ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে মাদক মামলায় ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে। আরিয়ানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এনসিবি। কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে এই মামলায় যে চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে সেখানে নাম নেই আরিয়ানের।
এরপরই প্রশ্ন উঠেছে এনসিবির গ্রহণযোগ্যতা এবং কর্মপদ্ধতি নিয়ে। গত বছরের ২ অক্টোবর কর্ডেলিয়া ক্রুজে রেইড করেছিল এনসিবির যে দল তাদের তদন্তে বিস্তর গরমিল পাওয়া গিয়েছে; তা একপ্রকার মেনে নিয়েছে এনসিবি। এনসিবির ডিজি এসএন প্রধান জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে তদন্ত করা হয়েছিল তাতে বেশ কিছু খামতি রয়েছে, বিশেষত তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে যেভাবে মামলাটি পরিচালনা করেছেন’।
আরিয়ান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বিপাকে পড়তে পারেন প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ানের মামলা থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমীরকে। তৎকালীন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আরিয়ানের মামলার ভুলভ্রান্তিপূর্ণ তদন্তের জেরে কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রাক্তন এনসিবি কর্মকর্তা সমীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জাল কাস্ট সার্টিফিকেটের মামলায় ইতিমধ্যেই সমীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
২০২০ সালের ৩১ আগস্ট এনসিবির মুম্বইয়ের জোনাল ডিরেক্টর পদে যোগ দিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের ২০০৮ ব্যাচের ওই কর্মকর্তাকে এনসিবি-তে নিয়ে আসা হয় সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার সম্পর্কিত মাদক মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে। কার্যকাল শেষ হওয়ার পরেও এনসিবিতে তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল তার। সেই সময়ই ঘটে যায় আরিয়ান খান মাদক মামলা। আরিয়ান বিতর্কের মাঝেই ৩১ ডিসেম্বর এনসিবিতে শেষ হয় সমীর ওয়াংখেড়ের কার্যকাল। এখন তিনি ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সে (ডিআরআই)-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা।
আরিয়ানকে ক্লিনচিট দেওয়া প্রসঙ্গে সমীর জানান, ‘আমার সঙ্গে এই মামলার এখন আর কোনও যোগ নেই. আমি দায়িত্বে নেই। তাই এই ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না’।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা