি চলতে দিত তাহলে সরকারে যেই আসুক, তাদের নির্দেশ মান্য করা তাদের কাজ হতো এবং বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকত না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বিধান অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোরকম দলীয় আনুগত্যের সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে নানান পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর অবসরের পর তো মাশা আল্লাহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় সবাই রাজনীতিতে নেমে পড়েন। তবে তাদের এ রাজনীতি অন্যরকম। শুরুতেই তারা সংসদ সদস্য হতে চান। এ ক্ষেত্রে উপনির্বাচন প্রথম পছন্দ। আর বোধগম্য কারণেই, সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদ সদস্য হয়ে পুনরায় ক্ষমতা বলয়ে ফিরে আসার বিষয়টি কিন্তু অবসরে যাওয়ার পর শুরু হয় না। এ ধারায় গুণধর আমলারা সম্পৃক্ত হন সরকারি আসনে আসীন থাকাকালেই। এ কারণে এরা জাহেরে ক্ষমতাসীনদের অতি অনুগত হওয়ার ভান করেন। আবার বাতেনে যোগাযোগ রাখেন বিরুদ্ধশক্তির সঙ্গেও। আর হাওয়া দেখে কেবলা বদল করেন। অথচ এদের ওপর ভর করেই একটি অনুরাগী গ্রুপ সৃষ্টির বিভ্রমে থাকে সরকারগুলো। কিন্তু তা যে সাগর সৈকতে বালুর ইমারত- তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। কারও অজানা নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয় দেওয়ার প্রয়োজন হতো না যদি তাদের বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে পরিচালিত করা যেত। তা তো হয়নি। বরং তাদের দলীয়করণের নর্দমায় নামানো হয়েছে। যার নগ্ন সূচনা হয়েছে ১৯৯১ সালে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তা যে কোনো কাজে আসে না তা সবাই দেখেছেন ১৯৯৬ সালে। আর কেবল দলীয়করণ নয়, কত লোককে যে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তার কি কোনো ইয়ত্তা আছে? যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেয় তাদের কি কোনো নীতি-নৈতিকতার অথবা আনুগত্য-কৃতজ্ঞতার বালাই থাকে? আর টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির ঢোকেনি তা কি হলফ করে বলা যাবে! সময় সুযোগ মতো এরা যে অন্য রূপ ধারণ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর
তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মুন্সীগঞ্জে অটিজম শিশুদের জন্য সুবর্ণ স্কুল
মুন্সীগঞ্জে অটিজম শিশুদের জন্য সুবর্ণ স্কুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪
রূপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১০ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন