ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক অভিনেত্রী কাজী নওশাবাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন।
সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন নওশাবা। পরে তাকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাছের আহমেদ জানান, নওশাবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসার জন্য রাত সোয়া দশটার দিকে আবারও তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, নওশাবাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম। রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখা হোক। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালতে শুনানিতে বলা হয়, দরখাস্তকারী নওশাবা অসুস্থ (ডায়রিয়া হয়েছে)। বর্তমানে মুক্ত জায়গায় চিকিৎসা করে তার জীবন বাঁচানো প্রয়োজন। এ কারণে আসামিকে জামিন দেওয়া হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে আসামির সুচিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে ৫ আগস্ট প্রথম দফায় চার দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট আসামি নওশাবা নিজের ফেসবুক থেকে অত্যন্ত আবেগি কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়া একজনের চোখ উঠাইয়া ফেলছে এবং চারজনকে মেরে ফেলছে। আপনারা যে যেখানে আছেন কিছু একটা করেন।’
তার এ আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন