সদ্য প্রয়াত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক হারান মিত্রের অকাল মৃত্যুতে এক আলোচনা সভা ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ আলোচনা ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই কালোব্যাচ ধারণ ও প্রয়াত সাংবাদিক হারান মিত্রের আত্মার শান্তি কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, পৌর মেয়র সাইফুর রহমান (সাইফার), আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করীম, দৈনিক প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালা, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হাসান, বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আমাদের আলফাডাঙ্গার সম্পাদক সেকেন্দার আলম, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সঞ্জিব দাস, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম টিটো ও দৈনিক বর্তমান পত্রিকার বোয়ালমারী উপজেলা সংবাদদাতা তৈয়বুর রহমান কিশোরসহ আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন কর্মরত সাংবাদিক বক্তব্য দেন।
সভায় বক্তারা সাংবাদিক হারান মিত্রের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তার সততা, আন্তরিকতা ও স্পষ্টভাষিতার জন্য সবার কাছে ছিলেন সমাদৃত। হারান মিত্র সাংবাদিকতায় ন্যায় ও নিষ্ঠার আদর্শের প্রতীক হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক হারান মিত্র গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে ঢাকার মিরপুরের আল হেলাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। সে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদড়া গ্রামের সুভাষ মিত্র ও সন্ধ্যা রানী মিত্রের একমাত্র ছেলে।
মৃত্যুকালে সে তার এগারো বছরের পুত্র পিয়াস মিত্র ও দেড় বছরের কন্যা প্রিয়ন্তী মিত্র নামে দুই সন্তান রেখে গেছেন। এছাড়া তিনি বাবা-মা, স্ত্রী, বোনসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