মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

কবরী ইজ জাস্ট আনপ্যারালাল

সোহেল রানা

আলাউদ্দীন মাজিদ

কবরী ইজ জাস্ট আনপ্যারালাল

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়েখ্যাত অভিনয়শিল্পী কবরীর চিরবিদায়ের তিন বছর হয়ে গেল। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর সহকর্মী চলচ্চিত্রকার সোহেল রানা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলেন কিংবদন্তি প্রয়াত কবরীকে। সহশিল্পীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সোহেল রানা বলেন, কবরীর দুটি সত্তা। মানুষ ও শিল্পী সত্তা। দুটোই ভিন্ন ভিন্ন। শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষই তাঁকে মিষ্টি মেয়ে নাম দিয়েছে। সাধারণ লোকের দেওয়া নামটাই বোধ হয় একজন শিল্পীর বড় প্রাপ্য। একজন শিল্পী হিসেবে তাঁর বড় সার্থকতা। এরপর শিল্পী হিসেবে তাঁকে নিয়ে আর দ্বিতীয় কথা বলার নেই। শি ওয়াজ জাস্ট আনপ্যারালাল। ওই মিষ্টি মুখ বা ওই মিষ্টি হাসি বা ওই মিষ্টি অভিনয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আসেনি এর আগে, এক কবরী ছাড়া। আগামী ৫০ বছরে আসবে বলেও আমার ধারণা নেই। আমি বিশ্বাস করি, শত বছরে কবরী একটাই জন্মায়। শি ওয়াজ সামথিং মোর। মানুষ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক ছিল। অত্যন্ত আড্ডাবাজ ছিলেন। সবাইকে নিয়ে হইহুল্লোড় করে থাকতে পছন্দ করতেন। তবে এই আড্ডাটা আবার সীমিত ছিল, সবার সঙ্গে মিশতেন না। প্রখর ব্যক্তিত্ব ছিল। যাঁদের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক ছিল, শুধু তাঁদের সঙ্গেই আড্ডা দিতেন। ভীষণ চুজি ছিলেন। তাঁর আড্ডায় সঙ্গী হওয়াটা যে কারোর জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার মনে করছি। কবরী রাজনৈতিক মঞ্চে যেভাবে বক্তৃতা দিতেন, আমি তো আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকতাম, হাউ শি কুড ট্রান্সপার হার আ রিয়েল পলিটিশিয়ান ফ্রম জাস্ট অ্যান অ্যাক্রেটস। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগত। বিস্ময়! রাজনীতিতে ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা হলেও আমি হয়তো ছোট একজন রাজনৈতিক কর্মী। চলচ্চিত্রে রাজনীতিতে ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা হয়তো কম মানুষেরই আছে। সেই আমার সঙ্গেও যখন রাজনীতি নিয়ে কথা হতো বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। রাজনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ, অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এসব নিয়ে কী অসাধারণ বলতেন। আমার তো মনে হতো, অনেক পিএইচডি ডিগ্রিধারীও কবরীর মতো বলতে পারবেন না। কল্পনাই করা যায় না। সো, কবরী ইজ জাস্ট আনপ্যারালাল।

সর্বশেষ খবর