আবারও ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সবকটি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে তীব্র স্রোতে ভাঙতে শুরু করেছে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও শহর। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নদীতীরে বসবাসকারী ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয়রা জানান, ভাঙনে সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি, প্রায় দুই হাজার বিঘা ফসলি জমি, একটি মসজিদ, চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে ৩ শতাধিক বাড়িঘর, পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রায় ৩ হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, ১৫ দিনের ভাঙনে তার ইউনিয়নের ১, ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর বাতাসমোড়, বৌদ্দনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাতাসমোড় হাটবাজার, নারায়ণপুর বাতাসমোড় কমিউনিটি ক্লিনিক, ফিল্ডবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় একশ বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি।