নিজের চতুর্থ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি কেমন?
চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সবসময়ই আমার প্রস্তুতি অনেক গুছালো থাকে। এবার লোকেশন রাজবাড়ীর পাংশায়। কিছুদিন আগেই সেখানে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে এলাম। আশা করছি আসছে ২৬ মে থেকে সেখানে শিল্পীদের নিয়ে ভালোভাবে শুটিং শুরু করতে পারব।
এই চলচ্চিত্রে কারা অভিনয় করছেন?
গল্পের খাতিরে আমার যাকে প্রয়োজন হয়েছে আমি তাকে নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছি। যেমন শহীদুজ্জামান সেলিম, মোশাররফ করিম, নিপুণ ছাড়াও এই চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করবেন আবুল হায়াত, ফজলুর রহমান বাবু, শাহেদ, শতাব্দী ওয়াদুদসহ আরও অনেকে। যারা কাজ করবেন তারা শুধু তাদের চরিত্রের মধ্যে থাকলে গল্প এগিয়ে যাবে আপন গতিতে।
বিশ্ব মা দিবসে আপনার জন্য আপনার মা 'গরবিনী মা' পদকে ভূষিত হলেন। কেমন লাগল বিষয়টি?
নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের। কারণ এর আগে আমি আমার কাজের জন্য নিজে বহু স্বীকৃতি পেয়েছি। কিন্তু এবার আমার 'মা' আমার জন্য 'গরবিনী মা' সম্মাননা পেলেন। আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হসপিটাল এবং ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তীকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার মাকে এমনভাবে সম্মানিত করায়। সত্যিই আমি ভীষণ আনন্দিত।
মাঝে আট বছর বিরতি নিলেন চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য, কেন?
আমার রিসোর্ট 'নক্ষত্রবাড়ি' এবং চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপিসহ অভিনয় নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। যে কারণে চলচ্চিত্র নির্মাণে সময় দেওয়া হয়ে উঠেনি। এখন যেহেতু একটি ভালো গল্প দাঁড় করিয়েছি, তাই ভাবলাম এটা নির্মাণের এখনই সময়। শিল্পীরা সবাই শিডিউল দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাই আবারও শুরু করছি 'অজ্ঞাতনামা' নামক চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ।
আপনি তো অনেক নাটক নির্মাণ করেছেন। বিশেষ কী পার্থক্য চোখে পড়ে বড় পর্দার সঙ্গে ছোট পর্দার?
আসলে এটি অনেক বিষদ আলোচনার বিষয়। তবে যদি সংক্ষেপে বলতে হয় তাহলে বলব, নাটক কিংবা টেলিফিল্ম হচ্ছে স্বল্প বাজেট, স্বল্প সময়, ছোট আয়োজনের বিষয়। আর চলচ্চিত্র হচ্ছে বড় বাজেট, দীর্ঘ সময় এবং বিরাট আয়োজনের বিষয়। নাটক জীবনের চেয়ে ছোট, আবার চলচ্চিত্র জীবনের চেয়ে বড়। তাই যেহেতু চলচ্চিত্র জীবনের চেয়ে বড় , বড়টাকে ফুটিয়ে তোলার জন্যই বড় আয়োজনেরই প্রয়োজন হয়। এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় ব্যাপকভাবে। চরিত্র বিশ্লেষণ, গল্প নিয়ে গবেষণা, লোকেশন, চিত্রগ্রহণ- অনেক বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়।
আলী আফতাব