বলিউড অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ (এপিলেপসি) অর্থাৎ মৃগী রোগে আক্রান্ত তিনি। সম্প্রতি নিজেই নিজের এই ব্যাধি নিয়ে মুখ খুলেছেন ফতিমা। জানিয়েছেন, নিজের এই রোগের বিষয়ে তিনি শুরুতে কাউকে জানাননি। তবে এখন মুখ খুলছেন।
নিজের রোগ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘দঙ্গল-এর শুটিংয়ের সময়ই আমার প্রথম মৃগী রোগটি ধরা পড়ে। তবে প্রথমে আমি এটাকে কিছুতেই মানতে পারছিলাম না। আমি স্বীকার করতেই রাজি ছিলাম না যে আমার এই স্নায়বিক ব্যাধি রয়েছে, তাই আমি কোনো ওষুধও খাইনি।
খুব ভয়ে ছিলাম যদি লোকজনের সামনে খিঁচুনি শুরু হয়, যেটা কি না এই রোগের অন্যতম একটা লক্ষ্মণ। মৃগী রোগীদের অনেক কলঙ্কের ভাগীদার হতে হয়, লোকেরা মনে করে আপনি হয়তো মাদকাসক্ত, মনোযোগ পেতে চাইছেন, অথবা ভোগ করছেন। অনেকেই এই রোগে আক্রান্তদের এড়িয়ে যেতে চান।’
অনেকে মনে করেন, জুতোর গন্ধ শুঁকিয়ে হয়তো আক্রান্ত রোগীর সংজ্ঞা ফেরানো সম্ভব।
এক অনুরাগীর এই প্রশ্নে ফাতিমা বলেন, ‘এটা একেবারেই প্রচলিত ধারণা। তবে আমার ওপর একবার পরিবারের লোকেরা এই টোটকা প্রয়োগ করেছিলেন। বিশ্বাস করুন, কখনো কারো সঙ্গে এমন করবেন না।’
যদিও নিজের এই অসুস্থতার পর থেকে যেকোনো সিনেমার অনুষ্ঠান বা পার্টিতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘এটা সপ্তাহে অন্তত দুইবার হয়।
তখন চোখের সামনে আলো হয়ে যায়। মস্তিষ্কে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন আসে, যা শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই কোথাও যেতে ভয় লাগে।’
শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন ফাতিমা। তার পর ‘দঙ্গল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক হয়। একাধিক সিনেমা ও কয়েকটি সিরিজেও কাজ করেছেন ফাতিমা। তবে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয় তার ও আমির খানের সম্পর্ক নিয়ে। কিরণ রাও এবং আমিরের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে অনেকেই আঙুল তোলেন ফাতিমার দিকে। শোনা যায় ‘দঙ্গল’ সিনেমার সেটেই নাকি একে অপরের কাছে আসেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক