মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আলাপন...

ভালোবাসার মানুষগুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ

কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরী। গানে গানে চার দশক পেরিয়ে এসেছেন। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘সোলস’-এ যুক্ত হন। এরপর থেকে শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সম্প্রতি তার সংগীতজীবন নিয়ে আজকের আলাপন—

ভালোবাসার মানুষগুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ

প্রায় ৪০ বছরের সংগীতজীবনে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। মাঝখানে দীর্ঘ বিরতি। এমন দীর্ঘ বিরতির কারণ কী ছিল?

  আসলে ভেবেছিলাম একটা ছোট্ট বিরতি নেব। কিন্তু সেই বিরতি পরবর্তীতে বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় ১২-১৩ বছর পর আমার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ফিরে এলাম’ প্রকাশিত হবে। এ জন্য ধন্যবাদ বাংলা ঢোলকে এতদিন পর সিডি প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করার জন্য। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে যাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তাদের সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

দীর্ঘ ৪০ বছর যাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল, সেসব গুণীজনকে সম্মান জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গনের সাতজন গুণীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে এই দিনে প্রকাশিত হবে আমার নতুন একক গানের অ্যালবাম ‘ফিরে এলাম’।

 

গুণীজন সম্মাননা কারা কারা পাচ্ছেন এবং কোন কোন অবদানের জন্য?

আমার সংগীতজীবনে ভূমিকা রাখা নেপথ্যের সাতজন এই সম্মাননা পাচ্ছেন। আমাকে সোলস ব্যান্ডে নিয়ে আসা সুব্রত বড়ুয়া, জনপ্রিয় গান ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ এর গীতিকার-সুরকার নকিব খান ও ঝিলু খান, প্রথম অডিও অ্যালবামের সুরকার আইয়ুব বাচ্চু, প্রথম গাওয়া সিনেমার গান ‘ভাত দে’র পরিচালক আমজাদ হোসেন, প্রথম সিনেমার গান ‘কত কাঁদলাম, কত গো সাধলাম’-এর সুরকার আলাউদ্দিন আলী এবং ‘পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে’ গানের গীতিকার-সুরকার তাজুল ইমামকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। 

 

এতদিন পর একক অ্যালবাম করলেন। কেমন লাগছে?

খুবই ভালো লাগছে। আসলে অনুভূতিগুলো আগের মতোই। এই অ্যালবামের জন্য সবাই মন-প্রাণ দিয়ে কাজ করেছেন। অনেক কেয়ারফুলি করেছেন। ফিরে এলাম-এ গান রয়েছে ৯টি। এর মধ্যে ‘যেতে যেতে কেন পড়ে বাধা’ (গীতিকার-সুরকার-মাহবুব পিলু, নতুন সংগীতায়োজন-শওকত আলী ইমন) এবং ‘পলাশ ফুটেছে  শিমুল ফুটেছে’ (গীতিকার-সুরকার-তাজুল ইমাম, নতুন সংগীতায়োজন-সুমন কল্যাণ) গান দুটি রিমেক করা হয়েছে। বাকি নতুন গানগুলোর কথা লিখেছেন সাইফুল ইসলাম মুকুল, সেজান মাহমুদ, কবির বকুল ও মিলন খান। সুবীরদা ৫টি গানের সুর করেছেন। সংগীতায়োজনে ছিলেন উজ্জ্বল সিনহা। এ ছাড়াও সুমন কল্যাণ, সেজান মাহমুদ ও পুলক অধিকারী সুর করেছেন। আমি আর ন্যান্সি এই প্রথম একটি গানে ডুয়েট করেছি।

 

আপনার আজকের অবস্থানে আসার পেছনে কাদের অবদান বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

পারিবারিকভাবে সবাই তো আছেনই। অন্যদিকে আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সাতজন ছাড়াও অন্য সবার অবদান অপরিসীম। তারা যদি আমাকে প্রথম দিকে সুযোগ না দিতেন তবে জীবনে অন্যরকম কিছু হতে পারত। তাই জীবনের প্রথম দিকের ভালোবাসার মানুষগুলো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস শুধু তাদের জন্যই।       

 

ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড সোলসের সঙ্গে একাত্ম থাকার সেই মধুর দিনগুলোর স্মৃতি একটু বলবেন কি?

আসলে স্মৃতি সে তো স্মৃতি। অনেক মধুর। প্রথম দিকে যা করেছি সবই তো স্মৃতি। অনেক কথা, অনেক স্মৃতি। সবকিছু এত সহজে বলাও যায় না। বলতে গেলে শেষ হবে না।                               পান্থ আফজাল

সর্বশেষ খবর