যে কাজ করে তার ভুল হয়। যে কাজ করেনা তার কোনো ভুল নেই। অনেক প্রচলিত পুরাতন কথা। এরপরও আমরা শিখি না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দিনরাত দেশের জন্য কাজ করেন। দেশের জনগণের অভাব, অভিযোগ, অনুযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলেন। এমন অনেক ক্ষুদ্র বিষয় আছে যেগুলো ওনার নিজের সম্পৃক্ত না হলেও চলে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে ঐসব কাজও ওনার নজরে নিয়ে এলে তিনি সমাধান করে দেন। একজন মানুষ একটি উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আর আমরা কি করছি, পান থেকে চুন খসলেই দেশ গেলো, জাত গেলো বলে চিৎকার করছি। অনেক সময় না জেনে না বুঝেও ওনার চীর শত্রু রূপে আবির্ভূত হচ্ছি। মোদ্দা কথা হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক হিসাবে অনেক কিছু জানার অধিকার আমার আপনার আছে, সব কিছু জানতে চাওয়ার নেই। এমনও মনে করা উচিত না যে সবকিছু আপনাকে আমাকে জিজ্ঞেস করে রাষ্ট্রকে করতে হবে।
সারা বিশ্বে সমালোচকরা সরকার কিংবা রাষ্ট্রের সহায়ক শক্তি। সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেন। কিন্তু আমাদের সমালোচনার মান এতোই নিম্নমানের যে আমরা প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড়িয়ে যাই। আর যখন কারো প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড়াবেন তখন অন্যপক্ষ আপনাকে বন্ধু ভাববে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ফলাফল যা হবার তাই, যুদ্ধ হবে, নিজেদেরই শক্তি ক্ষয় হবে। এতে লাভ কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর।
নিজেকে যদি প্রগতির শক্তির অংশীদার ভাবেন, তাহলে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রেখে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। এদেশের অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করে, নারীর ক্ষমতায়ন করে প্রগতির পথে এগিয়ে নিতে যত সংগ্রাম তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। ওনার সম্পৃক্ততা ছাড়া সব আন্দোলন যে মাঠের ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয় তা এই দেশে বহুবার প্রমাণিত।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন তিনি সকলের প্রধানমন্ত্রী। কোনো গোষ্ঠীকে অবহেলার মধ্যে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। শতভাগ শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলে সম্ভব নয়।
তিনি আরেকটা কথা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই আদর্শের সঙ্গে আপোষ করেনা।
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)