ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালি যুগে অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্রের নির্মাতা কাজী জহির। তাঁর নামে একসময় প্রতিটি সিনেমা হলে দর্শকদের ঢল নামত। পরিচ্ছন্ন সামাজিক গল্পপ্রধান ছবির সফল পরিচালক হিসেবে কাজী জহিরের খ্যাতি অপরিসীম। নিটোল প্রেমের ছবি নির্মাণেও তিনি অগ্রপথিক। বিশেষ করে ত্রিভুজ প্রেমের ‘অবুঝ মন’ আজও স্মরণীয়। অন্য ছবিগুলোও নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল। ১৯৬৫ সালে ‘বন্ধন’ (উর্দু) ছবিটি নির্মাণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কাজী জহির। তাঁর পরিচালিত অন্য ছবিগুলো হলো- ভাইয়া, নয়ন তারা, ময়না মতি, মধু মিলন, অবুঝ মন, বধূ বিদায়, ফুলের মালা প্রভৃতি। কাজী জহির প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছেন দস্যুরানী, চাষীর মেয়ে, কথা দিলাম, আশার আলো, আকাশ পরী, নতুন বউ, স্বামীর ঘর, দ্বীপ কন্যা, রাজ কপাল, রানী চৌধুরানী, ঘরের সুখসহ আরও কিছু ছবি। তাঁর পরিচালিত ছবিগুলোও নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা চিত্রা ফিল্মস লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত হয়। প্রযোজনা, পরিচালনা, পরিবেশনার পাশাপাশি তিনি একজন প্রদর্শকও ছিলেন। পুরান ঢাকার চিত্রামহলের মালিক ছিলেন তিনি। গুলিস্তান থেকে নর্থ সাউথ রোড ধরে সদরঘাট যেতে ইংলিশ রোডের মুখেই চিত্রামহল। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সূত্র জানায়, ঢাকার প্রথম ১০টি
সিনেমা হলের মধ্যে অন্যতম এটি। চিত্রামহল হয়েছে ১৯৮৩ সালে। আগে এ হলে হিন্দি, উর্দু ছবি চলত। প্রদর্শক সমিতির সভাপতি মিয়া আলাউদ্দীন তাঁর ছাত্রজীবনে চিত্রামহলের কাছাকাছি দক্ষিণ মৈশুন্ডী এলাকায় থাকতেন। ওই সময়ের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর এটি দীর্ঘদিন শত্রু সম্পত্তি হিসেবে সরকারের তত্ত্বাবধানে ছিল। হলটি বিক্রির কথা উঠলে শুরুর দিকে তেমন কেউ এগিয়ে আসেনি। কেননা সামনে খাল, রাস্তা বলতে এখন হলের সামনে যে রাস্তাটি আছে সেটিই ছিল। তখন কাজী জহির প্রতিষ্ঠিত পরিচালক, প্রযোজক। ভালো ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং ইংরেজিতে ডাবল এম এ করে নটর ডেম কলেজে শিক্ষকতা করেন। তাঁর চলচ্চিত্রের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা ছিল। তাই তিনি শিক্ষকতা থেকে বিদায় নিয়ে সিনেমা পরিচালনায় যুক্ত হন। যোগ্য লোক হিসেবেই কাজী জহির হলটির দায়িত্ব নেন। যেহেতু পুরোনো হল নতুন করে চালু করা হয়েছিল, তাই ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়নি। হলটির মালিক হওয়ার পর পরিচালক কাজী জহির তাঁর স্ত্রী তৎকালীন অভিনেত্রী চিত্রা সিনহার নামে হলের নাম রাখেন চিত্রামহল। কাজী জহির ১৯৬০ দশকের শেষের দিকে নায়িকা চিত্রা সিনহাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে চিত্রা জহির নামে পরিচিত হন চিত্রা সিনহা। তাদের দুই মেয়ে এক ছেলে- ঝিনুক, শাপলা ও সাগর। ছেলে সাগর জহির চলচ্চিত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কাজী জহির ১৯২৭ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
শিরোনাম
- মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
- সরাইলে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২১
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
- ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
- গ্রামীণফোনকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকসের
- করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
- সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
- দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
- ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
- ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
- আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
- রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
- জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
- মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
- ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
সোনালি যুগের পরিচালক - কাজী জহির
শোবিজ প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন