বলিউডের সিনেমায় লাভ-লোকসানের বিষয়টা বেশ জটিল। কারণ কোনো মুভি ফ্লপ হলেও দেখা যাচ্ছে সেই মুভিটি তৈরিতে যে টাকা খরচ হয় তার তিনগুণ টাকা ঠিকই পকেটে পুরছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যেমন সালমান খান অভিনীত রেস থ্রি মুভির কথা বলা যেতে পারে। আইএমডিবি রেটিং ১.৯/১০। মানুষ একেবারেই ভালোভাবে গ্রহণ করেনি মুভিটি। ১৮০ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত এ মুভি বক্স অফিস থেকে আয় করেছিল প্রায় ৩০০ কোটিরও ওপরে। চলচ্চিত্র নির্মাণের দীর্ঘ প্রক্রিয়াকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়- ডেভেলপমেন্ট, প্রি-প্রোডাকশন, প্রোডাকশন, পোস্ট প্রোডাকশন, ডিস্ট্রিবিউশন। প্রতিটি ধাপেই প্রচুর অর্থ খরচ হয়। বিগ বাজেটের ফিল্মের জন্য অনেক প্রযোজনা সংস্থা একসঙ্গে অর্থ লগ্নি করে। যেমন- ৩০০ কোটি রুপি বাজেটের ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে যুক্ত ছিল ধর্ম প্রোডাকশন, প্রাইম ফোকাস এবং স্টার স্টুডিও। প্রযোজক তার জমানো অর্থ বিনিয়োগ করে মুভির পেছনে। মুভি হিট হলে পকেটে লাভের অংশ ঢুকে আর ফ্লপ হলে সবই শেষ। বিগ বাজেটের ফিল্মের জন্য অনেক সময় প্রযোজনা সংস্থা আর ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দায়িত্ব পালন করে একই কোম্পানি। বলিউডের বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হলো যশরাজ ফিল্মস, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট, ধর্ম প্রোডাকশন, এরোস ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি। একটি চলচ্চিত্র টিকিট থেকে যে অর্থ আয় করে তা হলো বক্স অফিস কালেকশন। এ অর্থ সংগ্রহ করেন থিয়েটার মালিকরা। এজন্য আবার সরকারকে GST (Goods and Services Tax) দিতে হয় থিয়েটার মালিকদের। সরকারের ভান্ডারে এ কর জমা দেওয়ার পর হল মালিকদের কাছে যা অবশিষ্ট থাকে তা হলো নেট কালেকশন। যদি ফিল্মের নেট কালেকশন ফিল্মের বাজেটের তুলনায় বেশি হয় তাহলে ওই ফিল্মকে লাভজনক/প্রফিটেবল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজ্য সরকার যদি স্টেট ট্যাক্স ফ্রি করে দেয় তবুও কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় ৬%-৯%। শুরুতেই মিনিমাম গ্যারান্টি রয়্যালটির কথা বলা যাক। এখানে লোকসানের ঝুঁকিটা দুজনের মধ্যেই ভাগ হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়ায় ডিস্ট্রিবিউটর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রযোজককে প্রদান করে। মুভি হিট হলে অর্থ রয়্যালটি অব পেমেন্ট হিসেবে প্রযোজককে দেওয়া হয়। আরেকটা দিক হচ্ছে, প্রযোজক ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে পুরোপুরিভাবে বিক্রি করে দেয় মুভিটি। এখানে প্রযোজকের কোনো ঝুঁকি নেই। আরেকটি দিক হচ্ছে, প্রযোজক ডিস্ট্রিবিউটরের পারিশ্রমিক দেন লভ্যাংশের ওপর ভিত্তি করে। এখানে সব ঝুঁকি থাকে প্রযোজকের ওপরে, ডিস্ট্রিবিউটরের ঝুঁকি থাকে কম। প্রচার-প্রচারণা আর ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব নেয় প্রযোজক নিজেই। অনেক সময় অভিনেতাদের প্রফিট শেয়ারিংয়ের চুক্তি করতে দেখা যায় ডিস্ট্রিবিউটদের সঙ্গে। যেমন আমির খান। চলচ্চিত্র ফ্লপ হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডিস্ট্রিবিউটর এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠান থেকে ঠিকই আয় করে নেয় বলিউডের চলচ্চিত্রগুলো। এভাবেই ফুলেফেঁপে উঠেছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি।
শিরোনাম
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি
- দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
- ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, দায়ী পাকিস্তান: তালেবান
- ইলেকশন অবজারভার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ
যেভাবে ফ্লপ মুভি থেকেও আয় করে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি
সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম
শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট
৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম