নিউজিল্যান্ডে প্রায় চার বছর ধরে তিন সন্তানকে নিয়ে লুকিয়ে থাকা টম ফিলিপস পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) উত্তর দ্বীপের ওয়াইকাটো অঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজিল্যান্ড পুলিশের অ্যাক্টিং ডেপুটি কমিশনার জিল রজার্স সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা না গেলেও, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিনি টমাস (টম) ফিলিপস।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে ফিলিপস ও তার এক সন্তানকে একটি খামার সরবরাহের দোকানে ডাকাতি করতে দেখা যায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে তার গুলিবিনিময় হয়। সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পরবর্তীতে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফিলিপসকে গুলি করেন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
সংঘর্ষস্থল থেকে ফিলিপসের এক সন্তানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পর অন্য দুই সন্তানকেও একটি দূরবর্তী ক্যাম্পসাইট থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনজনই পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
সন্তানদের মা ক্যাট, নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় রেডিও রেডিও নিউজিল্যান্ড (RNZ)-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রায় চার বছর ধরে আমরা প্রতিদিন ওদের ভীষণ মিস করেছি। অবশেষে ওদের ভালোবাসা ও যত্নের সঙ্গে ঘরে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি।”
এর আগে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সন্তানদের নিয়ে টম ফিলিপস নিখোঁজ হন। এরপর থেকে প্রায় চার বছর ধরে দেশের উত্তর দ্বীপের প্রত্যন্ত এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। মাঝে মাঝে নজরদারি ক্যামেরায় তাকে ডাকাতি বা অস্ত্রসহ দেখা গেলেও সরাসরি তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
২০২৩ সালের মে মাসে তিনি এক সশস্ত্র ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ আছে, এ সময় তিনি এক সন্তানের উপস্থিতিতেই সাধারণ মানুষের দিকে গুলি ছুঁড়েছিলেন।
টম ফিলিপসের সন্তানদের হেফাজতের আইনি অধিকার তার ছিল না বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডবাসী গত চার বছর ধরে এই রহস্যময় কেস নিয়ে বিস্মিত ছিলেন। পুলিশ নিয়মিত জনগণের কাছে তার সন্ধান চেয়েও সফল হয়নি।
গত আগস্টে প্রথমবার ফিলিপসের পরিবার প্রকাশ্যে তাকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানায়। তবে অবশেষে এই কেস রক্তাক্ত পরিণতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
বিডি প্রতিদিন/আশিক