মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বলিউড তারকাদের যত স্ক্যান্ডাল

বলিউড তারকাদের যত স্ক্যান্ডাল

বলিউডে হাওয়ায় হাওয়ায় হরহামেশাই তারকাদের নিয়ে ভেসে বেড়ায় নানারকম কেচ্ছা-কাহিনি। সেলিব্রেটিদের জীবন অনেক সময় স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে যায়। তবে তারকাদের জীবনে স্ক্যান্ডাল কখনো আশীর্বাদ, কখনো অভিশাপ হয়ে আসে। এসব নিয়ে লিখেছেন- পান্থ আফজাল

 

মণীষা কৈরালা-সুভাষ ঘাই

নির্মাতা সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন বলি মণীষা কৈরালা। সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করার সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এই অনন্যা।

 

মমতা কুলকার্নি-রাজকুমার সন্তোষী

বিতর্কে বহুবার নাম জড়িয়েছে মমতা কুলকার্নির। তাঁর ১০ বছরের ক্যারিয়ারে পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর হাতে যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন। যৌন নির্যাতনের সব তথ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করেছিলেন নিজেই।

 

বিপাশা বাসু-অমর সিংহ

বিপাশা বসু তখন তাঁর খ্যাতির মধ্য গগনে। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে ডিনো মরিয়া বা জন আব্রাহামের, এ তো সবারই জানা। কিন্তু ২০১১ সাল নাগাদ সামনে এলো নতুন কেচ্ছা। সে সময়ের সমাজবাদী পার্টির প্রথম সারির নেতা অমর সিংহের সঙ্গে বিপসের ‘সেক্স টেপ’ সামনে আসে। সেই টেপ থেকে শোনা যায় ‘কুরুচিকর’ যৌনতাকেন্দ্রিক কথোপকথন। যদিও বিপাশা এই অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে অস্বীকার করেন। কিন্তু, গুঞ্জন কী তাতে থামে!

 

প্রীতি জিনতা-নেস ওয়াদিয়া

এমএমএস স্ক্যান্ডালের ট্র্যাপে পড়েছেন বলিউড বিউটি প্রীতি জিনতাও। বয়ফ্রেন্ড নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে ডিনারে গিয়ে একান্ত কিছু অন্তরঙ্গ মুহুর্ত ক্যামেরায় বন্দী করেন প্রীতি। যা পরবর্তীতে ইন্টারনেটে প্রকাশ হয়।

 

রিয়া সেন-অস্মিত প্যাটেল

কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি রিয়া সেন ও অস্মিত প্যাটেলের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে ২০১১ সালে। ফুটেজ প্রকাশ পাওয়ার পরপর সবাই বেশ কড়া সমালোচনা করেন তাঁর এই উগ্র জীবনযাপনের জন্য। অন্যদিকে এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ফুটেজ প্রকাশের জন্য অনেকেই দায়ী করেন অস্মিতকে।

 

রাখি সাওয়ান্ত-মিকা সিং

আলোচনা কিংবা সমালোচনা যেভাবেই হোক লাইমলাইটে থাকতে পছন্দ করেন বলিউডের আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্ত। এমএমএস স্ক্যান্ডাল থেকে রেহাই পাননি তিনিও। বলিউডের গায়ক মিকা সিংয়ের সঙ্গে একটি চুম্বনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও অনেকটা জোর করেই একটি অনুষ্ঠানে রাখিকে চুম্বন করেছিলেন মিকা। তবে ভিডিওটি প্রকাশের পর রাখির লাইমলাইটে ওঠে আসার ইচ্ছা কিছুটা হলেও পূরণ হয়।

 

দিবাকর ব্যানার্জি-পায়েল রোহতগি

বিখ্যাত পরিচালক দিবাকর ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সাংহাই ছবিতে সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে ‘স্ট্রিপ’ করতে বলার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি। কাকতালীয়ভাবে দিবাকরেরই ছবি ‘লাভ, সেক্স অর ধোঁকা’য় তার রিয়েল লাইফেই ফুটে উঠেছিল।

 

সাইনি আহুজা

সাইনি আহুজার গোটা ক্যারিয়ারটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় যখন তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরই পরিচারিকা যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন।

 

মোনা সিং

টিভি অভিনেত্রী-মডেল মোনা সিং। ২০১৫ সালে তাঁর একটি ভিডিও এমএমএসের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ২৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে বিবসনা অবস্থায় ছিলেন মোনা। এটি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় পুরো মিডিয়া প্রাঙ্গণে। এমনকি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে।

 

শার্লিন চোপড়া

মডেল-অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন তোলে। ‘কামসূত্র’র এই অভিনেত্রী নিজেই নিজের একটি বিবসনা ভিডিও প্রকাশ করেন ইউটিউবে। নিজের জন্মদিনে শার্লিন এ ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ইউটিউবের ভিজিটরের সংখ্যাও ছিল প্রচুর।

 

শক্তি কাপুর

শক্তি কাপুরও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এক অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের আগ্রহ জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি সেই অভিনেত্রীর নামও প্রকাশ্যে এসেছিল।

 

কঙ্গনা-আদিত্য

বলিউডের অন্যতম কলঙ্কজনক বিষয় কঙ্গনা রানাউত-আদিত্য পাঞ্চোলির সম্পর্ক। ইন্ডাস্ট্রিতে এসেই আদিত্যর খপ্পরে পড়েন এই অভিনেত্রী। কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, তাঁকে গৃহবন্দী করে রেখে শারীরিক নির্যাতন করতেন আদিত্য। সেখান থেকে বাঁচতে অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন।

 

তনুশ্রী দত্ত-নানা পাটেকর

‘আশিক বানাইয়া আপনে’খ্যাত বলিউড সুদর্শনা তনুশ্রী দত্তও সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের শিকার হয়েছিলেন। তিনি আরেক শক্তিমান অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। এই নিয়ে মিডিয়া তোলপাড় হয়।

 

মল্লিকা শেরওয়াত

বলিউডের ‘সেক্সি’ অভিনেত্রী নামেই পরিচিত মল্লিকা শেরওয়াত। ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হয়। ফুটেজের নারীটি মল্লিকা বলে প্রচার করা হয়। মল্লিকা তা অস্বীকার করেন। কিন্তু ভিডিওটি মল্লিকার, প্রচারেই এটি ভাইরাল হয়ে যায়।

 

বীণা মালিক-রাজন বার্মা

পাকিস্তানি অভিনেত্রী বীণা মালিকও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন। বিগ বস ৪-এর প্রতিযোগী ছিলেন। ৪৩-সেকেন্ডের এমএমএস ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটিতে রাজন ভার্মার সঙ্গে চুম্বন এবং অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে তাঁকে।

 

অভিষেক বচ্চন-জাহ্নবী

২০০৭ সালে বিয়ে হয় অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার। তবে জাহ্নবী কাপুর নামের এক মডেল-অভিনেত্রী দাবি করেন যে, অভিষেক ২০০৬ সালে কয়েক বন্ধুর উপস্থিতিতে একটি মন্দিরে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। অভিষেকের দস বাহানে গানের অন্যতম নৃত্যশিল্পী ছিলেন জাহ্নবী কাপুর।

 

কারিনা কাপুর-শহীদ কাপুর

কাপুর পরিবারের লাডলি কারিনা কাপুর ও শহীদ কাপুরের প্রেমের খবর সবারই জানা। আলোচনা সমালোচনা হয়ে যায় যখন তাদের প্রেমের ঘনিষ্ঠতার একটি ফুটেজ ইন্টারনেটে প্রকাশ পায়। দীর্ঘক্ষণ চুম্বনের একটি ফুটেজ প্রকাশের মাধ্যমেই বিতর্কিত হয়ে ওঠে এ জুটি। যদিও তা ছাপিয়ে উঠেছে পরক্ষণেই।

 

ইসাবেলা কাইফ

ক্যাটরিনা কাইফের বোন ইসাবেলা কাইফ। তাঁর প্রকাশ পাওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। ইন্টারনেটে একটি ‘সেক্স ভিডিও’ প্রকাশ করে বলা হয়, এই ফুটেজের পাত্রিটি ইসাবেলা। তবে ক্যাটরিনা-ইসাবেলা দুজনই এটিকে মিথ্যা দাবি করেন।

 

প্রশান্ত নারায়ণ-ভিদিতা প্রতাপ সিং

বলিউড তারকা প্রশান্ত নারায়ণ এবং ভিদিতা প্রতাপ সিংয়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের এই ভিডিও চিত্রটিতে দুজনই ছিল বিবসনা অবস্থায়।

 

সোহা আলী খান

পতৌদি নবাব পরিবারের মেয়ে বলিউডের অভিনেত্রী সোহা আলী খানও এমএমএস স্ক্যান্ডালের শিকার হন। ২০১০ সালে সোহার একটি বিবসনা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়েই ভিডিওটি ভিউয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। যা ভাইরাল হয়।

 

সোনম কাপুর-ঐশ্বরিয়া রায়

কান চলচ্চিত্র উৎসবে একই ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সোনম কাপুর আহুজা ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ওই সময় ঐশ্বরিয়াকে ‘আন্টি’ বলে সম্বোধন করেন সোনম। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সোনমের সঙ্গে লালগালিচায় হাঁটতে অস্বীকৃতি জানান ঐশ্বরিয়া। এরপর থেকে দুজনই পরস্পরকে এড়িয়ে চলেন।

 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস-ক্যাটরিনা কাইফ

প্রিয়াঙ্কা-ক্যাটরিনার ঝামেলার শুরু একই অনুষ্ঠানের শো-স্টপার হওয়া নিয়ে। অনুষ্ঠানে শেষ শো-স্টপার হতে চান ক্যাটরিনা। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা মনে করেন, শেষ ঝলক দেখানো তাঁরই প্রাপ্য। সেই থেকে মনোমালিন্যের সূত্রপাত। অবশ্য শোতে ক্যাটরিনাই শেষ শো-স্টপার হয়েছিলেন।

 

কঙ্গনা রানাউত-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

মধুর ভান্ডরকারের ‘ফ্যাশন’ সিনেমায় কঙ্গনা রানাউত ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবি মুক্তির আগে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু মুক্তির পরই বাধে বিপত্তি। গণমাধ্যমকর্মীরা জিজ্ঞাসা করেন, এই সিনেমার লিড নায়িকা কে? প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি প্রধান, কঙ্গনা নন। প্রিয়াঙ্কার বিবৃতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান কঙ্গনা। যা হোক, সেসব জলাঞ্জলি দিয়ে ইদানীং এ দুজনের ভালোই বন্ধুত্ব।

 

সর্বশেষ খবর