১৮ হাজার দ্বীপ, ৩ শতাধিক জাতি-গোষ্ঠী আর ২৬ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া। জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ ভাগ ইসলাম ধর্মালম্বী। কাজের প্রয়োজনে বা স্থায়ীভাবে একই দ্বীপের কোন শহর বা ভিন্ন কোন দ্বীপে বসবাস করাটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের বড় একটি অংশ ঈদুল-ফিতরের ছুটিতে আদি-পুরুষের ভিটেমাটি সফর করে থাকে- যা মুদিক নামে পরিচিত। চীনের নববর্ষ ছুটির পর বর্তমান বিশ্বে এই মুদিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ স্থান পরিবর্তন করে থাকে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে ও পরে এ যাত্রা চলতে থাকে।
২০১৬ সালে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি ইন্দোনেশিয়ান এই মুদিক যাত্রা করেছিল। এদের প্রায় ৫০ লক্ষাধিক আকাশপথে ভ্রমণ করেছিল। বাদ-বাকিরা সড়ক, রেল বা সুমদ্রপথে যাত্রা সমাপ্ত করেছিল।
দ্বীপান্তর যাত্রায় রেল বা সড়ক পথে ভ্রমণের সুযোগ নেই। তবে কাছাকাছি দ্বীপগুলোর মধ্যে ফেরিতে যানবাহন পারাপারের সুবিধা রয়েছে। সড়কপথে বাস ভ্রমণে এদের অনীহা রয়েছে। নিজের যানবাহনে ভ্রমণ করাটাই এদের পছন্দের।
বিগত বছরে প্রায় এক কোটি মানুষ ব্যক্তিগত মোটর গাড়িতে ভ্রমণ করেছে। মহাসড়কগুলোতে কখনই মোটর সাইকেল চলাচল করতে দেয়া হয় না। দুর্ঘটনা রোধে সরকার ফ্রি বাস-যাত্রার পাশাপাশি মোটর সাইকেল পৌঁছে দেয়ার সুযোগ প্রদানের পরেও, বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে প্রায় ৬৫ লক্ষাধিক মোটর-বাইক মুদিক ভ্রমণ সমাপ্ত করেছে।
আর সপ্তাহ-খানেক পরেই মুদিকের প্রস্তুতি শুরু হবে। এ বছর প্রায় চার কোটি ইন্দোনেশিয়ান মুদিক যাত্রায় শরিক হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।#মুদিক #ওন্ডারফুল ইন্দোনেশিয়া
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/১০ জুন, ২০১৭/ফারজানা