আমেরিকাতে মেয়েরা মিছিল করছে। এই মেয়েরা হলো আমেরিকার শিক্ষিত মেয়েদের অংশ।
নির্বাচনের পরে জরিপ বলেছে যে আমেরিকার মেয়েদের একটি বিরাট অংশ যারা হাইস্কুল শেষ করে নাই এবং গৃহবধূ, তারা হিলারিকে ভোট না দিয়ে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। এদের অনেকে ভোটই দিত না। এবার দিয়েছে। একদল মেয়ে মিছিল করে অথচ আরেকদল মেয়েরা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে।
প্রশ্ন হলো, যে দেশটি মানুষের অধিকার, তাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে দুনিয়া ব্যাপী বড়াই করে, তার এরকম দৈন্যদশা কেন? তাদের দেশে নারী স্বাধীনতা নিয়ে হামবড়ার অন্ত নাই। তাহলে নারীরা আজ মিছিল করে কেন?
এর কারণ হলো, দেশটির মিডিয়া সারা দুনিয়াতে যা শোনায় ও দেখায় তার সাথে তাদের সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার তফাৎ আছে।
আমেরিকার ২২% মেয়ে তাদের জীবনে গৃহে নির্যাতন এবং তার অনুমতির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌনমিলনে বাধ্য হয়। প্রতি ৭ জনে একজন ধর্ষিত হয়, যা ১৪% এর বেশি। প্রতি ৬ জনে একজন হয়রানী বা উত্যক্ত হয়, যা ১৬% এর বেশি। নেটিভ ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠী ও আলাস্কাতে ৬০% নারী নির্যাতিত হয়।
১৯৬০ সালে আমেরিকায় অপরাধের হার যা ছিল সেখান থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বেড়ে এখন আবার কমছে। বর্তমানে আমেরিকায় অপরাধের হার ১৯৬০ সালের মতো। কেবল রাশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দাংগা আক্রান্ত দেশ বাদ দিলে উন্নত বিশ্বে আমেরিকাতে ফৌজদারী অপরাধ সর্বোচ্চ।
আমেরিকাতে বাড়িতে বন্দুক রাখতে লাইসেন্স লাগে না এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে গুলি করে মেরে ফেললে তেমন কোন শাস্তি হয় না।
এই দেশে ট্রাম্প সাহেব রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, তাকে মোবারকবাদ। তারই যোগ্যতা আছে এই রাষ্ট্র পরিচালনার।
সক্রেটিস বলেছিলেন, একদল মেষ তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দশাসই মেষটিকেই তাদের নেতা বানাবে। গাধা হলে সেরা গাধাটি হবে গাধাকুল শিরোমনি। সেটাই স্বাভাবিক।
লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
বিডি প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৭/ সালাহ উদ্দীন