মুক্তির এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে 'জিরো ডিগ্রী'র। ছবিটি দেখতে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বেশ আলোচনাও হচ্ছে জিরো ডিগ্রী নিয়ে। তাই বলা যায়, প্রথম ছবি নির্মাণ করে অনিমেষ আইচ মাত করে দিয়েছেন। দর্শক হল থেকে বের হচ্ছেন তৃপ্তি নিয়ে। এসে গল্প করছেন পরিচিত মহলে। ফলে হলমুখী হচ্ছেন নতুন নতুন দর্শক। যারা অনেকদিন হলে গিয়ে সিনেমা দেখছেন না, বাংলা ছবি থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখছেন, তারাও হলে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে জিরো ডিগ্রী নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, ছবির গল্প এবং নির্মাণশৈলী নিয়ে। সচেতন দর্শক ছবির কিছু কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেলেও, তারা ছবিটিকে দেখার মতো ভালো ছবি হিসেবেই মন্তব্য করছেন।
এদিকে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে, জিরো ডিগ্রী অশ্লীলতায় ভরা। কিন্তু ছবিটিতে এমন কিছু পাননি দর্শক। স্বামী-স্ত্রী এবং প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কিছু আন্তরিক মুহূর্ত আছে। কিন্তু সেই মুহূর্তগুলোকে অশ্লীল বলা যাবে না। সম্পর্কের মধ্যকার স্বাভাবিক খুনসুটি এবং আবেগ হিসেবেই সেটা দর্শকের চোখে ধরা পড়েছে।
জিরো ডিগ্রীর নির্মাণশৈলী নিয়েও দর্শকের তৃপ্তি আছে। ক্যামেরার কাজ এবং লাইটিং সবাইকে মুগ্ধ করেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত শিল্পীদের অভিনয়। মাহফুজ আহমেদ, দিলরুবা ইয়াসমীন রুহি, মীর রাব্বির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। দর্শকরা উপভোগ করেছেন তাদের অভিনয়। শুধু জয়াকে নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। কারণ সচেতন দর্শকরা মনে করেন, জয়াকে যে চরিত্রে নেওয়া হয়েছে, সেখানে তিনি বেমানান। বয়স অনুয়ায়ী চরিত্রটি সঠিক হয়নি। জয়া ভালো অভিনেত্রী। তাই বলে অভিনয় দিয়ে কৈশোর-উত্তীর্ণ তরুণী চরিত্র ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। বরং জয়ার চরিত্রে মাহী, তিশা, মম কিংবা অনিমেষের নতুন ছবির অভিনেত্রী ভাবনা হলেই ছবিটি পূর্ণতা লাভ করত।
সব মিলিয়ে জিরো ডিগ্রী নিয়ে দর্শক মুগ্ধ। শুধু জয়ার বিষয়টিকে চাঁদের কলঙ্ক হিসেবে দেখছেন সবাই। কলঙ্কের কথা ভুলে সবাই জ্যোস্নায় ডুবে আছেন।