মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই লাস্যময়ী ইতোমধ্যে আলোচিত হয়েছেন একজন ফ্যাশন আইকন, মিস আয়ারল্যান্ড, মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল এবং পরিশেষে একজন মিডিয়া কর্মী হিসেবেও। এগুলো এখন পুরনো খবর। নতুন খবর হলো প্রিয়তি একজন দক্ষ পোল ড্যান্সারও বটে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ড্যান্স খুব একটা পরিচিত নয়। তবে এশিয়ার কয়েকটি দেশ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় পোল ড্যান্স বেশ জনপ্রিয়। এর জন্য অধ্যাবসায় এবং স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ফ্লেক্সিবিলিটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এককথায় কিছুটা চ্যালেঞ্জও। আর এ চ্যালেঞ্জের খাতায় নিজের নাম লেখালেন প্রিয়তি। শুধু তাই নয়, তিনিই প্রথম বাংলাদেশি পোল ড্যান্স আর্টিস্ট এমনটাই দাবি করলেন এ লাস্যময়ী।
পোল ড্যান্স নিয়ে চ্যালেঞ্জ এবং বাধা বিপত্তি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে প্রিয়তি বলেন, পোল ড্যান্সারের তকমা গায়ে জড়াতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। আইরিশ পোল ড্যান্স একাডেমি থেকে টানা দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ২০১৬ সালে শেষ করি প্রশিক্ষণ। ওই দুই বছর পোল ড্যান্স শেখার সময় কেঁদেছি প্রতি রাত ব্যথায়, আমার বাদামি বর্ণের শরীরে ঠোসা পড়ে যেতো কালো কালো অথবা গাঢ় লালে। তারপরও প্রতিদিনের অগ্রগতিতে ছিল আনন্দ। বন্ধুরা বলতো, 'নিজেকে এতো ব্যথা নিয়ে কেন শিখছো এই নাচ?' আমি বলতাম, 'যা সবাই শিখতে চায় না সেটার প্রতিই আমার আগ্রহ বেশি।'
প্রিয়তি আরও বলেন, এশিয়ানদের কাছে এখনো পোল ড্যান্স মানে স্ট্রিপ ক্লাব এ ল্যাপ ড্যান্স। এটি যে বডি ফিটনেস, স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ফ্লেক্সিবিলিটি এর আরেকটি ফর্ম, ওই পর্যন্ত ধারণা এখনো এগোয়নি অনেকেরই কাছে।
পোল ডান্স নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে প্রিয়তি আরও বলেন, গত বছর মুম্বাইতে বলিউড তারকা সোহেল খানের সাথে দেখা হয়। কথায় কথায় জানতে পারেন আমি পোল ড্যান্স জানি এবং বাসায় পোল আছে, তিনি খুব অবাক হন। নিজ থেকে দেখতে চেয়েছিলেন ভিডিও। দেখে ভীষণ অভিভূত হয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর