সম্প্রতি দেশে ফিরেই গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই গুণী শিল্পী। এরই মধ্যে শুরু করেছেন তার নতুন অ্যালবামের কাজ। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার আলাপন।— আলী আফতাব
কেমন আছেন?
দেশে ফিরে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এখন ভালো আছি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠান ও স্টেজে গান পরিবেশন করেছি।
শুনছি নতুন একটি অ্যালবাম করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
হ্যাঁ, একদম নতুন রূপে ফিরছি আমি। ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী-সুরকার নচিকেতার সুরে পুরো একটি অ্যালবাম করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই অ্যালবামে থাকছে মোট আটটি গান। যার মধ্যে ছয়টি আমার সলো আর দুটি নচিকেতার সঙ্গে।
অন্য অ্যালবামগুলো থেকে এটির কী পার্থক্য আছে বলে মনে করেন?
নচিকেতা ওপার বাংলায় যেমন জনপ্রিয় আমাদের দেশেও ঠিক তেমন। আর তিনি আমার খুব পছন্দের একজন শিল্পী-সুরকার। তার প্রতিটি গানই হূদয় ছুঁয়ে যায়। বাস্তবমুখী গানে যেমন নচিকেতা অসাধারণ। তেমনি ভালোবাসার গানেও তার তুলনা নেই। আমি তার ভক্তও বলা চলে। এ ছাড়া এই অ্যালবামে গানের কথা, সুর, মিউজিক সব কিছুই দারুণ হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই মাসের শেষের দিকে অ্যালবামের কাজটি শুরু করব।
এখন সবাই সিঙ্গেল গান নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে পুরো অ্যালবাম করছেন কেন?
এই কারণটা এখন সবারই জানা। সিডিতে গান শোনার আবেদনটা এখন আর নেই। আর আমি তো কোনো লাভের জন্য অ্যালবামটি করছি না। তবে অ্যালবামের কিন্তু অন্যরকম একটা আবেদন আছে। একটি মোড়কে এটা একজন শিল্পীর পরিচয় বহন করে। তাই অন্তত আর একটি পূর্ণ অ্যালবাম আমি করতে চাই।
এখন নাকি মিউজিক ভিডিও ছাড়া গানই চলে না। কী মনে হয়
কথাটা এখন অনেকাংশে সত্য। গানটা এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটাকে সময়ের চাহিদাও বলা যেতে পারে। আমারও ইচ্ছে আছে নতুন অ্যালবাম থেকে কয়েকটি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করার।
ভালোবাসা দিবসে নতুন কোনো গান আসছে?
ভালোবাসা দিবসে নতুন একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হচ্ছে। গানটির নাম ‘আধেক নামে ডাকো আমায়’। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন ইবরার টিপু ও মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন শুভব্রত সরকার।
নিউইয়র্ক থেকে আপনাকে একটি বিশেষ সম্মাননা দিয়েছিল। এই বিষয়ে একটু বলুন...
এই বিশেষ সম্মাননা বা প্রোক্লেমেশন আমার জন্য অনেক আনন্দের ছিল। বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি নর্থ আমেরিকার আয়োজনে ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের পেলহামবের একটি পার্টি হলে অ্যাসেম্বলিম্যান লুইস সেপুলভেদার অফিস থেকে আমাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। নিউইয়র্ক প্রবাসী অর্ধশতাধিক বিশিষ্ট বাংলাদেশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।