শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

আলম রায়হান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা করা প্রয়োজন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ জুলাই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। আন্দোলন বা সংগ্রাম যাই করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় নিশ্চয়ই দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ এক প্রকার ভরসা পেয়েছে। চলমাম সময়ে এ বক্তব্য অন্যরকম গুরুত্ব¡ বহন করে। সরকারপ্রধান হিসেবে যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কথা যদি হয় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার, তাহলে নিয়শ্চই গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। ফলে যে কোনো মানদন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কথার গুরুত্ব আলাদা গুরুত্ববহ। আর ৩১ জুলাই সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি যে কথা বলেছেন, তার গুরুত্ব এবং গভীরতা এ সময়ে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার এবং এর ব্যঞ্জনা কবিতার মতো বিশাল। বলাই তো হয়, কবিতার একটি শব্দের ব্যঞ্জনা অনেক পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি। আর কোনো কোনো বক্তব্য যে কবিতার গভীরতাকেও ছাড়িয়ে যায় তার উদাহরণ তো হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। সেই ভাষণের সঙ্গে কোনো ভাষণেরই তুলনা হওয়ার নয়। এটি প্রমাণিত সত্য। সঙ্গে এটিও সত্য, কোনো কোনো ভাষণ কখনো কখনো বিশেষ অর্থ বহন করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে। এর নানান কারণের মধ্যে ধরে নেওয়া হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এমন সময়ে এলো যখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অধিকতর জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এদিকে কিছুদিন পরপরই বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। একদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো এক দফার লাগাতার কর্মসূচিতে আছে তেমনি একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন কথা বলে আসছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগের মতোই বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বলা বাহুল্য, ৭১ সালে বিজয়ী এবং পরাজিত শক্তি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন মরিয়া অবস্থানে। এটা স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির পেছনে দেশি-বিদেশি অনেক শক্তি কেন্দ্র সক্রিয়। তেমনি অতি সক্রিয় ৭৫-এর থিংকট্যাকং। কারও কারও ধারণা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর এরা ধরেই নিয়েছিল, তাদের হাতে সময় কম। কিন্তু বিশ্ববাস্তবতায় আর একটি ১৫ আগস্ট ঘটানো যাচ্ছে না। যদিও কাছাকাছি ঘটনা ঘটানো হয়েছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। কোনোই সন্দেহ নেই, দেশি-বিদেশি চাপের কারণে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে একটা বড় ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক অংশের মধ্যে একটু হলেও আতঙ্ক সংক্রমিত হতেই পারে। সে জন্যই তাদের মনোবল চাঙা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা বলতে হচ্ছে বলে অনেকেরই ধারণা। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক চললে নির্বাচন আসুক আর যাই আসুক, তাতে ভয় পাওয়া অথবা উৎফুল্ল হওয়ার প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু এ প্রশ্ন উঠেছে। আর সবাই যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে আতঙ্কিত হয়েছেন, তা কিন্তু নয়। নিশ্চয়ই খুশিও হয়েছেন অনেকে। এরা সময় বুঝে হুক্কা হুয়া বলার অপেক্ষায়। প্রশাসন কাঠামোর এই যে দুরবস্থা তার দায় কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয়কেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সূচনার দায় বিএনপির এবং ক্লাইমেক্সে পৌঁছে দেওয়ার দায়ভার আওয়ামী লীগের। ১৯৯১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আমলাতন্ত্রকে দলীয়করণের জুব্বা পরিয়েছে বিএনপি। কিন্তু এ কাজটি সুচারুরূপে করতে পারেনি। বরং শিব গড়তে বাঁদর হয়েছে। যার প্রমাণ পেতে বিএনপিকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের বড় একটি ভূমিকা দেখা দিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেই সময় বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছিল, তার অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করা হয়। সচিবালয়কেন্দ্রিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা বড় অংশ জনতার মঞ্চে গিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানায়। এতে বিএনপি সরকারের অবস্থান টালমাটাল হয়ে যায়। চাকরিবিধির বাইরে গিয়ে সেই সময় যে আমলারা আচরণ করেছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুরস্কৃত হয়েছেন। এদের টিম লিডার মহীউদ্দীন খান আলমগীর হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তিত্ব। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি অনুগত থেকে চাকরি করেছেন। কিন্তু এ আমলাই বিএনপি সরকারের অবস্থা বেগতিক দেখে মহাবিপ্লবীর মূর্তি ধারণ করলেন। এর পুরস্কার হিসেবে তাকে অনেক কিছু করা হয়েছে এবং একপর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের জন্যই অনেক ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিবিধানের বাইরে যাওয়ার যে প্রবণতা মাঝেমধ্যে উঁকি দেয় তার প্রশ্বস্ত পথ করে দিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যে প্রবণতা বিগত বছরগুলোতে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও অঙ্কুরে বিনষ্ট করা গেছে কি না তা বড় এক প্রশ্ন হয়েই বিরাজমান। বরং ১৯৯৬ সালের ঘটনাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরে নিয়েই ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ হয়েছিল। তবে সেই ষড়যন্ত্র শুরুতেই ধরা পড়ে মাঠে মারা যায়। এ ধরা পড়ার বিষয়টিও আর এক রহস্য হয়ে আছে। সেই ঘটনার মামলায় মাহমুদুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম, তৎকালীন যুগ্মসচিব আবদুস সবুরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর পরও কিন্তু এ ধরনের একাধিক ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন ছিল। সরকারের ওপর চাপ বাড়লে এ ধরনের তৎপরতার পালে হাওয়া লাগবে বোধগম্য কারণেই। উল্লেখ্য, অন্যরকম যোগাযোগের অভিযোগে তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়েছে। আরও বিদায় করা হয়েছে এক অতিরিক্ত ও আর এক উপসচিবকে। এদিকে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, বর্তমানে আন্দোলনে আমলাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগও করা হচ্ছে। অনেক সময় বিরোধী বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান আমলারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই আমলাদের খুশি করতে বছর বছর বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সরকার তার মতো করে দলীয় সমর্থক কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে বলে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। আবার বিএনপি সরকারের আমলেও একই ধরনের অভিযোগ ছিল সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগেরও। এ অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দেশের প্রশাসনব্যবস্থার জন্য নির্মম এক পরিহাস!

এরপরও নির্বাচনে যাই ঘটুক না কেন, সরকারি কর্মকর্তাদের তো এতটা ভয় পাওয়ার কোনো কথা নয় যে, খোদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে অভয় বাণী শোনাতে হবে। আর নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী এটি খামাখা করেননি। তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ‘ভয় না পাওয়ার’ আহ্বানের প্রেক্ষাপট কী? আর এ ‘ভয় না পাওয়ার আহ্বান’ কি অভয়ের দৃঢ়তা সৃষ্টি করেছে? এ এক গোলক ধাঁধার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অতএব এদিকে না গিয়ে অন্য বাস্তবতায় আলোকপাত করা যাক। অতীতের প্রেক্ষাপটে এর আবেদন চিরকালীন।

পকিস্তানের দুঃশাসন এবং শোষণের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এক নিঃশ্বাসে এক দৌড় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়ার মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তুলনামূলক বিচারে স্বল্পমেয়াদি। এ বিষয়টি নানান ডকুমেন্টে উল্লেখ আছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুর রাজ্জাকও স্বল্প মেয়াদের যুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে নানান সময়ে কথা বলেছেন। তাঁর এ বক্তব্য ইউটিউবেও আছে। মোদ্দা কথা, স্বল্প সময়ের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণহানি যেমন বাড়েনি তেমনি ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে ভারতেরও। সবাই জানেন, ভারত শক্তভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হতে পারত দীর্ঘমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ করার প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি না হওয়ায় অনেক সুবিধা আমরা পেয়েছি। সঙ্গে কিছু কুফল থেকে গেছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- পাকিস্তানি ধারার আমলাতন্ত্র। যা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকেও সরকার চালাতে হয়েছে সেই সময়ের বাস্তবতার কারণে। কিন্তু সেই ধারা থেকে বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের প্রশাসনব্যবস্থা কতটা উঠে আসতে পেরেছে তা নিয়ে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ আছে মনে হয়। এমনকি বলা হয়, দেশের প্রশাসনব্যবস্থা নেমেছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়। জাতির পিতার আহ্বান ছিল, মানুষের মধ্যে নিজের বাপ-ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি দেখার। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সরকারি কর্মকর্তা-কমর্চারীরা জনগণের মধ্যে আসলে কার প্রতিচ্ছবি দেখেন আর নিজেকে কী ভাবেন তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। এ নিয়ে নানান রটনা এবং ঘটনা আছে। আছে নানান হতাশাজনক উদাহরণও। এমনকি এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেরও আছে অবজারভেশন। এটা সবাই জানে। কাজেই এ নিয়ে চর্বিত চর্বণ না করাই বেহেতের। কেবল একটু পেছনে ফেরা যাক। 

১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত জিয়া-এরশাদ-খালেদা শাসনের মধ্যে খালেদা সরকারের আবার গণতাত্রিক আচ্ছাদন আছে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এটি সবারই জানা। তবে অনেকেই যা জানেন না তা হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্রের নানান ইন্ডিকেটর নিম্নমুখী হওয়ার ধারা কিন্তু এ খালেদা সরকারের আমলেই নগ্নভাবে শুরু হয়েছে। মহা উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- প্রশাসনকে দলীয়করণের প্রবণতা থেকে কোনো সরকারই আর উঠে আসতে পারেনি। বরং ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চোরাবালিতে ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাওয়ার মতো। সবকিছুতেই যেন দলীয় পরিচয় এবং কথিত আনুগত্য প্রধান হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে নাকি টঙ্কারও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যা পুলিশে ওপেন সিক্রেট বলে রটনা আছে। আর অনেক ক্ষেত্রে চাকরি পেতে যে টাকা দিতে হয় তা তো প্রায় মুখে মুখে প্রচারিত অভিযোগ। এদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই যে কত বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক সেই খবর তো প্রায়ই প্রকাশিত হয়। কানাডার বেগমপাড়ার কাহিনি তো অনেকেরই জানা। এমনকি এও বলা হয়, আমেরিকার ভিসানীতি ঘোষণার পর যাদের মুখ শুকিয়ে গেছে তাদের বিশাল একটি অংশ হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর সবাই জানেন, বাংলাদেশের বৈধ-অবৈধ টাকার পাখনা আছে। এ টাকা উড়াল দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে। এক সময় যে দেশগুলোকে নিরাপদ সিন্দুক মনে করা হতো সেগুলো আমেরিকার ভিসানীতির কারণে এখন টাকা রাখার জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ। ব্যাপারটি দাঁড়িয়েছে শিয়ালের কাছে মুরগি রাখার মতো। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের অনেকেই বিরোধী দলের আন্দোলনে ভয় না পেলেও অন্যরকম ভয়ে আছেন। ভিসানীতির আওতায় পড়ে কখন জানি টাকা গায়েব হয়ে যায়া। লালনের সেই গানের মতো, ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়, একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়।’ এদিকে বাস্তবতা হচ্ছে- নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিরাজমান ব্যবস্থায় আমলাদের নড়াচড়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের গতিবিধি। কিন্তু নির্বাচনকে যদি আমরা অন্য সব দেশের কাছাকাছিও গ্রহণযোগ্য একটা নিয়মের মধ্যে রাখতে পারতাম তাহলে দেশের প্রশাসনব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে জটিল পরিস্থিতির দিকে যেত না। আর প্রশাসনও এমন কাজ করতে পারত না যে কাজ তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারি কর্মকর্তাদের বিধিবিধান মোতাবেক প্রফেশনালি চলতে দিত তাহলে সরকারে যেই আসুক, তাদের নির্দেশ মান্য করা তাদের কাজ হতো এবং বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকত না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বিধান অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোরকম দলীয় আনুগত্যের সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে নানান পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর অবসরের পর তো মাশা আল্লাহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় সবাই রাজনীতিতে নেমে পড়েন। তবে তাদের এ রাজনীতি অন্যরকম। শুরুতেই তারা সংসদ সদস্য হতে চান। এ ক্ষেত্রে উপনির্বাচন প্রথম পছন্দ। আর বোধগম্য কারণেই, সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদ সদস্য হয়ে পুনরায় ক্ষমতা বলয়ে ফিরে আসার বিষয়টি কিন্তু অবসরে যাওয়ার পর শুরু হয় না। এ ধারায় গুণধর আমলারা সম্পৃক্ত হন সরকারি আসনে আসীন থাকাকালেই। এ কারণে এরা জাহেরে ক্ষমতাসীনদের অতি অনুগত হওয়ার ভান করেন। আবার বাতেনে যোগাযোগ রাখেন বিরুদ্ধশক্তির সঙ্গেও। আর হাওয়া দেখে কেবলা বদল করেন। অথচ এদের ওপর ভর করেই একটি অনুরাগী গ্রুপ সৃষ্টির বিভ্রমে থাকে সরকারগুলো। কিন্তু তা যে সাগর সৈকতে বালুর ইমারত- তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। কারও অজানা নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয় দেওয়ার প্রয়োজন হতো না যদি তাদের বঙ্গবন্ধুর বাণী অনুসারে পরিচালিত করা যেত। তা তো হয়নি। বরং তাদের দলীয়করণের নর্দমায় নামানো হয়েছে। যার নগ্ন সূচনা হয়েছে ১৯৯১ সালে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তা যে কোনো কাজে আসে না তা সবাই দেখেছেন ১৯৯৬ সালে। আর কেবল দলীয়করণ নয়, কত লোককে যে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তার কি কোনো ইয়ত্তা আছে? যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেয় তাদের কি কোনো নীতি-নৈতিকতার অথবা আনুগত্য-কৃতজ্ঞতার বালাই থাকে? আর টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির ঢোকেনি তা কি হলফ করে বলা যাবে! সময় সুযোগ মতো এরা যে অন্য রূপ ধারণ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি
নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট
কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি
রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি

২৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া
জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি
মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি

৪২ মিনিট আগে | শোবিজ

মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র
মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’

৫৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট
নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারবে না, দাবি গণ অধিকার পরিষদের
আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারবে না, দাবি গণ অধিকার পরিষদের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিত্যপণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
নিত্যপণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান এফবিসিসিআই’র

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সিলেটের বিটিসিএল’র পরিত্যক্ত গুদামে আগুন
সিলেটের বিটিসিএল’র পরিত্যক্ত গুদামে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৪০০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৪০০ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ার ড্রোন ঠেকাতে ইউরোপের নতুন লড়াই
রাশিয়ার ড্রোন ঠেকাতে ইউরোপের নতুন লড়াই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ
নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা
লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে আগুন
মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করছে পেট্রোবাংলা
গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করছে পেট্রোবাংলা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে রাজপথে দিপু ভুঁইয়া
রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে রাজপথে দিপু ভুঁইয়া

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচন কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নির্বাচন কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়: নুর
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়: নুর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পদ্মার এক কাতলার দাম ৫৫ হাজার টাকা
পদ্মার এক কাতলার দাম ৫৫ হাজার টাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না
বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

১৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের
১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী
গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন