আবার গৃহবন্দী তিনি। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় প্রায় ছ’মাস গৃহবন্দী ছিলেন। লকডাউন তাই তার কাছে নতুন কিছু নয়। বলছি মনীষা কৈরালার কথা। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনীষা বলেন, ছ’মাস যখন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছি তখন ওষুধ কাজ করবে কি না সেটাও জানতাম না!
সেই গৃহবন্দী দশা থেকেই আমি একদিনের জন্য বাঁচতে শিখেছি। পরের দিনের কথা ভাবি না। তাই এবারের লকডাউন আমায় অবাক করেনি। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা করোনা আবহে মনের জোর বাড়িয়েছে মনীষার। নেলসন ম্যান্ডেলার প্রসঙ্গ এনে বলেছেন মনীষা, বহু বছর কেবল একটা ঘরের মধ্যে বন্দী থেকেছেন ম্যান্ডেলা। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভয় বা বিরক্তি এলেও এখন বাড়ির ভিতরে থাকা প্রত্যেকের পক্ষে ভীষণ জরুরি।
তবে লকডাউন নিয়ে অবাক না হলেও ভয় পেয়েছিলেন মনীষা। বাড়ির বয়স্কদের কথা ভেবে। কেমন করে রাখবেন তাদের? তবে জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে বাড়ির পরিবেশ এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। লকডাউনে আর দূষণ নেই। আকাশ পরিষ্কার। ভোর হলেই শুনছি চড়াই পাখির আওয়াজ। সে দিনই দেখলাম আমার বাগানে দুটো চড়াই বাসা বেঁধেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক