শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার লাশ পড়ে থাকল এলো না কেউ

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার লাশ পড়ে থাকল এলো না কেউ

খুনিদের নিষ্ঠুরতা বর্বরতায় পুরো ৩২ নম্বর বিষাদ সিন্ধুর কারবালা ময়দানকে হার মানায়। বিশ্বমানবতা, সভ্যতা সবকিছু ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল রাতভর খুনিদের তান্ডবলীলায়। ১৫ আগস্ট সারা দিন শেষ হয়ে রাত অবধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে পড়ে থাকল। কেউ এগিয়ে গেল না। রাত ১২টায় একটি দিন শেষ হয়ে গেল। ঘড়ির কাঁটায় যোগ হলো ১৬ আগস্ট। লে. কর্নেল হামিদ বঙ্গভবনের নির্দেশে ১৬ আগস্ট ভোররাতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলেন সব লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে। তার যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার লাশ সিঁড়িতে পড়ে ছিল। কোনো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকে ধানমন্ডির আশপাশে দেখা গেল না। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নেতার লাশ রেখেই কাপুরুষের মতো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতারা ব্যস্ত হলেন নিজেদের বেঁচে থাকার চিন্তায়। অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালালেন। আরেক দল যোগ দিলেন বেইমান মোশতাকের মন্ত্রিসভায়। নির্লজ্জের মতো শপথ পড়লেন। অথচ মাত্র ১২ ঘণ্টা আগেও বঙ্গবন্ধু কার দিকে তাকালেন, তারা এ নিয়ে ঘুম হারাম করতেন। সেই নেতারা বঙ্গবন্ধুর লাশ সিঁড়িতে রেখেই ব্যস্ত হলেন ক্ষমতার ভাগ নিয়ে। বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথ পরিচালনা করলেন ক্যাবিনেট সচিব এইচ টি ইমাম। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিভিন্ন বাহিনী প্রধান চূড়ান্ত বেহায়াপনা নিয়ে সেই শপথে দাঁড়িয়ে থাকলেন।

আচ্ছা আওয়ামী লীগ কেন প্রতিরোধ গড়তে পারল না? সেনাবাহিনীর কর্নেল জামিল জীবন দিলেন। দায়িত্বরত পুলিশের একজন ডিএসপিসহ দুজন সদস্য লড়ে প্রাণ হারালেন। নির্দেশের অভাবে রক্ষীবাহিনীর তিন সদস্য কিছু করতে না পারার কষ্টে আত্মহত্যা করেন। চট্টগ্রামের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার দস্তগীর ১৫ আগস্ট খুনিদের বিরুদ্ধে পাল্টা অবস্থানের ঘোষণা দেন। তিনি বেতার ভবনে গিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের ডাকলেন। ফোন করলেন। অনুরোধ করলেন মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসতে। তাঁর আহ্বানে কেউ সাড়া দিলেন না। ঢাকায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ব্যাপক সাংগঠনিক অবস্থান ছিল না। তার পরও জাতির পিতার নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে তিনি বসে থাকতে পারলেন না। ঢাকা ছাড়লেন। নিজের অঞ্চলে গিয়ে ডাক দিলেন প্রতিরোধযুদ্ধের। শুরু করলেন আরেক সংগ্রাম। সেই যুদ্ধ নিয়ে আলাদা করে একটা অংশ লিখব। ফিরে আসি ১৫ আগস্ট সকালে ঢাকার আওয়ামী লীগের চিত্র নিয়ে। সিনিয়র সব নেতার সঙ্গে কথা বললেন রক্ষীবাহিনীর দুই কর্মকর্তা সরোয়ার মোল্লা ও আনোয়ারুল আলম শহীদ। তাঁরা নেতাদের অনুরোধ করলেন, সারা দেশের কর্মীদের মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিতে। রক্ষীবাহিনী পাশে থাকবে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই দু-তিনটি জেলা নিজ উদ্যোগে মিছিল করেছিল। বাকিরা বের হয়নি। এখন যত কথা বলুক সেদিনের প্রতিরোধ ব্যর্থতার দায় তখনকার পুরো আওয়ামী লীগের সব শীর্ষ নেতাকে কমবেশি নিতে হবে।

রক্ষীবাহিনীর কর্নেল (অব.) সরোয়ার মোল্লা বলেছেন, তাঁরা সকালে ফোন করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাককে। যোগাযোগ করেছেন আরও অনেক নেতার সঙ্গে। একমাত্র তোফায়েল আহমেদ তাঁদের অফিসে এসেছিলেন। তোফায়েল আহমেদকে দিয়ে তাঁরা সারা দেশে কিছু ফোন করান। আবদুর রাজ্জাক কথা দিয়ে বলেছিলেন, আসবেন। তিনি যাননি রক্ষীবাহিনী অফিসে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পায়নি রক্ষীবাহিনী। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কিছুদিন আগে আমাকে বলেছেন, ১৫ আগস্ট তিনি পাবনায় ছিলেন। ঢাকার বাইরে যে গুটিকয় জেলায় বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ হয়েছিল পাবনা তার একটি। সকালে মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে ফোনে আলাপের ভিত্তিতে তিনি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মনসুর আলী সাহেব চেয়েছেন পাবনা থেকে আন্দোলন শুরু হোক। ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রক্ষীবাহিনীর স্থানীয় লিডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রক্ষীবাহিনীর জেলা লিডার তাঁকে জানান, ঢাকা থেকে নির্দেশ এসেছে প্রস্তুত থাকার। পাল্টা ব্যবস্থা নেবে রক্ষীবাহিনী। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হেডকোয়ার্টার থেকে। পাবনা জেলা সেভাবেই প্রস্তুত ছিল। রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাঁদের পরিচালক দেশে ছিলেন না। সিআইএ’র আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে তিনি লন্ডন ছিলেন। সকাল থেকে তাঁকে কেউ পাচ্ছিলেন না। লন্ডনে তখন মধ্যরাত। পরে পাওয়া গেলে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ ফলো করতে বলেন।

জানের ভয়ে ভীত আওয়ামী লীগ নেতারা চুপসে যান ভোরবেলায় খুনি ডালিমের বেতার ঘোষণায়। সেদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ ছিলেন শপথে ব্যস্ত, কেউ নিজের জীবন রক্ষায়। নেতাদের ভীতুর মতো অবস্থানই সর্বনাশ ঘটিয়ে দেয়। কর্মীরা সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়েন। ব্যর্থতা ও দ্বিধাদ্বন্দ্বের এ সুযোগ কাজে লাগায় খুনি খন্দকার মোশতাক চক্র। মোশতাক শপথে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে নেন সেনাবাহিনী পাঠিয়ে। আবার কেউ কেউ নিজেরাই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে যোগাযোগ করে ফুল নিয়ে যান। তখনকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ফণীভূষণ মজুমদার। তাঁকে হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তখন হাসপাতালে ছিলেন অসুস্থ হয়ে। তিনি সেনা সদস্যদের বলেছিলেন ফণীবাবুকে এভাবে হাসপাতাল থেকে না নিতে। ফণীবাবু সেনাবাহিনী দেখে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করেছিলেন। তাঁর প্রিয় মানুষ বাংলাদেশের জাতির পিতাকে খুন করা হয়েছে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী চূড়ান্ত ভদ্রলোক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী জার্মানিতে ফোন করে বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের খবর নিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট সকালে। মোশতাকের নির্দেশে তাঁকেও আর্মিরা তুলে নেয় শপথে। বহির্বিশ্বের সুনাম তৈরি করতে মোশতাক তাঁদের শপথে নেয়। মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই যোগ দেন উৎসাহ নিয়ে। শপথ অনুষ্ঠানে দেখা গেল বঙ্গবন্ধুর এডিসিরা হয়ে গেলেন মোশতাকের এডিসি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম আর পররাষ্ট্র সচিব ফকরুদ্দিন নিজেরা একসঙ্গে গাড়ি চালিয়ে যান বঙ্গভবনে। তাঁদের আনতে সেনাবাহিনীকে যেতে হয়নি।

মোশতাকের উপরাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদ উল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে জানা যায়, একজন সাধারণ উকিল থেকে বঙ্গবন্ধু তাঁকে দলীয় পদ অফিস সেক্রেটারি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া মোশতাক মন্ত্রিসভায় যোগ দেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, ফণীভূষণ মজুমদার, মনোরঞ্জন ধর, আবদুল মোমেন, আসাদুজ্জামান খান, ড. এ আর মল্লিক, ড. মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও সোহরাব হোসেন। প্রতিমন্ত্রী হন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, দেওয়ান ফরিদ গাজী, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও কে এম ওবায়দুর রহমান। ২০ আগস্ট শপথ নেন আরও পাঁচজন। তারা হলেন মোসলেম উদ্দিন খান, ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডল, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন ও মোমিন উদ্দিন আহমেদ। ২০ আগস্ট সেনা পাঠিয়ে শপথ গ্রহণের জন্য জিল্লুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদকে বঙ্গভবনে ধরে নিয়ে যান মোশতাক। হুমকির মুখেও দুজনই অসম্মতি জানিয়েছিলেন মোশতাক মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে। মিজানুর রহমান চৌধুরীকে ফোন করে বঙ্গভবনে নেওয়া হয়েছিল। তিনি মোশতাককে কৌশলে এড়িয়ে যান। মিজান চৌধুরী তখন মোশতাককে বলেছেন, তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন বদনাম নিয়ে। তাঁকে নেওয়া ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক কর্মী। মন্ত্রিসভায় নয়, সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ করবেন। কথাগুলো অনেক বছর আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমাকে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর এনএসআইপ্রধান এ বি এস সফদর পদোন্নতি পান মহাপরিচালক হিসেবে। শফিউল আজমকে ক্যাবিনেট সচিব করা হয়। মাহবুবুল আলম চাষীকে করা হয় মুখ্য সচিব। তোবারক হোসেনকে করা হয় পররাষ্ট্র সচিব। কেরামত আলীকে সংস্থাপন এখনকার জনপ্রশাসন সচিব করা হয়। এই কেরামত আলী ১৯৯১ সালে বিএনপির মন্ত্রী ছিলেন। রাজাকার জহির উদ্দিনকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত করা হয়। ইয়াহিয়ার মন্ত্রী কাজী আনোয়ারুল হক হলেন খুনি রাষ্ট্রপতির নতুন উপদেষ্টা। সার্বিক পরিস্থিতি বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে। হত্যার খবর শুনে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভেঙে পড়েন। পরে তিনি আটক হন সরকারি বাড়ি থেকে। ২৫ আগস্ট তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, জিল্লুর রহমান আটক হন। তাঁদের চোখ বেঁধে শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে রাখা হয়। তোফায়েল আহমেদের এপিএস মিন্টুকে নির্যাতন করে খুনি সেনা কর্মকর্তারা হত্যা করে। ২২ আগস্ট স্পিকার আবদুল মালেক উকিল লন্ডন যান ইউরোপিয়ান সংসদীয় পার্টির বৈঠকে যোগ দিতে। মহিউদ্দিন আহমেদ মস্কো গিয়েছিলেন বিশেষ দূত হয়ে। তিনি আবার ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। কয়েকজন এমপি মোশতাক সরকারকে শক্তিশালী করার পক্ষে বিবৃতি দেন। তাদের নাম প্রকাশ করা জরুরি জাতির সামনে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন ঢাকায় ছিলেন নবনিযুক্ত সব জেলা গভর্নর। এমপিরা ছিলেন নাখালপাড়া হোস্টেলে। কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই ঢাকায় ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতারা সারা দেশ থেকে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এমপি, গভর্নর আর কেন্দ্রীয় নেতারা বের হলেই পরিস্থিতি বদলে যেত। তাঁরা হেঁটে ৩২ নম্বর গেলে কতজনকে খুনিরা হত্যা করতে পারত? বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বের হয়ে ছাত্রলীগ পাড়ামহল্লায় মিছিল ছড়িয়ে দিতে পারত। তারা কেউ বের হননি। সবাই তখন ব্যস্ত নিজের নিরাপত্তা নিয়ে। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের কী হয়েছে, কে বেঁচে আছেন, কে নেই সেই খবর নেওয়ার কেউ ছিলেন না। ১৫ আগস্ট জাতির পিতার জন্য আওয়ামী লীগের কেউ জীবন দিলেন না। চট্টগ্রাম সেনা ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার দস্তগীর আশা করেছিলেন ঢাকার ৪৬ ব্রিগেড, রংপুর ব্রিগেডের হুদা বেরিয়ে আসবেন। তারা কোনো ভূমিকা নেননি। ঢাকা থেকে ওয়্যারলেসে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ যাচ্ছিল বারবার। ব্রিগেডিয়ার দস্তগীর কারও অনুরোধ শুনলেন না। তিনি চট্টগ্রামের সব নেতাকে ফোন করেন। তিনি বলেন, বেতারে ঘোষণা দিচ্ছি খুনি মেজর ও তাদের খুনি প্রেসিডেন্টকে আমরা মানি না। আপনারা আসুন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামুন। সবাই মিলে খুনিদের উৎখাত করবই। চট্টগ্রামের কোনো নেতাই যোগ দেননি দস্তগীরের সঙ্গে। তার পরও দস্তগীর রেডিওতে গিয়ে বলেছেন, আমরা সংবিধান রক্ষা করব। অবৈধ মোশতাক সরকারকে আমরা মানি না। দস্তগীরের ঘোষণা খুনিদের ভিতরে কম্পন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ঢাকার সিনিয়র অফিসাররা লাইন ধরে খুনিদের সমর্থন না জানালে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। আর আওয়ামী লীগ নেতারা বেরিয়ে এলে সারা দেশ হতো উত্তাল। ১৫ আগস্ট সবাই কাপুরুষের ভূমিকা নিলেন। নীরবে কাঁদলেন কর্মীরা।

১৫ আগস্ট ভোরে পুলিশের আইজি নুরুল ইসলাম ও সেনাপ্রধান শফিউল্লাহকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী। শফিউল্লাহ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ফোনের কথা স্বীকার করেন। মনসুর আলী ফোনে শফিউল্লাহ ও আইজিপিকে বলেন, কিছু লোক রেডিও অফিস দখল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিন। সেই ব্যবস্থা নিতে যাননি সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান। মনসুর আলী সাহেব তখনো জানতেন না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তার অনুরোধে বেতার ভবনে যায় রক্ষীবাহিনীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টহলরত একটি দল। তারা বেতার ভবনে প্রবেশের মুহূর্তে তাদের ভারী অস্ত্র তাক করে হ্যান্ডসআপ করায় মেজর ডালিম ও শাহরিয়ার। তাদের বেতার ভবনের ভিতরে আটকে রাখা হয়। রক্ষীবাহিনীর গাড়ির ব্যাটারি ব্যবহার করে বেতারের জেনারেটর চালু করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাদের বাইরে সে সময় আরেকজন ব্যক্তির নাম সামনে আসে তিনি সাইফুর রহমান। বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী। তিনি তখন বড় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। আত্মীয়তা কুমিল্লায়। সেই সুবাদে ১৭ আগস্ট তাঁর বাড়িতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের কথা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন খুনি রশীদের স্ত্রী জোবায়দা রশীদ। জোবায়দা বলেছেন, সেনাবাহিনীর তখনকার উপপ্রধান জিয়াউর রহমান ও তার স্বামী রশীদ সাইফুর রহমানের বাড়ির বৈঠকে ছিলেন। জিয়া রশীদের সাহায্য চান তাঁকে সেনাপ্রধান করার ব্যাপারে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করা হবে। এ বৈঠকের সাত দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হন। সহায়তার পুরস্কার হিসেবে সাইফুর রহমানকে পরবর্তী সময়ে জিয়া মন্ত্রী করেন। জিয়াউর রহমান খুনি মেজর চক্রসহ তার সব সহায়তাকারীকে মূল্যায়ন করেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজনীতিবিদদের টালমাটাল চিত্র দেখে প্রথম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রনেতারা। তারা রাজনীতিবিদদের ওপর চাপ প্রয়োগ শুরু করেন প্রতিবাদ শুরু করার জন্য। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু হত্যা মেনে নিতে পারছিল না। সবার আগে ছাত্রলীগ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। অন্য প্রগতিশীল ছাত্রনেতারাসহ তারা নিজেদের মধ্যে বসতে শুরু করে। এ নিয়ে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ লিখেছেন। ছাত্রনেতাদের মধ্যে রবিউল আলম, ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, ইসমত কাদির গামা, মমতাজ হোসেন, নুরুল ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কাজী আকরাম হোসেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কাজ শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আরও অনেকে যুক্ত হন। অধ্যাপক আবু সাইয়িদের বইতে এমপিদের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত রয়েছে। এমপিদের একটি গ্রুপ মোশতাককে বৈধতা দিতে বঙ্গভবনে বৈঠকের তৎপরতা শুরু করে। ছাত্রনেতারা মোশতাকের সঙ্গে বৈঠকের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের মতো বৈঠকের বিরুদ্ধে তখনকার এমপি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শামসুদ্দিন মোল্লা, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক, ডা. এস এ মালেক, ঝিনাইদহের কামরুজ্জামান, ডা. আবুল খায়ের, নুরুল আলম, রওশন আলী, এখলাস উদ্দিন আহমেদ, সালাহ উদ্দিন ইউসুফ, সরদার আমজাদ হোসেন, কসিমুদ্দিন আহমেদ, তফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, ডা. মেসবাহ উদ্দিনসহ অনেকে অবস্থান নেন।

১৬ অক্টোবর সকালে শতাধিক এমপি একত্র হন নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলে। অধ্যাপক সাইয়িদ লিখেছেন, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, সোহরাব হোসেন ও রফিকুদ্দিন ভূইয়ার দ্বৈত ভূমিকার কারণে এমপিরা বঙ্গভবনে যান। চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম ও হুইপ আবদুর রউফ বঙ্গভবনে যাওয়ার বিরোধীতাকারী এমপিদের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করেন। অন্য হুইপ মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীদের পক্ষে এবং বঙ্গভবনে যাওয়ার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত এমপিরা বঙ্গভবনে যান। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ লিখেছেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক সেদিন বঙ্গভবনে কড়া ভাষায় ইংরেজিতে বক্তব্য দেন। সিরাজুল হক বলেছিলেন, ‘মি. মোশতাক, আমি আপনাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সম্বোধন করতে পারি না। কোন আইনের বলে আপনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তা-ও জানি না। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে আপনি বঙ্গভবনে আশ্রয় নিয়েছেন এবং আমাদের বলেছেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেনে নিতে। আপনি যদি রাষ্ট্রপতি থাকতে চান, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হয়েছে তা আমাদের জানাতে হবে। আইন অনুযায়ী আপনাকে বৈধ রাষ্ট্রপতি বলা যায় না।’

অ্যান্থনি মাসকারেনহাস লিখেছেন, মোশতাকের সঙ্গে রশীদ সাক্ষাৎ করেন ২ আগস্ট। এ সময় মোশাররফ হোসেন মসু নামে একজন ছিলেন, যিনি মোশতাকের বন্ধু। মূলত মসু নিয়ে যান মোশতাকের কাছে রশীদকে। রশীদ সেদিন মোশতাককে নিয়ে আসার আগেই তাহের উদ্দিন ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন রেডিও স্টেশনে। খন্দকার মোশতাক খুনিদের বলেছেন সূর্যসন্তান। আর ১২ জনকে বিদেশে চাকরি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুক-রশীদ বলেছেন, তারা ২০ মার্চ ১৯৭৫ সালেই জিয়াকে বলেছেন সরকার পরিবর্তন করতে চান। জিয়া তাদের বলেছেন, দুঃখিত, আমি এমন কিছু করতে পারব না। তোমরা ইয়াং অফিসার যা খুশি করো গিয়ে। সেনা আইন অনুযায়ী এমন আলাপ করলে কোর্ট মার্শাল হওয়ার কথা। জিয়া সব জেনেও ছিলেন নীরব। আর মোশতাক সব জেনেও চুপ ছিলেন ক্ষমতা দখলের নেশায়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পুরো রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান। সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জাতির পিতাকে রক্ষা করতে না পারা এবং হত্যাকান্ডের খবর শুনে প্রতিবাদ, প্রতিরোধে দেশকে উত্তাল না করা। জীবনের ঝুঁকি জাতীয় নেতৃত্বের কেউ নিলে সারা দেশকে উত্তাল করতে পারত। ১০ হাজার লোক নিয়ে ঢাকায় মিছিল করার সক্ষমতা ছিল। একটা কিছু শুরু করলে তা ছড়িতে পড়ত সারা দেশে। প্রতিবাদী জনতার কতজনকে খুনিরা শেষ করতে পারত? সেদিনের সিদ্ধান্তহীনতা, ব্যর্থতার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই আওয়ামী লীগকে আগামীর পথে চলতে হবে। আরেকটা প্রজন্মের কাছে জবাবদিহিতার জন্য মুখোমুখি থাকতে হবে সব সময়।

       ♦   লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
পীরগাছায় পদ্মরাগ ট্রেনের ৬ বগি লাইনচ্যুত, ২০ যাত্রী আহত
পীরগাছায় পদ্মরাগ ট্রেনের ৬ বগি লাইনচ্যুত, ২০ যাত্রী আহত

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক?
ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক?

৫ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফিরলেন স্মৃতি মান্ধানা
র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফিরলেন স্মৃতি মান্ধানা

৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে : দুদু
সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে : দুদু

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাত্র ফোরামের আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাত্র ফোরামের আত্মপ্রকাশ

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

নেত্রকোনায় ওজোন স্তর দিবসে আলোচনা সভা ও প্রকৃতিবন্ধন
নেত্রকোনায় ওজোন স্তর দিবসে আলোচনা সভা ও প্রকৃতিবন্ধন

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ
তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী
ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

২০ মিনিট আগে | শোবিজ

৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

চা শ্রমিক-মালিকদের দাবি পূরণে সরকার কাজ করছে
চা শ্রমিক-মালিকদের দাবি পূরণে সরকার কাজ করছে

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সার আমদানির চুক্তি অনুমোদনে সরকারের সুপারিশ
সার আমদানির চুক্তি অনুমোদনে সরকারের সুপারিশ

২৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে লুক্সেমবার্গ
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে লুক্সেমবার্গ

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা, বিপদসীমা ছাড়িয়েছে সুরমা কুশিয়ারা
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা, বিপদসীমা ছাড়িয়েছে সুরমা কুশিয়ারা

৩৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক আলাউদ্দিন খান
শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক আলাউদ্দিন খান

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

ইকোনমিক পার্টারনশিপ এগ্রিমেন্ট দ্রুত স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানের রাষ্ট্রদূত
ইকোনমিক পার্টারনশিপ এগ্রিমেন্ট দ্রুত স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানের রাষ্ট্রদূত

৪২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজিবপুরে অসুস্থ নারীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
রাজিবপুরে অসুস্থ নারীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পেঁয়াজ আমদানির আইপি উন্মুক্তের দাবি আমদানি-রপ্তানিকারকদের
পেঁয়াজ আমদানির আইপি উন্মুক্তের দাবি আমদানি-রপ্তানিকারকদের

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গু মোকাবিলায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা
ডেঙ্গু মোকাবিলায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

৪৮ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ওসমানী হাসপাতালে ছিনতাইকালে গ্রেফতার ২
ওসমানী হাসপাতালে ছিনতাইকালে গ্রেফতার ২

৫৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় মা-ছেলে খুন
বগুড়ায় মা-ছেলে খুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শর্তসাপেক্ষে দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবে ৩৭ প্রতিষ্ঠান
শর্তসাপেক্ষে দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবে ৩৭ প্রতিষ্ঠান

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অখণ্ড ভাঙ্গা রক্ষার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ
অখণ্ড ভাঙ্গা রক্ষার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুপার ফোরে উঠতে আত্মবিশ্বাসী টাইগার কোচ
সুপার ফোরে উঠতে আত্মবিশ্বাসী টাইগার কোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনায় ৯ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিলো সরকার
খুলনায় ৯ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিলো সরকার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সোনাপুরে প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, কলেজছাত্রীসহ আহত ২
সোনাপুরে প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, কলেজছাত্রীসহ আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজামুখী ত্রাণবহরে যোগ দিচ্ছে গ্রিসের দুই জাহাজ
গাজামুখী ত্রাণবহরে যোগ দিচ্ছে গ্রিসের দুই জাহাজ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম
অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম

পেছনের পৃষ্ঠা

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন