শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

এ আন্দোলন কি শুধুই কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ওয়াহিদা আক্তার
এ আন্দোলন কি শুধুই কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের যত অর্জন বাংলা ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন সব এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনে কতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। জ্বালাও-পোড়াও করে দেশের এত সম্পদ নষ্ট করা হলো কেন। এই কি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যাদের মেধা, মননশীলতা নিয়ে গর্ব করে বলি ২০৪১-পরবর্তী উন্নত বাংলাদেশের কর্ণধার হবে আমাদের এই সন্তানরা, আমাদের নতুন প্রজন্ম। এখনো যারা দেশ পরিচালনা করছেন তাঁদের অনেকে এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গর্ববোধ করেন।

কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের কোনো দ্বিমত ছিল না। অথচ কী দেখলাম! আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। আমি বিস্মিত! হতভম্ব! এবং একই সঙ্গে দারুণ মর্মাহত। দেশের শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন প্রণয়ন বিভাগ পারস্পরিক মর্যাদা ও শ্রদ্ধা অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করে। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করে। দেশ কীভাবে চলে বা এক কথায় দেশ কীভাবে কাজ করে তার ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান হিসেবে জানা থাকা কাম্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবীগণ ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। যেখানে প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার চর্চা হতো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন যেসব ছাত্র জনতা, বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন পেশাজীবী, বাঙালি, সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, আনসার বাহিনী ও নাম না জানা লাখ লাখ বাঙালি নর-নারী আত্মাহুতি দিয়েছেন। তাদের নিঃস্বার্থ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। পূর্ব বাংলার সীমাহীন বৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত ও মহান রাজনৈতিক নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে একশ্রেণির সুবিধাবাদী দালাল পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর হিসেবে কাজ করে। তাদের কাজ ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর তাঁবেদারি করা। যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর, পরিবার-পরিজনদের চিনিয়ে দেওয়া, বাংলার নারীদের পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেওয়া, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে হানাদারদের দোসর হিসেবে কাজ করা। যুদ্ধকালীন তারা রাজাকার নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকার শব্দটি এক ধরনের অবমাননাকর শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন রাজাকার শব্দটি নেতিবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি তাঁর দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা, মানবিকতা, ধৈর্যশীল পরিচয়ে একজন প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক, যার হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে দেখেছি শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে তিনি কতটা সম্মান করেন, কতটা দরদ দিয়ে দেখেন। একদিনের কথা আমার মনে আছে টিভির পর্দায় মেয়েদের কোটাবিরোধী উচ্চকণ্ঠ শুনে তিনি অনেকটা স্বগতোক্তি করে বলেছিলেন, ‘কাদের জন্য আমি করতে চাই! যাদের জন্য, তাঁরাই যখন চায় না তখন বাতিল হোক।’ ২০১৮ সালে নির্বাহী বিভাগের একটি পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারি নিয়োগে কোটা বাতিল করা হয়। ২০১৮ থেকে ২০২৪-এর জুন পর্যন্ত কোনো কোটা সংরক্ষণ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান হিসেবে কয়েকজন এই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করলে হাই কোর্ট থেকে পরিপত্র বাতিল করে কোটা বহাল রাখার আদেশ হয়। সরকার তিন দিনের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদেশ স্থগিত করে আদালত থেকে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এখানে সরকারের অনুরোধ ছিল আদালতের মাধ্যমে আদেশ হবে এবং আইনমন্ত্রী বলেছিলেন আশা করা যায় শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে না। এই তো মূল ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী চীন সফরের ওপর সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের লিডিং প্রশ্নকে মুখে উচ্চারণ করে পাল্টা প্রশ্ন করেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে। এরপর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত রাখার একটি জনপ্রিয় সেøাগানকে বিকৃত করে ‘রাজাকার’ শব্দটি বসিয়ে নেয়। তখনই সবাই বুঝতে পেরেছে নেপথ্যে মুরগির পালে শেয়াল ঢুকেছে। আন্দোলনটি তার অরাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে ধ্বংসে উন্মত্ত সরকার হঠানোর একটা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতার সূতিকাগার বলা হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা কি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস জানে না? তাঁরা কি জানে না স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রহরে প্রথম আক্রমণ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে, রোকেয়া হলের নির্যাতনের কাহিনি তাদের কেউ বলেনি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তফা আনোয়ার পাশার ‘রাইফেল, রোটি আওরাত’ বা বীরউত্তম মেয়র (অব.) রফিকুল ইসলামের ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বই কৌতূহলবশত পড়ে দেখেনি? দেশ স্বাধীন না হলে তো প্রথম শ্রেণির চাকরির স্বপ্ন অধরা রয়ে যেত। যেসব মুক্তিযোদ্ধা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তারাই আমাদের পূর্বপুরুষ। কারোরই ফিরে আসার কথা ছিল না। ফিরে এসে পরিবার পরিজনও সবাই পাননি। আজ কতজনই বা বেঁচে আছেন। তাঁরা আমাদের সূর্যসন্তান। তাঁদের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকার সম্মান দেখায়নি। আজকের প্রজন্ম জানে না যে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের জুলুম, নির্যাতন ও হয়রানির কাহিনি। মুক্তিযোদ্ধার কোটা বিতর্কে তাঁরা আহত হন, অসম্মানিত বোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি এই কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখে এবং কতিপয় উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক দল ফায়দা লুটবার পাঁয়তারা করছে বুঝতে পেরে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করে দেন এবং দাবি আদায়ের আশ্বাস দেন। এরপর জাতি দেখেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী জঙ্গি দল কীভাবে একের পর এক ছাত্রদের উসকানি দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে।

বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে রামপুরা টিভি ভবন, বনানীর সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা শোধনাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিআরসির ডেটা সেন্টার, গর্বের মেট্রোরেল মিরপুর স্টেশন, এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা, হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা, ঢাকার সব পুলিশ বক্স, ফুট ওভারব্রিজ, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কায়দায় পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়েও তাদের ধ্বংসলীলা নিবৃত্ত করতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা দেশের মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, জীবন রক্ষাকারী ফায়ার সার্ভিসের মূল্যবান গাড়ি, সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী ট্রাক ধ্বংস করে স্বাভাবিক নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত করেছে। যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য মেট্রোরেল ছিল আশীর্বাদ এমন কেউ নেই যে এখন ভোগান্তিতে পড়বে না। কপাল পোড়া জাতি আমরা, ভালো কিছু সয় না আমাদের।

আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ভয়ংকর সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়নি। ক্ষমতালোভী স্বার্থান্বেষীরা রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা এই ধ্বংসযজ্ঞে মদত দান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ছাত্রদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তাদের প্রকাশ্য কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি, তবে শুরুতে তাঁরা তাঁদের পেনশন স্কিম প্রত্যয় নিয়ে আন্দোলন রত ছিলেন। নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষা পায় না। শিক্ষকরাও নেতৃত্বে নিয়ে ছাত্রদের বোঝাতে পারতেন। হয়তো পরিস্থিতি আমার কল্পনার চেয়েও ভয়াবহ ছিল।

সারা দেশের জঙ্গিরা একত্রে বাংলাদেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উন্নয়নের সব চিহ্নকে যেন ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে। চট্টগ্রামে হাত-পায়ের রগ কেটে ছাত্রদের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের হাত-পা কেটে মৃতদেহ লটকিয়ে দেওয়া, গাজীপুরের একজনকে হত্যা করে লটকিয়ে দেওয়া, নরসিংদীতে জেলখানা থেকে অস্ত্র লুট ও সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিদের বের করে নেওয়া এসব কারা করেছে, এখন তা সবাই জানে।

কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা নিরীহ ভঙ্গিতে বলছে তাদের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যক্কারজনক সেøাগানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলানোর প্রতিবাদে শ্রদ্বেয় জাফর ইকবাল স্যার তাঁর অনুভূতি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন শিক্ষক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় যে মন্তব্যটি করেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি নিজেকে হেয় করেছেন এ মন্তব্য করে। উনার উসকানিমূলক কিছু দায়িত্বহীন স্ট্যাটাস আমি দেখেছি। উনিও দায়িত্ব নিয়ে নেতৃত্ব দিলে তো এই সর্বনাশ হতো না।

গত চার বছর মেয়েদের কোটা না থাকায় মেয়েরা চাকরিতে কেমন আসছে সেই সংখ্যা বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত কৌতূহলে প্রায়ই বিপিএসসি মেম্বার স্যারদের সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করতাম, চার-পাঁচটা বোর্ডে আমি নিজেও ছিলাম, আমি সন্তোষজনক জবাব পাইনি। মেয়েরা আসতে পারছে না। তারপরও মেয়েরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করতে চায় দেখে খারাপ লাগেনি। বারবার মনে হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এটা মানায়! আজ নিশ্চয়ই তারা দেখছে কী সর্বনাশের আগুন তারা ছড়িয়ে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে।

আমার অনেকবার সুযোগ হয়েছে চাকরির ভাইভা বোর্ডে থাকার। ঢাকা ইউনিভার্সিটির কোনো শিক্ষার্থীকে সব সময় আমার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বড় মনে হতো। মনে হতো ওরা অনেক বড় বিদ্যাপীঠ থেকে এসেছে, নিশ্চয়ই ওদের মননশীলতা সেরা। আমার কাছে ওদের মূল্যায়ন হতো শীর্ষে। আমার মনে হচ্ছে তাদের হয়তো ভুল  বোঝানো হয়েছে। অভিমান বা হতাশা থেকে তারা এসব আচরণ করেছে। তাই যেন হয়। ছাত্রলীগ, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ তাদের রয়েছে। তাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কোটার সংস্কার সবাই চায়, তাহলে বিরোধ কেন? তাদের কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত বা কর্মকান্ডের দায় সরকারের ওপর পড়বে তাদের মনে রাখা উচিত ছিল। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা মুখোমুখি হলো কেন বুঝতে পারছি না।

এই দেশের যা কিছু অর্জন বাংলা ভাষা থেকে স্বাধীনতা সবকিছু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি। আজ যে প্রজন্ম তাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য, ইতিহাস, পূর্বপুরুষের গৌরববোধ যদি থাকত তবে অন্ধের মতো কারও দেওয়া ন্যক্কারজনক সেøাগান তারা কণ্ঠে তুলে নিতে পারত না। ভিন্নমত অনেকের থাকতে পারে। আমার সব অভিমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি, যাদের অন্যায়ভাবে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলভারে গাছ নত হয়। অহমিকা, দাম্ভিকতা বা উচ্ছৃঙ্খলতা নিজের দলের লোকজনও পছন্দ করে না। ছাত্রলীগের অতীত গৌরবময়। সেই ভাবমূর্তি রক্ষা করে চলাটাই তাদের কর্তব্য- বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে মনে রাখতে হবে।

একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে- আমরা পড়েছি। এখানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ভুল বার্তা দিয়েছে। এই দেশকে ভালোবাসতে হলে এর গৌরবগাথা নিয়ে গর্ব করার মন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে এই দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনসহ নাম না জানা শহীদের নিঃস্বার্থ ত্যাগে পাওয়া স্বাধীনতা পরাজিত শক্তিরা এখনো ব্যর্থ রাষ্ট্র করার চেষ্টা করছে।

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমরা তাঁদের উত্তরাধিকারী। তাঁরা সবাই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু ভালোবেসে দুঃখী বাঙালির চেতনায় স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে ও ন্যায়যুদ্ধে পরিণত করে তিনিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছেন। তিনি আমাদের জাতির পিতা। জীবনভর সংগ্রাম করেছেন এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আমরা স্মরণ করি এই মহান নায়ককে। একমাত্র স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা আজও আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌম ও উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশে থেকে, খেয়ে-পরে তারা বাংলাদেশের ভালো দেখতে পারে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখুক তাদের স্বপ্নের প্রিয় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের পোড়ামুখ। সরকারি ভবনের শত শত গাড়ির পোড়া কঙ্কাল, দৃষ্টিনন্দন সরকারি ভবনের ওপর আগুনের লেলিহান শিখা দিয়ে বাংলাদেশের হৃদয় পুড়িয়ে দিয়েছে কারা। মেধাবীদের জন্য পৃথিবীর সব দেশে ভালো ভালো চাকরির সুযোগের হাতছানি রয়েছে। ঢাবির ছাত্ররা আজ সরকারি কর্মচারী হওয়ার আন্দোলনে দেশ পুড়িয়েছে। আজ যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারাই আগামী দিনের দেশের কর্ণধার হবে। উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। যখন এসব শিক্ষার্থীর বয়স আরও পরিণত হবে পঞ্চইন্দ্রিয়ের আলোক জ্বালিয়ে বিবেকের ওপর আলোর প্রতিফলন ঘটবে তখন এসব শিক্ষার্থী দেখতে পাবে যে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই দুঃখী দেশটির সঙ্গে তারা কী আচরণ করেছিল। সেদিন যদি অনুতাপ আসে তবেই সার্থকতা। তবে অনেক দিন তাদের অন্তরের পোড়া দাগ নিয়ে বেড়াতে হবে। যে মায়ের সন্তান চলে গেছে, যে স্ত্রী স্বামী হারিয়েছে তাদের অন্তরে পোড়া দাগ কোনো দিন মুছবে না। সবাই ভুলে যাবে শুধু স্বজনহারানো বেদনা তাদের বয়ে বেড়াতে হবে। পরিশেষে কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের স্বদেশ প্রেম কবিতার চরণ দিয়ে শেষ করছি :

‘স্বদেশের উপকারে

নাই যার মন

কে বলে মানুষ তারে

পশু সেই জন’।

লেখক : কৃষি সচিব

এই বিভাগের আরও খবর
স্বাস্থ্যব্যয়
স্বাস্থ্যব্যয়
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক
ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনের নিরাপত্তা
ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনের নিরাপত্তা
আল্লাহ মানুষকে মর্যাদাশীল করেছেন
আল্লাহ মানুষকে মর্যাদাশীল করেছেন
সামাজিক ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে মাদক
সামাজিক ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে মাদক
পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে
পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে
জাকাত : গুরুত্ব ও মাসায়েল
জাকাত : গুরুত্ব ও মাসায়েল
মশার নগরী ঢাকা
মশার নগরী ঢাকা
বাশারের পতন
বাশারের পতন
অটোরিকশা : নিষিদ্ধ নাকি নিয়ন্ত্রণ
অটোরিকশা : নিষিদ্ধ নাকি নিয়ন্ত্রণ
সময়ের পরিবর্তন ও হারিয়ে যাওয়া পেশা
সময়ের পরিবর্তন ও হারিয়ে যাওয়া পেশা
বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতি
বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ল্যাপটপের কি-বোর্ড কাজ না করলে করণীয়
ল্যাপটপের কি-বোর্ড কাজ না করলে করণীয়

২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রবাসীদের সুখবর দিলেন ড. আসিফ নজরুল
প্রবাসীদের সুখবর দিলেন ড. আসিফ নজরুল

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ঘন কুয়াশায় জয়পুরহাটে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি
ঘন কুয়াশায় জয়পুরহাটে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন মামলায় আনিসুল-ফারুকসহ ৯ জন গ্রেফতার
নতুন মামলায় আনিসুল-ফারুকসহ ৯ জন গ্রেফতার

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

বিশ্বের মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্বে পৌঁছাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বিশ্বের মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্বে পৌঁছাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

কানপাকা রোগ কোনও ঠুনকো কিছু নয়
কানপাকা রোগ কোনও ঠুনকো কিছু নয়

১৫ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

দৈনিক আধাঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রমে বাড়তে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা
দৈনিক আধাঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রমে বাড়তে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা

২১ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে যা করবেন
ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে যা করবেন

২৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর কী বার্তা দিচ্ছে ইরান?
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর কী বার্তা দিচ্ছে ইরান?

