শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার লাশ পড়ে থাকল এলো না কেউ

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার লাশ পড়ে থাকল এলো না কেউ

খুনিদের নিষ্ঠুরতা বর্বরতায় পুরো ৩২ নম্বর বিষাদ সিন্ধুর কারবালা ময়দানকে হার মানায়। বিশ্বমানবতা, সভ্যতা সবকিছু ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল রাতভর খুনিদের তান্ডবলীলায়। ১৫ আগস্ট সারা দিন শেষ হয়ে রাত অবধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে পড়ে থাকল। কেউ এগিয়ে গেল না। রাত ১২টায় একটি দিন শেষ হয়ে গেল। ঘড়ির কাঁটায় যোগ হলো ১৬ আগস্ট। লে. কর্নেল হামিদ বঙ্গভবনের নির্দেশে ১৬ আগস্ট ভোররাতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলেন সব লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে। তার যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার লাশ সিঁড়িতে পড়ে ছিল। কোনো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকে ধানমন্ডির আশপাশে দেখা গেল না। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নেতার লাশ রেখেই কাপুরুষের মতো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতারা ব্যস্ত হলেন নিজেদের বেঁচে থাকার চিন্তায়। অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালালেন। আরেক দল যোগ দিলেন বেইমান মোশতাকের মন্ত্রিসভায়। নির্লজ্জের মতো শপথ পড়লেন। অথচ মাত্র ১২ ঘণ্টা আগেও বঙ্গবন্ধু কার দিকে তাকালেন, তারা এ নিয়ে ঘুম হারাম করতেন। সেই নেতারা বঙ্গবন্ধুর লাশ সিঁড়িতে রেখেই ব্যস্ত হলেন ক্ষমতার ভাগ নিয়ে। বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথ পরিচালনা করলেন ক্যাবিনেট সচিব এইচ টি ইমাম। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিভিন্ন বাহিনী প্রধান চূড়ান্ত বেহায়াপনা নিয়ে সেই শপথে দাঁড়িয়ে থাকলেন।

আচ্ছা আওয়ামী লীগ কেন প্রতিরোধ গড়তে পারল না? সেনাবাহিনীর কর্নেল জামিল জীবন দিলেন। দায়িত্বরত পুলিশের একজন ডিএসপিসহ দুজন সদস্য লড়ে প্রাণ হারালেন। নির্দেশের অভাবে রক্ষীবাহিনীর তিন সদস্য কিছু করতে না পারার কষ্টে আত্মহত্যা করেন। চট্টগ্রামের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার দস্তগীর ১৫ আগস্ট খুনিদের বিরুদ্ধে পাল্টা অবস্থানের ঘোষণা দেন। তিনি বেতার ভবনে গিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের ডাকলেন। ফোন করলেন। অনুরোধ করলেন মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসতে। তাঁর আহ্বানে কেউ সাড়া দিলেন না। ঢাকায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ব্যাপক সাংগঠনিক অবস্থান ছিল না। তার পরও জাতির পিতার নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে তিনি বসে থাকতে পারলেন না। ঢাকা ছাড়লেন। নিজের অঞ্চলে গিয়ে ডাক দিলেন প্রতিরোধযুদ্ধের। শুরু করলেন আরেক সংগ্রাম। সেই যুদ্ধ নিয়ে আলাদা করে একটা অংশ লিখব। ফিরে আসি ১৫ আগস্ট সকালে ঢাকার আওয়ামী লীগের চিত্র নিয়ে। সিনিয়র সব নেতার সঙ্গে কথা বললেন রক্ষীবাহিনীর দুই কর্মকর্তা সরোয়ার মোল্লা ও আনোয়ারুল আলম শহীদ। তাঁরা নেতাদের অনুরোধ করলেন, সারা দেশের কর্মীদের মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিতে। রক্ষীবাহিনী পাশে থাকবে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই দু-তিনটি জেলা নিজ উদ্যোগে মিছিল করেছিল। বাকিরা বের হয়নি। এখন যত কথা বলুক সেদিনের প্রতিরোধ ব্যর্থতার দায় তখনকার পুরো আওয়ামী লীগের সব শীর্ষ নেতাকে কমবেশি নিতে হবে।

রক্ষীবাহিনীর কর্নেল (অব.) সরোয়ার মোল্লা বলেছেন, তাঁরা সকালে ফোন করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাককে। যোগাযোগ করেছেন আরও অনেক নেতার সঙ্গে। একমাত্র তোফায়েল আহমেদ তাঁদের অফিসে এসেছিলেন। তোফায়েল আহমেদকে দিয়ে তাঁরা সারা দেশে কিছু ফোন করান। আবদুর রাজ্জাক কথা দিয়ে বলেছিলেন, আসবেন। তিনি যাননি রক্ষীবাহিনী অফিসে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পায়নি রক্ষীবাহিনী। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কিছুদিন আগে আমাকে বলেছেন, ১৫ আগস্ট তিনি পাবনায় ছিলেন। ঢাকার বাইরে যে গুটিকয় জেলায় বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ হয়েছিল পাবনা তার একটি। সকালে মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে ফোনে আলাপের ভিত্তিতে তিনি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মনসুর আলী সাহেব চেয়েছেন পাবনা থেকে আন্দোলন শুরু হোক। ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রক্ষীবাহিনীর স্থানীয় লিডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রক্ষীবাহিনীর জেলা লিডার তাঁকে জানান, ঢাকা থেকে নির্দেশ এসেছে প্রস্তুত থাকার। পাল্টা ব্যবস্থা নেবে রক্ষীবাহিনী। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হেডকোয়ার্টার থেকে। পাবনা জেলা সেভাবেই প্রস্তুত ছিল। রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাঁদের পরিচালক দেশে ছিলেন না। সিআইএ’র আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে তিনি লন্ডন ছিলেন। সকাল থেকে তাঁকে কেউ পাচ্ছিলেন না। লন্ডনে তখন মধ্যরাত। পরে পাওয়া গেলে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ ফলো করতে বলেন।

জানের ভয়ে ভীত আওয়ামী লীগ নেতারা চুপসে যান ভোরবেলায় খুনি ডালিমের বেতার ঘোষণায়। সেদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ ছিলেন শপথে ব্যস্ত, কেউ নিজের জীবন রক্ষায়। নেতাদের ভীতুর মতো অবস্থানই সর্বনাশ ঘটিয়ে দেয়। কর্মীরা সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়েন। ব্যর্থতা ও দ্বিধাদ্বন্দ্বের এ সুযোগ কাজে লাগায় খুনি খন্দকার মোশতাক চক্র। মোশতাক শপথে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে নেন সেনাবাহিনী পাঠিয়ে। আবার কেউ কেউ নিজেরাই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে যোগাযোগ করে ফুল নিয়ে যান। তখনকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ফণীভূষণ মজুমদার। তাঁকে হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তখন হাসপাতালে ছিলেন অসুস্থ হয়ে। তিনি সেনা সদস্যদের বলেছিলেন ফণীবাবুকে এভাবে হাসপাতাল থেকে না নিতে। ফণীবাবু সেনাবাহিনী দেখে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করেছিলেন। তাঁর প্রিয় মানুষ বাংলাদেশের জাতির পিতাকে খুন করা হয়েছে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী চূড়ান্ত ভদ্রলোক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী জার্মানিতে ফোন করে বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের খবর নিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট সকালে। মোশতাকের নির্দেশে তাঁকেও আর্মিরা তুলে নেয় শপথে। বহির্বিশ্বের সুনাম তৈরি করতে মোশতাক তাঁদের শপথে নেয়। মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই যোগ দেন উৎসাহ নিয়ে। শপথ অনুষ্ঠানে দেখা গেল বঙ্গবন্ধুর এডিসিরা হয়ে গেলেন মোশতাকের এডিসি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম আর পররাষ্ট্র সচিব ফকরুদ্দিন নিজেরা একসঙ্গে গাড়ি চালিয়ে যান বঙ্গভবনে। তাঁদের আনতে সেনাবাহিনীকে যেতে হয়নি।

মোশতাকের উপরাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদ উল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে জানা যায়, একজন সাধারণ উকিল থেকে বঙ্গবন্ধু তাঁকে দলীয় পদ অফিস সেক্রেটারি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া মোশতাক মন্ত্রিসভায় যোগ দেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, ফণীভূষণ মজুমদার, মনোরঞ্জন ধর, আবদুল মোমেন, আসাদুজ্জামান খান, ড. এ আর মল্লিক, ড. মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও সোহরাব হোসেন। প্রতিমন্ত্রী হন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, দেওয়ান ফরিদ গাজী, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও কে এম ওবায়দুর রহমান। ২০ আগস্ট শপথ নেন আরও পাঁচজন। তারা হলেন মোসলেম উদ্দিন খান, ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডল, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন ও মোমিন উদ্দিন আহমেদ। ২০ আগস্ট সেনা পাঠিয়ে শপথ গ্রহণের জন্য জিল্লুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদকে বঙ্গভবনে ধরে নিয়ে যান মোশতাক। হুমকির মুখেও দুজনই অসম্মতি জানিয়েছিলেন মোশতাক মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে। মিজানুর রহমান চৌধুরীকে ফোন করে বঙ্গভবনে নেওয়া হয়েছিল। তিনি মোশতাককে কৌশলে এড়িয়ে যান। মিজান চৌধুরী তখন মোশতাককে বলেছেন, তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন বদনাম নিয়ে। তাঁকে নেওয়া ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক কর্মী। মন্ত্রিসভায় নয়, সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ করবেন। কথাগুলো অনেক বছর আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমাকে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর এনএসআইপ্রধান এ বি এস সফদর পদোন্নতি পান মহাপরিচালক হিসেবে। শফিউল আজমকে ক্যাবিনেট সচিব করা হয়। মাহবুবুল আলম চাষীকে করা হয় মুখ্য সচিব। তোবারক হোসেনকে করা হয় পররাষ্ট্র সচিব। কেরামত আলীকে সংস্থাপন এখনকার জনপ্রশাসন সচিব করা হয়। এই কেরামত আলী ১৯৯১ সালে বিএনপির মন্ত্রী ছিলেন। রাজাকার জহির উদ্দিনকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত করা হয়। ইয়াহিয়ার মন্ত্রী কাজী আনোয়ারুল হক হলেন খুনি রাষ্ট্রপতির নতুন উপদেষ্টা। সার্বিক পরিস্থিতি বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে। হত্যার খবর শুনে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভেঙে পড়েন। পরে তিনি আটক হন সরকারি বাড়ি থেকে। ২৫ আগস্ট তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, জিল্লুর রহমান আটক হন। তাঁদের চোখ বেঁধে শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে রাখা হয়। তোফায়েল আহমেদের এপিএস মিন্টুকে নির্যাতন করে খুনি সেনা কর্মকর্তারা হত্যা করে। ২২ আগস্ট স্পিকার আবদুল মালেক উকিল লন্ডন যান ইউরোপিয়ান সংসদীয় পার্টির বৈঠকে যোগ দিতে। মহিউদ্দিন আহমেদ মস্কো গিয়েছিলেন বিশেষ দূত হয়ে। তিনি আবার ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। কয়েকজন এমপি মোশতাক সরকারকে শক্তিশালী করার পক্ষে বিবৃতি দেন। তাদের নাম প্রকাশ করা জরুরি জাতির সামনে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন ঢাকায় ছিলেন নবনিযুক্ত সব জেলা গভর্নর। এমপিরা ছিলেন নাখালপাড়া হোস্টেলে। কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই ঢাকায় ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতারা সারা দেশ থেকে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এমপি, গভর্নর আর কেন্দ্রীয় নেতারা বের হলেই পরিস্থিতি বদলে যেত। তাঁরা হেঁটে ৩২ নম্বর গেলে কতজনকে খুনিরা হত্যা করতে পারত? বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বের হয়ে ছাত্রলীগ পাড়ামহল্লায় মিছিল ছড়িয়ে দিতে পারত। তারা কেউ বের হননি। সবাই তখন ব্যস্ত নিজের নিরাপত্তা নিয়ে। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের কী হয়েছে, কে বেঁচে আছেন, কে নেই সেই খবর নেওয়ার কেউ ছিলেন না। ১৫ আগস্ট জাতির পিতার জন্য আওয়ামী লীগের কেউ জীবন দিলেন না। চট্টগ্রাম সেনা ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার দস্তগীর আশা করেছিলেন ঢাকার ৪৬ ব্রিগেড, রংপুর ব্রিগেডের হুদা বেরিয়ে আসবেন। তারা কোনো ভূমিকা নেননি। ঢাকা থেকে ওয়্যারলেসে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ যাচ্ছিল বারবার। ব্রিগেডিয়ার দস্তগীর কারও অনুরোধ শুনলেন না। তিনি চট্টগ্রামের সব নেতাকে ফোন করেন। তিনি বলেন, বেতারে ঘোষণা দিচ্ছি খুনি মেজর ও তাদের খুনি প্রেসিডেন্টকে আমরা মানি না। আপনারা আসুন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামুন। সবাই মিলে খুনিদের উৎখাত করবই। চট্টগ্রামের কোনো নেতাই যোগ দেননি দস্তগীরের সঙ্গে। তার পরও দস্তগীর রেডিওতে গিয়ে বলেছেন, আমরা সংবিধান রক্ষা করব। অবৈধ মোশতাক সরকারকে আমরা মানি না। দস্তগীরের ঘোষণা খুনিদের ভিতরে কম্পন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ঢাকার সিনিয়র অফিসাররা লাইন ধরে খুনিদের সমর্থন না জানালে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। আর আওয়ামী লীগ নেতারা বেরিয়ে এলে সারা দেশ হতো উত্তাল। ১৫ আগস্ট সবাই কাপুরুষের ভূমিকা নিলেন। নীরবে কাঁদলেন কর্মীরা।

১৫ আগস্ট ভোরে পুলিশের আইজি নুরুল ইসলাম ও সেনাপ্রধান শফিউল্লাহকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী। শফিউল্লাহ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ফোনের কথা স্বীকার করেন। মনসুর আলী ফোনে শফিউল্লাহ ও আইজিপিকে বলেন, কিছু লোক রেডিও অফিস দখল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিন। সেই ব্যবস্থা নিতে যাননি সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান। মনসুর আলী সাহেব তখনো জানতেন না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তার অনুরোধে বেতার ভবনে যায় রক্ষীবাহিনীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টহলরত একটি দল। তারা বেতার ভবনে প্রবেশের মুহূর্তে তাদের ভারী অস্ত্র তাক করে হ্যান্ডসআপ করায় মেজর ডালিম ও শাহরিয়ার। তাদের বেতার ভবনের ভিতরে আটকে রাখা হয়। রক্ষীবাহিনীর গাড়ির ব্যাটারি ব্যবহার করে বেতারের জেনারেটর চালু করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাদের বাইরে সে সময় আরেকজন ব্যক্তির নাম সামনে আসে তিনি সাইফুর রহমান। বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী। তিনি তখন বড় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। আত্মীয়তা কুমিল্লায়। সেই সুবাদে ১৭ আগস্ট তাঁর বাড়িতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের কথা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন খুনি রশীদের স্ত্রী জোবায়দা রশীদ। জোবায়দা বলেছেন, সেনাবাহিনীর তখনকার উপপ্রধান জিয়াউর রহমান ও তার স্বামী রশীদ সাইফুর রহমানের বাড়ির বৈঠকে ছিলেন। জিয়া রশীদের সাহায্য চান তাঁকে সেনাপ্রধান করার ব্যাপারে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করা হবে। এ বৈঠকের সাত দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হন। সহায়তার পুরস্কার হিসেবে সাইফুর রহমানকে পরবর্তী সময়ে জিয়া মন্ত্রী করেন। জিয়াউর রহমান খুনি মেজর চক্রসহ তার সব সহায়তাকারীকে মূল্যায়ন করেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজনীতিবিদদের টালমাটাল চিত্র দেখে প্রথম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রনেতারা। তারা রাজনীতিবিদদের ওপর চাপ প্রয়োগ শুরু করেন প্রতিবাদ শুরু করার জন্য। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু হত্যা মেনে নিতে পারছিল না। সবার আগে ছাত্রলীগ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। অন্য প্রগতিশীল ছাত্রনেতারাসহ তারা নিজেদের মধ্যে বসতে শুরু করে। এ নিয়ে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ লিখেছেন। ছাত্রনেতাদের মধ্যে রবিউল আলম, ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, ইসমত কাদির গামা, মমতাজ হোসেন, নুরুল ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কাজী আকরাম হোসেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কাজ শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আরও অনেকে যুক্ত হন। অধ্যাপক আবু সাইয়িদের বইতে এমপিদের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত রয়েছে। এমপিদের একটি গ্রুপ মোশতাককে বৈধতা দিতে বঙ্গভবনে বৈঠকের তৎপরতা শুরু করে। ছাত্রনেতারা মোশতাকের সঙ্গে বৈঠকের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের মতো বৈঠকের বিরুদ্ধে তখনকার এমপি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শামসুদ্দিন মোল্লা, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক, ডা. এস এ মালেক, ঝিনাইদহের কামরুজ্জামান, ডা. আবুল খায়ের, নুরুল আলম, রওশন আলী, এখলাস উদ্দিন আহমেদ, সালাহ উদ্দিন ইউসুফ, সরদার আমজাদ হোসেন, কসিমুদ্দিন আহমেদ, তফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, ডা. মেসবাহ উদ্দিনসহ অনেকে অবস্থান নেন।

১৬ অক্টোবর সকালে শতাধিক এমপি একত্র হন নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলে। অধ্যাপক সাইয়িদ লিখেছেন, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, সোহরাব হোসেন ও রফিকুদ্দিন ভূইয়ার দ্বৈত ভূমিকার কারণে এমপিরা বঙ্গভবনে যান। চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম ও হুইপ আবদুর রউফ বঙ্গভবনে যাওয়ার বিরোধীতাকারী এমপিদের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করেন। অন্য হুইপ মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীদের পক্ষে এবং বঙ্গভবনে যাওয়ার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত এমপিরা বঙ্গভবনে যান। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ লিখেছেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক সেদিন বঙ্গভবনে কড়া ভাষায় ইংরেজিতে বক্তব্য দেন। সিরাজুল হক বলেছিলেন, ‘মি. মোশতাক, আমি আপনাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সম্বোধন করতে পারি না। কোন আইনের বলে আপনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তা-ও জানি না। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে আপনি বঙ্গভবনে আশ্রয় নিয়েছেন এবং আমাদের বলেছেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেনে নিতে। আপনি যদি রাষ্ট্রপতি থাকতে চান, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হয়েছে তা আমাদের জানাতে হবে। আইন অনুযায়ী আপনাকে বৈধ রাষ্ট্রপতি বলা যায় না।’

অ্যান্থনি মাসকারেনহাস লিখেছেন, মোশতাকের সঙ্গে রশীদ সাক্ষাৎ করেন ২ আগস্ট। এ সময় মোশাররফ হোসেন মসু নামে একজন ছিলেন, যিনি মোশতাকের বন্ধু। মূলত মসু নিয়ে যান মোশতাকের কাছে রশীদকে। রশীদ সেদিন মোশতাককে নিয়ে আসার আগেই তাহের উদ্দিন ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন রেডিও স্টেশনে। খন্দকার মোশতাক খুনিদের বলেছেন সূর্যসন্তান। আর ১২ জনকে বিদেশে চাকরি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুক-রশীদ বলেছেন, তারা ২০ মার্চ ১৯৭৫ সালেই জিয়াকে বলেছেন সরকার পরিবর্তন করতে চান। জিয়া তাদের বলেছেন, দুঃখিত, আমি এমন কিছু করতে পারব না। তোমরা ইয়াং অফিসার যা খুশি করো গিয়ে। সেনা আইন অনুযায়ী এমন আলাপ করলে কোর্ট মার্শাল হওয়ার কথা। জিয়া সব জেনেও ছিলেন নীরব। আর মোশতাক সব জেনেও চুপ ছিলেন ক্ষমতা দখলের নেশায়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পুরো রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান। সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জাতির পিতাকে রক্ষা করতে না পারা এবং হত্যাকান্ডের খবর শুনে প্রতিবাদ, প্রতিরোধে দেশকে উত্তাল না করা। জীবনের ঝুঁকি জাতীয় নেতৃত্বের কেউ নিলে সারা দেশকে উত্তাল করতে পারত। ১০ হাজার লোক নিয়ে ঢাকায় মিছিল করার সক্ষমতা ছিল। একটা কিছু শুরু করলে তা ছড়িতে পড়ত সারা দেশে। প্রতিবাদী জনতার কতজনকে খুনিরা শেষ করতে পারত? সেদিনের সিদ্ধান্তহীনতা, ব্যর্থতার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই আওয়ামী লীগকে আগামীর পথে চলতে হবে। আরেকটা প্রজন্মের কাছে জবাবদিহিতার জন্য মুখোমুখি থাকতে হবে সব সময়।

       ♦   লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
পুশইন বিড়ম্বনা
পুশইন বিড়ম্বনা
মব ফ্যাসিজম
মব ফ্যাসিজম
কোরবানির শিক্ষা প্রতিফলিত হোক সমাজের সর্বস্তরে
কোরবানির শিক্ষা প্রতিফলিত হোক সমাজের সর্বস্তরে
কেঁচো সারে কর্মসংস্থান
কেঁচো সারে কর্মসংস্থান
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
মাদকের বদলে নিত্যপণ্য
মাদকের বদলে নিত্যপণ্য
তীব্র তাপপ্রবাহ
তীব্র তাপপ্রবাহ
শক্তি সঞ্চয় করতে হবে
শক্তি সঞ্চয় করতে হবে
রসুল (সা.) যেভাবে জাতিগত ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন
রসুল (সা.) যেভাবে জাতিগত ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন
নজর এখন লন্ডনে
নজর এখন লন্ডনে
নির্বাচন হোক ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে
নির্বাচন হোক ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে
গণতান্ত্রিক উত্তরণে নতুন সম্ভাবনা
গণতান্ত্রিক উত্তরণে নতুন সম্ভাবনা
সর্বশেষ খবর
চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য গ্রেফতার
চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য গ্রেফতার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ১৭ কি.মি ধীরগতির যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ১৭ কি.মি ধীরগতির যানজট

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিএনজিতে বাসের ধাক্কা, যুবক নিহত
সিএনজিতে বাসের ধাক্কা, যুবক নিহত

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানের নতুন সেনাপ্রধান আমির হাতেমি
ইরানের নতুন সেনাপ্রধান আমির হাতেমি

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ বছর পর ঘুচল ‘চোকার্স’ তকমা
২৭ বছর পর ঘুচল ‘চোকার্স’ তকমা

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় গণহত্যা ও ইরানে হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন
গাজায় গণহত্যা ও ইরানে হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইতিহাস গড়ে টেস্ট চ‍্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা
ইতিহাস গড়ে টেস্ট চ‍্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঈদের ছুটিতেও সচল ছিলো বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ
ঈদের ছুটিতেও সচল ছিলো বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান
বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লক্ষ্মীপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে ক্যাম্পেইন
লক্ষ্মীপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে ক্যাম্পেইন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা বন্দরে এসেছে বিশ্বের বিখ্যাত হেভি লিফট ভ্যাসেল
মোংলা বন্দরে এসেছে বিশ্বের বিখ্যাত হেভি লিফট ভ্যাসেল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের তিন পরমাণু বিজ্ঞানী, তিন আইআরজিসি সদস্য নিহত
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের তিন পরমাণু বিজ্ঞানী, তিন আইআরজিসি সদস্য নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাসিরনগরে ১ দোকানে চুরি
নাসিরনগরে ১ দোকানে চুরি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে খেলাফত মজলিসের ঈদ পুনর্মিলনী
লক্ষ্মীপুরে খেলাফত মজলিসের ঈদ পুনর্মিলনী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা : জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট
নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা : জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সব বিমানবন্দরের ফ্লাইট স্থগিত করল ইরান
সব বিমানবন্দরের ফ্লাইট স্থগিত করল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি খাতের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
সরকারি খাতের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৫ পরিবহনকে জরিমানা
গোপালগঞ্জে ৫ পরিবহনকে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি জনগণকে ছেড়ে পালিয়ে যায়নি: মীর নাছির
বিএনপি জনগণকে ছেড়ে পালিয়ে যায়নি: মীর নাছির

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাঙামাটিতে মাদকবিরোধী অভিযানে একজনের কারাদণ্ড
রাঙামাটিতে মাদকবিরোধী অভিযানে একজনের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুলাউড়ায় দরিদ্রদের জন্য ফ্রি চিকিৎসা
কুলাউড়ায় দরিদ্রদের জন্য ফ্রি চিকিৎসা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেল সেতুতে ধাক্কা দিয়ে নদীতে তলিয়ে গেল বাল্কহেড
রেল সেতুতে ধাক্কা দিয়ে নদীতে তলিয়ে গেল বাল্কহেড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঈদের ছুটিতে নেত্রকোনার হাওরে ছুটছেন ভ্রমণপিপাসুরা
ঈদের ছুটিতে নেত্রকোনার হাওরে ছুটছেন ভ্রমণপিপাসুরা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র হোপ নেভার ডাইয়ের প্রিমিয়ার ২০ জুন
নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র হোপ নেভার ডাইয়ের প্রিমিয়ার ২০ জুন

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দিনাজপুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
দিনাজপুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কামিন্সদের দাবি আমলে নিচ্ছে না আইসিসি, ২০৩১ পর্যন্ত টেস্ট ফাইনাল লন্ডনেই
কামিন্সদের দাবি আমলে নিচ্ছে না আইসিসি, ২০৩১ পর্যন্ত টেস্ট ফাইনাল লন্ডনেই

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাইনি নদীতে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
মাইনি নদীতে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ নিহত
ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ নিহত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হবিগঞ্জে ফোনে কথা বলতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে ফোনে কথা বলতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি ইরানের
ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি ইরানের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন
নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা
মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব, এক ইহুদির রোমহর্ষক বর্ণনা
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব, এক ইহুদির রোমহর্ষক বর্ণনা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত
ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও নারী পাইলট আটকের দাবি, যা বলল ইসরায়েল
ইরানে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও নারী পাইলট আটকের দাবি, যা বলল ইসরায়েল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে ৩০০ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা
ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে ৩০০ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে তৃতীয় দফায় মিসাইল হামলা ইরানের
ইসরায়েলে তৃতীয় দফায় মিসাইল হামলা ইরানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৭০, শক্তিশালী জবাবের অঙ্গীকার ইরানের
ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৭০, শক্তিশালী জবাবের অঙ্গীকার ইরানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল’
জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের
আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরতে না পারা ইরানি হাজিদের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব
দেশে ফিরতে না পারা ইরানি হাজিদের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলার জবাব’
‘ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলার জবাব’

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি
ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের পাশে জ্বলছে আগুন
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের পাশে জ্বলছে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস
ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মগোপনে নেতানিয়াহু!
আত্মগোপনে নেতানিয়াহু!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান
আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নরকের দরজা খুলে যাবে ইসরায়েলের জন্য’
‘নরকের দরজা খুলে যাবে ইসরায়েলের জন্য’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পাশে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুকে একবিংশ শতাব্দীর হিটলার বলে নিন্দা
ইরানের পাশে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুকে একবিংশ শতাব্দীর হিটলার বলে নিন্দা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুঁশিয়ারি
ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুঁশিয়ারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা
মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন
আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমান বিধ্বস্তে অনেক প্রশ্ন
বিমান বিধ্বস্তে অনেক প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা
ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডনে কী কথা হলো খসরু খলিলের
লন্ডনে কী কথা হলো খসরু খলিলের

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নাখোশ হামজা!
টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নাখোশ হামজা!

মাঠে ময়দানে

সমালোচনার মুখে টাকা ফেরত দিলেন শাকিব
সমালোচনার মুখে টাকা ফেরত দিলেন শাকিব

শোবিজ

এখন প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে দেশবাসী
এখন প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঙাশের দাম ৩৫ হাজার টাকা
পাঙাশের দাম ৩৫ হাজার টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের এবার শ্রীলঙ্কা মিশন
নাজমুলদের এবার শ্রীলঙ্কা মিশন

মাঠে ময়দানে

হনুমানের সঙ্গে সখ্য
হনুমানের সঙ্গে সখ্য

শনিবারের সকাল

ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায়
ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায়

শোবিজ

দাম কমেছে সবজি মুরগির মাছের বাজার চড়া
দাম কমেছে সবজি মুরগির মাছের বাজার চড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

নৃশংস হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
নৃশংস হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রথম পৃষ্ঠা

ধরা পড়ে মাত্র ১০ শতাংশ
ধরা পড়ে মাত্র ১০ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি যুগের সিনেমা ‘এপার ওপার’ - সোমার প্রেমে সোহেল রানা
সোনালি যুগের সিনেমা ‘এপার ওপার’ - সোমার প্রেমে সোহেল রানা

শোবিজ

যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও
যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই নেতা জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন
দুই নেতা জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামপন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবি
ইসলামপন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা এনসিপির
সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা এনসিপির

পেছনের পৃষ্ঠা

নীরবে নিভৃতে ক্লাব বিশ্বকাপ
নীরবে নিভৃতে ক্লাব বিশ্বকাপ

মাঠে ময়দানে

কাজলের অপছন্দ
কাজলের অপছন্দ

শোবিজ

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

মাঠে ময়দানে

বিশ্বকে অস্থির করেছে ইসরায়েল
বিশ্বকে অস্থির করেছে ইসরায়েল

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যানেল আইতে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজ
চ্যানেল আইতে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজ

শোবিজ

স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির
স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

করোনায় মারা গেলেন দুজন, শনাক্ত ১৫
করোনায় মারা গেলেন দুজন, শনাক্ত ১৫

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমা চেয়ে কামব্যাকের আশা আল আমিনের
ক্ষমা চেয়ে কামব্যাকের আশা আল আমিনের

মাঠে ময়দানে

চ্যাম্পিয়ন হয়েও এলোমেলো মোহামেডান
চ্যাম্পিয়ন হয়েও এলোমেলো মোহামেডান

মাঠে ময়দানে

খুলে দেওয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি গ্রেপ্তার আরও ৬
খুলে দেওয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি গ্রেপ্তার আরও ৬

পেছনের পৃষ্ঠা