শ্রোতাদের নতুন কি উপহার দিতে যাচ্ছেন?
আমরা গানের মানুষ। আমরা সব সময় চাই দর্শক- শ্রোতাদের ভালো ভালো গান উপহার দিতে। কিন্তু বর্তমান এই অডিওর বাজারে নিজের টাকা দিয়ে অ্যালবাম করার ইচ্ছা নেই। পাইরেসির কারণে আজ অডিও ইন্ডাস্ট্রি প্রায় বিলীন হতে বসেছে। এ সময়ে অ্যালবাম প্রকাশ করা মানে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া। সকালে একটি অ্যালবাম প্রকাশ হলে সন্ধ্যার মধ্যে তা বিভিন্ন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। কী হবে এখন অ্যালবাম করে।
এখন আমাদের কি করণীয়?
সারা বিশ্বে এখন অনলাইনে অ্যালবাম প্রকাশ হয়। আর এখন যখন একটি অ্যালবাম প্রকাশের পরই তা অনলাইনে পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে অ্যালবাম প্রকাশ করাই ভালো। কিন্তু আমাদের জানতে হবে কী করে অনলাইনে অ্যালবাম প্রকাশ করে ব্যবসা করা যায়। তা না হলে এখানেও শিল্পীদের ঠকানোর অনেক উপায় আছে।
তারপরও অনেক নতুন শিল্পী অ্যালবাম প্রকাশ করছে।
অ্যালবাম প্রকাশ না হলে অডিও শিল্প বেঁচে থাকবে কী করে। এ ছাড়া সিডিতে গান শোনা আর মোবাইল ফোনে গান শোনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। বর্তমানে আমাদের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক নতুন শিল্পী এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকে ভালো করছে। আমার মনে হয় তাদের প্রচার আরও বেশি হওয়া দরকার।
নতুন শিল্পীদের নিয়ে অপনি কি বলতে চান?
আমি নতুনদের বলতে চাই, গানটাকে প্রফেশন হিসেবে নেওয়ার সময় এখন আর নেই। ভালো করে পড়াশোনা কর, ভালো চাকরি বা ব্যবসা কর আর গানটাকে শখের মধ্যে রেখে ভালো করে চর্চা চালিয়ে যাও। বর্তমান সময়ে নতুন শিল্পীদের মধ্যে চর্চা না করার প্রবণতা অনেক বেশি। তাদের মধ্যে আবার অনেকে স্টার হতে গান করে শিল্পী হতে নয়।
আপনার একটু পেছনের গল্প শুনতে চাই।
ছোটবেলা থেকেই সুরের প্রতি সব সময় আমার মন টানত। বলতে গেলে পরিবারের সবাই গানের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গান শেখা আমার জন্য অনেকটা সহজ হয়েছে। আমি সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে সিলেট বেতারে গান করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আর আমার রেকর্ডকৃত প্রথম গান ছিল 'যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়' (১৯৭০)। ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত গান পরিবেশন শুরু করি আমি। এর আগে ৭৪ সালে 'সূর্যগ্রহণ' চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করি।
কাদের গান আপনাকে প্রভাবিত করেছে বলে আপনি মনে করেন?
আমি সবার গানই শুনতাম। তার মধ্যে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী পঙ্কজ মলি্লক, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, জগজিৎ সিং প্রমুখের গান আমাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করেছে। তাদের গান এখনো আমি শুনি।
আলী আফতাব