বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিশেষ সাক্ষাৎকার : সাদিয়া নাবিলা

সেলিব্রেটি নয় অভিনেত্রী হতে চাই

সেলিব্রেটি নয় অভিনেত্রী হতে চাই

বাংলাদেশি অভিনেত্রী সাদিয়া নাবিলা। ‘পারেশান পারিন্দা’ ছবিটি দিয়ে তাঁর বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয়। এ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ‘মিশন এক্সট্রিম’ দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে অভিষেক ঘটে তাঁর। আর সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই নায়িকা অভিনীত ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ ছবিটি। এসব ও অন্যান্য বিষয়ে তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

আপনার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ছবিব্ল্যাক ওয়ার চলতি সপ্তাহে মুক্তি পেল, কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

প্রথমেই বলব অসাধারণ দর্শক সাড়া পাচ্ছি। কারণ এটি মিশন এক্সট্রিম ছবিটির সিক্যুয়েল। ওই ছবিতে আমার অভিনীত ‘ইরা’ চরিত্রটি দর্শক সাদরে গ্রহণ করেছিল। তাতে আমার চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল ১০ পার্সেন্ট। আর ব্ল্যাক ওয়ারে এই চরিত্রের ব্যাপ্তি ৯০ পার্সেন্ট। তাই অপেক্ষায় ছিলাম এই ছবিতে আমার অভিনীত পুলিশ ইনস্পেক্টর ইরাকে বড় পরিসরে দেখে দর্শক কেমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। আমার অপেক্ষার ফল মধুর হয়েছে। কারণ দর্শক ছবিটি ও আমার চরিত্রটি পছন্দ করেছে।

 

অভিনয়ের শুরুটা ছিল বলিউডের হিন্দিপারেশান পারিন্দা ছবিটি দিয়ে দুই দেশের কাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করেছেন?

প্রথমে মনে হয়েছিল হিন্দি ছবিতে কাজ করাটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য বড় প্রাপ্তি। পরে নিজের দেশের ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সেই কাজকে বড় আপন মনে হলো। কারণ হাজার হলেও দেশ আর শিল্প সংস্কৃতি বলে কথা। তবে হিন্দি ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা দেশের ছবির ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পেরেছি। এটি ছিল ওই ছবিতে আমার কাজ করার অন্যতম সুবিধা।

 

তাহলে বলতে চান দেশে কাজ শেখার ক্ষেত্রে একটা অভাব রয়েই গেছে?

তা তো আছেই। আমাদের দেশে শিল্পীদের অভিনয় শেখার জন্য এখনো তেমনভাবে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এর অভাবে নতুন যারা অভিনয়ে আসছে তাদের নানারকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

 

আপনি কী অভিনেত্রী হতে চান নাকি সেলিব্রেটি?

আমি বড় মাপের অভিনেত্রীদের কাজ দেখে তাদের মতো মানসম্মত অভিনয় করার চেষ্টা করছি। আমি আসলে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই, সেলিব্রেটি নয়।

 

ভালো কাজ করতে গেলে কোন বিষয়টিকে প্রধান মনে করেন?

অবশ্যই মানকে প্রাধান্য দিতে হবে, পরিমাণকে নয়। আমি বছরে যদি দুই-একটি মানসম্মত ছবিতে অভিনয় করি তাতেই আমার শিল্পী সত্তা স্থায়িত্ব পাবে। মানহীন এক গাদা ছবিতে কাজ করার কোনো মানে নেই। পরিমাণকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই কিন্তু অনেক নবাগত শিল্পী শুরুতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি তা কখনো চাই না।

 

ছবিতে মান না থাকলে শিল্পীদের কাজে মান পাওয়া কীভাবে সম্ভব?

আসলে মিশন এক্সট্রিম, পরাণ, হাওয়া, গলুই ও ব্ল্যাক ওয়ারের মতো মানসম্মত ছবি নির্মাণ হলে শিল্পীরা তাতে কাজ করে উপকৃত হয়, মানে কাজ শিখতে পারে। তাই এ ধরনের ভালো ছবি নির্মাণ হলে এবং দর্শক তা সিনেমা হলে গিয়ে দেখলে একাধারে দর্শক, প্রদর্শক ও শিল্পীরা উপকৃত হয় এবং মানসম্মত কাজের প্রতি সবার উৎসাহ বাড়ে। তাই দর্শকদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা সিনেমা হলে গিয়ে দেশীয় ছবি দেখুন, নির্মাতা ও শিল্পীদের ভালো ছবি নির্মাণে উৎসাহিত করুন।

 

চলচ্চিত্রের অভিনয়ে নিয়মিত হবেন?

অবশ্যই নিয়মিত কাজ করতে চাই। নিজেকে দেশের কাজেই নিয়মিত ব্যস্ত রাখতে চাই। তবে অবশ্যই ভালো কাজ হতে হবে। পছন্দমতো গল্প ও চরিত্র পেলে দর্শকরা পর্দায় আমাকে নিয়মিত পাবেন।

 

নাটক-ওয়েব সিরিজে কাজের ইচ্ছা আছে?

আপাতত নেই। এখনকার ভাবনাজুড়ে শুধুই সিনেমা। তবে ভালো ওয়েব সিরিজের গল্প পেলে ভেবে দেখব। করোনার মধ্যে কয়েকটি ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু তখন করোনার কারণে বাংলাদেশে আসতে না পারায় কাজগুলো করতে পারিনি।

 

নায়িকা হওয়ার আগ্রহ কীভাবে জন্মায়?

ছোটবেলায় আম্মুকে বলতাম, বড় হলে নায়িকা হতে চাই। যখন আমি জানতামও না যে, নায়িকা বিষয়টা কী। তবে মনের আড়ালে কোনো একটা জায়গায় নায়িকা হওয়ার ইচ্ছাটা ছিল। বিটিভিতে যত সিনেমা দেখানো হতো, সবই দেখতাম। অভিনয়ের প্রতি সেভাবেই হয়তো একটা আগ্রহ তৈরি হয়।

সর্বশেষ খবর