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু লালমনিরহাটের মানুষ, বাড়ছে শীতজনিত রোগ
ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু লালমনিরহাটের মানুষ, বাড়ছে শীতজনিত রোগ

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিলু হত্যার মিশনে ছিল ভাড়াটে কিলার, অস্ত্র-জুতা উদ্ধার
লিলু হত্যার মিশনে ছিল ভাড়াটে কিলার, অস্ত্র-জুতা উদ্ধার

৪৯ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

তৃতীয় পাকিস্তানি হিসেবে শাহিন আফ্রিদির অনন্য কীর্তি
তৃতীয় পাকিস্তানি হিসেবে শাহিন আফ্রিদির অনন্য কীর্তি

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শ্বাসকষ্ট : হার্টের অসুস্থতার অন্যতম লক্ষণ
শ্বাসকষ্ট : হার্টের অসুস্থতার অন্যতম লক্ষণ

৫৯ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ক্যারিবিয়ানদের কাছে এমন হারের পর যা বললেন মিরাজ
ক্যারিবিয়ানদের কাছে এমন হারের পর যা বললেন মিরাজ

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান
ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বাউবির বিএড পরীক্ষা ২২১ টার্ম’র ফল প্রকাশ
বাউবির বিএড পরীক্ষা ২২১ টার্ম’র ফল প্রকাশ

১ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিন ও রাতে আরও শীত বাড়বে
দিন ও রাতে আরও শীত বাড়বে

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

১ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

২ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

বাসে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৩
বাসে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৩

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

পিছিয়ে পড়েও প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল বায়ার্নের
পিছিয়ে পড়েও প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল বায়ার্নের

২ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জ সীমান্তে তিন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক
হবিগঞ্জ সীমান্তে তিন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় বৃষ্টির মতো শিশির, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি
নওগাঁয় বৃষ্টির মতো শিশির, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় বাস খাদে পড়ে নিহত ১, আহত ৫
নওগাঁয় বাস খাদে পড়ে নিহত ১, আহত ৫

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া
আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া

২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারল্য সংকটে মন্দ ঋণ পুনরুদ্ধারে হতাশা
তারল্য সংকটে মন্দ ঋণ পুনরুদ্ধারে হতাশা

২ ঘন্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়: রিজভী
রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়: রিজভী

৩ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসা দিতে সতর্ক করল সরকার
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসা দিতে সতর্ক করল সরকার

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস
নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

১২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাসে সর্বনিম্ন রুপির দাম, ভারতের রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা
ইতিহাসে সর্বনিম্ন রুপির দাম, ভারতের রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা

২০ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের ৩১০ হামলা
আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের ৩১০ হামলা

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন পেশায় জায়েদ খান
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন পেশায় জায়েদ খান

১২ ঘন্টা আগে | শোবিজ

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপনারা চট্টগ্রামের দিকে তাকালে আমরা কি আমলকি চুষব: রিজভী
আপনারা চট্টগ্রামের দিকে তাকালে আমরা কি আমলকি চুষব: রিজভী

২২ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া
আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া

২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ভয়
যে কারণে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ভয়

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

২ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ডিএমপির চার কর্মকর্তা বরখাস্ত
ডিএমপির চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৭ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে গ্রাহক
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে গ্রাহক

৩ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

পশ্চিমবঙ্গের ভ্লগারকে বাংলাদেশি বলে প্রচার করল ভারতীয় মিডিয়া!
পশ্চিমবঙ্গের ভ্লগারকে বাংলাদেশি বলে প্রচার করল ভারতীয় মিডিয়া!

২০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা স্থগিত
অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা স্থগিত

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আখাউড়ায় লং মার্চকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি
আখাউড়ায় লং মার্চকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি

১৫ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

বাশার আল-আসাদের কুখ্যাত কারাগারে থেকে মুক্ত হয়ে বন্দীরা দিলেন নির্মমতার বর্ণনা
বাশার আল-আসাদের কুখ্যাত কারাগারে থেকে মুক্ত হয়ে বন্দীরা দিলেন নির্মমতার বর্ণনা

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা অবরোধ
শ্রমিক নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা অবরোধ

১৬ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ বিএনপির
পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ বিএনপির

২৩ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের কথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা
জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের কথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হয়েছেন পুলিশের গুলিতে আহতরা
সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হয়েছেন পুলিশের গুলিতে আহতরা

২১ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট: সরকার পতনের পর ১৬৫৭ কোটিপতি হাওয়া
দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট: সরকার পতনের পর ১৬৫৭ কোটিপতি হাওয়া

৩ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করল  যুক্তরাষ্ট্র
বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫০ বছর ধরে কর অব্যাহতি দিয়ে বহু ‘শিশু’ লালন করছি, আর কত: অর্থ উপদেষ্টা
৫০ বছর ধরে কর অব্যাহতি দিয়ে বহু ‘শিশু’ লালন করছি, আর কত: অর্থ উপদেষ্টা

২২ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতন মামলা, আদালতের সমন জারি
স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতন মামলা, আদালতের সমন জারি

২০ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান
ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মুসলমানদের শাম অঞ্চল বিজয়ের ইতিহাস
মুসলমানদের শাম অঞ্চল বিজয়ের ইতিহাস

৪ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

দেশে অবস্থান করা অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি
দেশে অবস্থান করা অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি

৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
মামলামুক্ত হতে আর কত অপেক্ষা
মামলামুক্ত হতে আর কত অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর প্রতারণায় ভোক্তারা
ভয়ংকর প্রতারণায় ভোক্তারা

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশু পর্নোগ্রাফিতে আন্তর্জাতিক চক্র
শিশু পর্নোগ্রাফিতে আন্তর্জাতিক চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

মাহাথিরের হুঁশিয়ারি
মাহাথিরের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থাহীনতা কাটানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ
আস্থাহীনতা কাটানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ হচ্ছে ‘বিশেষ আট’ দপ্তর
বন্ধ হচ্ছে ‘বিশেষ আট’ দপ্তর

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আতঙ্কে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা
আতঙ্কে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা

পেছনের পৃষ্ঠা

রহস্য এখনো কাটল না
রহস্য এখনো কাটল না

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাসের নায়িকা
জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাসের নায়িকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে
শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাম্প্রদায়িক নয়, ৯ জনের মৃত্যুর কারণ রাজনৈতিক
সাম্প্রদায়িক নয়, ৯ জনের মৃত্যুর কারণ রাজনৈতিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নারী পাচারে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার
নারী পাচারে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন স্ত্রীও
স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন স্ত্রীও

পেছনের পৃষ্ঠা

মংডু এখন আরাকান আর্মির
মংডু এখন আরাকান আর্মির

প্রথম পৃষ্ঠা

আগরতলা অভিমুখে আজ লংমার্চ
আগরতলা অভিমুখে আজ লংমার্চ

প্রথম পৃষ্ঠা

থোকায় থোকায় কমলা
থোকায় থোকায় কমলা

পেছনের পৃষ্ঠা

জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত
জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসায় বিশেষ সতর্কতা
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসায় বিশেষ সতর্কতা

পেছনের পৃষ্ঠা

গান করি, ঘুরে বেড়াই ভালোই তো লাগছে
গান করি, ঘুরে বেড়াই ভালোই তো লাগছে

শোবিজ

৭৯ জেলে-নাবিক ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বাহিনী
৭৯ জেলে-নাবিক ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব
হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা পূরণে এখনো লড়াই করাটা দুঃখজনক
মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা পূরণে এখনো লড়াই করাটা দুঃখজনক

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনমুখী পদযাত্রা
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনমুখী পদযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

দুদক চেয়ারম্যান মোমেন
দুদক চেয়ারম্যান মোমেন

প্রথম পৃষ্ঠা

পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে
পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে

সম্পাদকীয়

বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা সুপারিশ পদোন্নতির
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা সুপারিশ পদোন্নতির

পেছনের পৃষ্ঠা

র‌্যাব বিলুপ্তি চায় বিএনপি
র‌্যাব বিলুপ্তি চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নাফিস-শখের সন্ধ্যে নামার আগে
নাফিস-শখের সন্ধ্যে নামার আগে

শোবিজ