কেমন আছেন?
ভালো আছি। কিন্তু মাঝে বেশ অসুস্থ ছিলাম। এরই মধ্যে আমার বেশ কয়েকটা বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন আমি ভালো আছি। আবার আমি নতুন করে কাজ শুরু করেছি। অগোছালো কাজগুলো আবার নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছি।
তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকীতে কি কি অনুষ্ঠান করা হচ্ছে?
প্রতি বছরের মতো এবারও তারেক মাসুদের স্মরণে তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সকাল ১০টায় তার সমাধিতে পুষ্প অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের আয়োজন। বেলা ১১টায় নিকটবর্তী নগরকান্দা গ্রামের জয় বাংলা মোড়ে উদ্বোধন করা হবে তারেক মাসুদের স্মরণে নির্মিত তারেক মাসুদ স্মারক ভাস্কর্য। স্মৃতি ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করবেন তারেক মাসুদের মা নুরুন নাহার, মাননীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ আরও অনেকে। বিকাল ৩টায় থাকছে আলোচনা অনুষ্ঠান ও স্মরণসভা। সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে তারেক মাসুদের নির্মিত 'রানওয়ে' চলচ্চিত্র নির্মাণের গল্প নিয়ে তৈরি 'স্মৃতিকথায় রানওয়ে' এবং তারেক মাসুদের পরিচালনায় শিল্পী এস এম সুলতানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচলচ্চিত্র 'আদম সুরত'। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে আরও কিছু অনুষ্ঠান তো হচ্ছেই।
ঢাকার অনুষ্ঠানগুলো নিয়ে কিছু বলেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে তারেক মাসুদ নির্মিত চলচ্চিত্র 'রানওয়ে' এবং সন্ধ্যা ৬টায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'নরসুন্দর'র প্রদর্শনী হবে। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ নিহত চলচ্চিত্রকর্মীদের স্মরণে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে থাকবে স্মরণ আলোচনা অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে তারেক মাসুদ নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'আদম সুরত'।
তারেক মাসুদের অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন আপনি।
তারেক অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তিনি ছিলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। আমরা আসলে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে তিন ধরনের কাজ করছি বর্তমানে। এর মধ্যে রয়েছে প্রকাশনার কাজ, ফিল্ম নির্মাণ এবং একটি ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করা। এ আর্কাইভ দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, গবেষক- সবার জন্য কাজে লাগবে। এই আর্কাইভে আমরা মুক্তিযুদ্ধের দলিলও রাখছি। ফলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে যাচ্ছে। কাজটি ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারলে অনেক কাজে আসবে। মানুষ অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবে। সবমিলিয়ে এগুলো সামলানো খুব সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাওয়ার চেষ্টা করছি নিয়মিত।
বর্তমানে আমাদের চলচ্চিত্র কী অবস্থায় আছে বলে আপনি মনে করেন?
চলচ্চিত্রে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখন আর পেছনে ফিরে তাকালে হবে না। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বেশ কিছু কাজও শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পকে উন্নত করার জন্য। অনেকেই এখন এগিয়ে আসছেন। ছবি দেখানোর জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। সে কাজটিও হচ্ছে, আরও একটু সময় লাগবে। রাতারাতি কিছুই হবে না, ধৈর্য ধরতে হবে।
'কাগজের ফুল' চলচ্চিত্রটির কি অবস্থা?
কাজ তো শুরু করেছি। কিন্তু সব কিছু আবার নতুন করে করতে হচ্ছে। ফলে আমাদের কিছুটা বেশি সময় লাগছে। কাজ শুরু করতে আরও ছয় মাস লেগে যাবে।
আপনার নিজের নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে?
নতুন পরিকল্পনা আছে। এবার অনেকটা সময় অসুস্থ থাকায় একটু পিছিয়ে পড়েছি। যতদিন বেঁচে আছি তারেকের স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ করার চেষ্টা করব।
আলী আফতাব