দর্শকমহলে সাড়া ফেলছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ম্যানগ্রোভ পিকচার্স ও বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের প্রযোজনায় এবং বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সহযোগিতায় নির্মিত ছবি ‘চন্দ্রাবতী কথা’। ছবিটি রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি), সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার (মিরপুর), এসকেএস টাওয়ার (মহাখালী), যমুনা ব্লকবাস্টার ও সিনেস্কোপ নারায়ণগঞ্জে মুক্তি পেয়েছে।
হল থেকে ফেরা কিছু দর্শকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানা যায়, ছবিটির নির্মাণশৈলী, গল্প, অতীতের পটভূমি ও নাটকীয় উপস্থাপনা সকল কিছুই ছিল চিত্তাকর্ষক। যা দর্শকের মন ছুঁয়েছে। এমন ভালো ছবি দেশে নিয়মিতভাবে তৈরি হলে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ছবির মুখ উজ্জ্বল হবে। চন্দ্রাবতীর জীবনী দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাতে ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফরম্যান্স স্টাইলও উঠে এসেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি বলা হয় চন্দ্রাবতীকে। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং অসম্পূর্ণ রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের নাটকীয় এবং একই সঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন। ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য এই ছবিটি।
ছবিটি সরকারি অনুদানের হলেও সার্বিক নির্মাণের স্বার্থে ৩ বছর আগে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস যেভাবে পেরেছে প্রজেক্টির সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং বিনিয়োগ করেছে। সুস্থ ছবি যেন সগৌরবে প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসে এবং সুস্থধারার দর্শকও যেন উপকৃত হন- সেই আশাতেই 'চন্দ্রাবতী কথা' ছবির সাথে সম্পৃক্ততা। এখন হলে গিয়ে সবাই ছবিটি দেখলে, তবেই সবার শ্রম স্বার্থক হবে বলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার রাজধানীতে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামসহ তথ্যচিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক