সুখবরের মঙ্গায় এক টুকরো স্বস্তির সুবাতাস বয়ে আনল একটা সংবাদ শিরোনাম। ‘অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে কমেছে দুর্নীতি।’ বলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) চেয়ারম্যান ফ্র্যাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ। বলেন, বাংলাদেশে এখনো দুর্নীতি চলছে, তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর এটা কমেছে। টিআই চেয়ারম্যানের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সম্মানজনক স্বস্তির বাণী শোনান। দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত, সাম্য ও মর্যাদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দাবিতে জীবন দিয়েছে হাজারো মানুষ। অন্ধত্ব-পঙ্গুত্ব বরণ করেছে শিশু-নারীসহ নানা বয়সের হাজার হাজার মানুষ। তাদের মহান ত্যাগে স্বৈরাচারের পতন এবং নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। বছরজুড়ে চলছে তার পরিশুদ্ধতার বিনির্মাণ। অনেক ষড়যন্ত্র, প্রতিকূলতার পরও সমাজে, মানুষের মনে, প্রশাসনে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। তারই প্রতিফলন এই দুর্নীতি কমার সংবাদ। অতীতে এ ক্ষেত্রে অনেক অখ্যাতির, অসম্মানের বহুদিন পার করে এসে, আজকের এটুকু স্বীকৃতিকেও একটা উজ্জ্বল অর্জন হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে। আর আমাদের প্রত্যাশা- দেশে দুর্নীতি শূন্যে নামিয়ে আনা। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দৃঢ়তা, নিবিড় তদারকি, যথাযথ জবাবদিহি থাকলে তা কোনো অধরা সোনার হরিণ নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রয়োগই সে পথে জাতিকে এগিয়ে দেবে। টিআই চেয়ারম্যান বলেন, পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের ১৫ বছরের শাসনে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। নাগরিক সমাজকে জানতে হবে- এ অর্থ কোথায় আছে এবং নাগরিক সংগঠনগুলোকে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে। যাতে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যায়। সম্প্রতি লন্ডনে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ১৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে উল্লেখ করে ভ্যালোরিয়াঁ বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ, টিআইবি, টিআই যুক্তরাজ্য এবং স্পটলাইন করাপশনের যৌথ উদ্যোগে। নাগরিক সমাজ ভূমিকা রেখেছে এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। টিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, টাকা পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঋণব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা পাচারও কমেছে। সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়েছে। অগ্রগতির এ তথ্য উজ্জীবনের। বিশেষত টিআই চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যটি আশান্বিত করে, যখন তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যেখানে অনেক দেশে কর্তৃত্ববাদ বেড়েছে, সেখানে বাংলাদেশ এ সময় এর ব্যতিক্রম। তাই বৈশ্বিক নাগরিক সমাজ, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা বাংলাদেশে কী ঘটছে তা প্রশংসার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশ্ব সমাজের এ প্রশংসার দৃষ্টিটা ধরে রাখা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।
শিরোনাম
- পেন্টাগনকে পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ ট্রাম্পের
- ‘আমি সুন্দর হবো’ কনসার্টে গাইবেন সায়ান
- আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?
- রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
- সাময়িক বন্ধের পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল চলাচল
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি?
- হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন
- মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
- স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
- এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে বাড়ছে না চিকিৎসকের পদ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৩২
- মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারলে পিছিয়ে যাব : এ্যানি
- টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিইসির বৈঠকে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে আলোচনা
- বন্দরের বাড়তি ট্যারিফ নিয়ে শীঘ্রই স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক হবে : আমীর হুমায়ুন
- সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের দরকার ১৫০ রান
- নির্বাচনকালে নিজ বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় পোস্টিং হবে না
- শিক্ষায় পচন এত যে কমিশন করলেই সেরে যাবে না : পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- প্লট দুর্নীতি : হাসিনা-পুতুল-জয়ের বিরুদ্ধে আরও ৮ জনের সাক্ষ্য