ঈদের পর কি নতুন কোনো নাটকে কাজ শুরু করেছেন?
এনটিভির জন্য একটি নতুন নাটকের কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে অঞ্জন আইচের একটি নাটকে অভিনয় করব। পাশাপাশি আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয়ের কথা চলছে।
আমাদের নাট্যজগতে অনেক তরুণ নির্মাতার প্রবেশ ঘটেছে। তাদের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগে?
নতুনদের মধ্যে অনেকে ভালো কাজ করছেন। তাদের মধ্যে ভালো কাজ করার একটি প্রবণতা আমি সবসময় দেখতে পাই। তাই বলে পুরনোরা যে ভালো করছেন না তা কিন্তু নয়।
অভিনয় জগতে এলেন কীভাবে?
পারিবারিক আবহের কারণেই আমার সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ। অমার অভিনয়ের অনুপ্রেরণা এই পরিবার থেকে। আমার বাড়ি সাতক্ষীরায়। কলকাতা থেকে আমার বাবা আমাদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রচুর বই নিয়ে আসতেন। এ ছাড়া অভিনেতা হব তেমন কোনো চিন্তাভাবনাও ছিল না। আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলাম। তাই পাইলট বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল আমার।
অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিলেন কী করে?
স্বাধীনতার সময়ে আমি ৯ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন ক্যাম্পে নাটক করতাম। ওই নাটকগুলো আমাদেরই লেখা ছিল। এ সময়েই নাটকের প্রতি আমার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। পরবর্তী সময়ে আমি সরকারি বৃত্তি পেয়ে দিল্লি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে গমন করি। দিল্লিতে পড়াশোনা শেষে আমার মনে হয়েছে, এখন আমি অভিনয়টাকে পেশা হিসেবে নিতে পারি। পড়াশোনা শেষে আমি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে রয়েছে সালাউদ্দিন জাকির 'ঘুড্ডি', সৈয়দ হাসান ইমামের 'লাল সবুজের পালা', কাজল আরিফিনের 'সুরুজ মিয়া' ইত্যাদি।
আপনার শুরুটা চলচ্চিত্র দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে চলচ্চিত্রে আপনার উপস্থিতি কম কেন?
আমি আসলে যে ধারার চলচ্চিত্র দিয়ে কাজ শুরু করেছি, বর্তমানে সেই ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে না। তারপরও আমি 'দেশা', 'পদ্ম পাতার জল' শিরোনামের দুটি বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। আমি সব ধরনের চলচ্চিত্রেই কাজ করতে চাই।
নাট্যকেন্দ্রের কী অবস্থা?
১৯৯০ সালের ১১ অক্টোবর একটু নিজের মতো করে কাজ করার জন্য আমি এই প্রতিষ্ঠানটি গড়েছি। আগামী অক্টোবরে এই প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছরে পা দেবে। আর এ উপলক্ষে কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করব বলে ভাবছি।
অনেকটা সময় ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে আছেন। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির জায়গাটা কি পূরণ হয়েছে?
কোনো শিল্পী যদি আত্দতৃপ্তিতে ভোগে, তবে সেই শিল্পীর মৃত্যু হয়। শিল্পীর যদি কাজের ক্ষুধাটা মরে যায় তাহলে তাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। তাই আমি প্রাপ্তির জায়গাটা নিয়ে কোনো চিন্তা করি না। আমি আরও অনেকটা সময় কাজ করে যেতে চাই।
আলী আফতাব