শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

নতুন লুক, নতুন রসায়ন

আলাউদ্দীন মাজিদ

নতুন লুক, নতুন রসায়ন

‘শিকারী’ ছবির একটি দৃশ্যে শাকিব খান ও শ্রাবন্তী

শাকিব খান। ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক। ঈদে বদলে যাচ্ছে তার চিরচেনা লুক আর পর্দা রসায়ন। আনন্দঘন এই খুশির দিনে দর্শক দেখবে নতুন এক লুকের শাকিবকে। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে, নতুন পর্দা রসায়ন আবিষ্কার করবে দর্শক। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান অভিনীত যৌথ আয়োজনের ছবি ‘শিকারী’। এই ছবিতে জুটি বেঁধেছেন তিনি ওপারের উর্বশী শ্রাবন্তীর সঙ্গে। শিকারীতেই দর্শক পাবে বদলে যাওয়া শাকিব খানকে।

ছবিটি মুক্তির আগে এর একটি গান দর্শক হূদয়ে ঝড় তুলেছে। এ ছবির গান প্রকাশ পেয়েছে টিজারে। এতে অন্য এক শাকিবকে দেখে নড়েচড়ে বসেছে দর্শক। মেদহীন এক কিশোর অভিনয় আর নাচে যেন লতিয়ে উঠেছে পর্দাজুড়ে। বৃহস্পতিবার গানটি প্রকাশ হওয়ার পর প্রথম ১২ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬০ হাজার, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় ২ লাখ ৪০ হাজার বার দেখেছে দর্শক। ছবির কলকাতার প্রযোজক অশোক ধানুকা এতে এতটাই উচ্ছ্বসিত যে তিনি বলেছেন, বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিহাস। এর আগে কোনো বাংলা ছবির বেলায় হাজারের বেশি ক্লিক হয়নি। শাকিব খান এই বাংলার দর্শকদের কাছে পরিচিত বটে। জনপ্রিয় একজন নায়কও। তাই বলে তার একটি গান টিজারে এভাবে ঝড় তুলবে এটি ছিল অবিশ্বাস্য। যা ভাবাই যায় না। শাকিব খানকে নিয়ে এখন আমাদের দেশে আমরা বিরতিহীন স্বপ্ন দেখতেই পারি। তিনি আমাদের সত্যিই অবাক করে দিয়েছেন। তার এমন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সত্যিই আমাদের ধারণা ছিল কম। এখন নতুন করে ভাবছি।

শাকিব বলেন, শিকারী আমাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। টিজারে প্রকাশ পাওয়া গানটি এমন অবিশ্বাস্য সাড়া ফেলবে বুঝতেই পারিনি। এতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমি আরও উন্নত কাজ করতে চাই। দর্শক নির্মাতাদের অভাবনীয় চমক দিতে চাই। এ লক্ষ্যে এখন শুরু হবে আমার নতুন মিশন। তিনি বলেন, ছবিটিতে কাজ করা ছিল আমার জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। প্রথমবার দুই বাংলার ছবিতে কাজ করলাম। তাই নিজেকে অনেকটা ঝেড়ে নিতে হয়েছে। এই ছবিতে আমার যে নতুন লুক তা এখানেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আরও উন্নত লুক দিয়ে বিশ্ববাজার জয় করতেই এখন কাজ শুরু করব। তিনি বলেন, ছবিটিতে মুন্সিয়ানা দেখানোর বিষয়টি সবসময় চুলে বিলি কাটত। শ্রাবন্তীর সঙ্গে পর্দা রসায়নের বিষয়টি নিজের ভিতর থেকে উৎসাহ জোগাত। শ্রাবন্তী। আহ! কি অসাধারণ কাজ করে মেয়েটি। অভিনয়ে ওর মনের টান মুগ্ধ করার মতো। শুধু কি অভিনয়। বাস্তবেও বড় কো-অপারেটিভ মেয়ে শ্রাবন্তী। যেমন  কাজ করার সময় নাওয়া-খাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। কারও কোনো সমস্যা আছে কিনা। কেউ আন-ইজি ফিল করছে কিনা— এমন রাজ্যের সব চিন্তা ওর মাথায় ঘুরত। নিজে রান্না করে সেটে নিয়ে আসত। ওর রান্নার তুলনা নেই। কি যে মজার সব রান্না করতে পারে বলে বোঝাতে পারব না। আমার মনে হয় এমন অমৃতের স্বাদ জীবনে এই প্রথম নিলাম। উহ! স্বাদটা এখনো আমাকে ছাড়তে চাইছে না। উর্বশী শ্রাবন্তীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আর কী মজা চেখেছেন। এমন প্রশ্নে লজ্জায় রাঙা হলো শীর্ষ নায়কের মুখ। স্মিত হেসে বললেন, আরও কত কি। সব কি আর বলে বোঝানো যায় ভাই...। শাকিবের কথায় কাজের ক্ষেত্রে ক্যামেরার সামনে পারফেক্ট এক আর্টিস্ট হয়ে ওঠা মানে শ্রাবন্তী। ওর সঙ্গে মজা করে কাজ করেছি। আর মজার আনন্দে ডুব দিয়ে কখন যে কাজ শেষ করেছি টেরই পাইনি। ছবিতে নিজের চরিত্রটি ছিল নতুন এক মোড়কে মোড়া। দর্শক সহজেই অন্য দশটা ছবি থেকে শিকারী ও  আমাকে আলাদা করে দেখতে পাবে। এত গেল শিকারী ও এর আদ্যোপান্ত নিয়ে শাকিবের তৃপ্ত বয়ান। শ্রাবন্তীও কিছু বলতে চাইছেন মনে হলো। শোনা যাক তার কথা। ‘ব্যক্তি হিসেবে শাকিব খুব সুইট একটা ছেলে। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তার। শাকিবের মতো কো-আর্টিস্টের সঙ্গে কাজ করার আনন্দই আলাদা। কো-আর্টিস্ট ভালো হলে কেমিস্ট্রির ছায়াটাও ভালো হয়। আমার বিশ্বাস পর্দায় দর্শক আমাদের রসায়ন লুফে নেবে। অভিনেতা শাকিব মানেই দারুণ কিছু পাওয়া। অভিনেতা হিসেবে আরও সুইট তিনি। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অন্য রকম আনন্দ পেয়েছি। প্রথমে দুজন দুজনকে বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে বটে, পরে সব স্বচ্ছ জল হয়ে গেছে। তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা দারুণ জমেছে বলতে পারেন। আমাদের এই পর্দা সম্পর্ক শিকারী ছাড়িয়ে আরও দূরে হাঁটবে এটা নিশ্চিত। আই অ্যাম ভেরি হ্যাপি’।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর