কমবেশি দুর্নীতি সব দেশেই আছে। দুর্নীতির প্রতিকার হয় কী না- সেটাই মুখ্য বিষয়। কিছু দুর্নীতি তৃণমূল পর্যায়ে হয়, কিছু দুর্নীতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলে হয়। আমাদের দেশেও সিমেন্স কেলেঙ্কারি, নাইকো কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রমাণিত এবং সবার জানা। ইদানিং শুনছি বালিশ এবং হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারির কথা।
তবে দুর্নীতির এই বিষয়গুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যেমন সিমেন্স কেলেঙ্কারিতে তারেক রহমান- কোকো রহমানদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সিঙ্গাপুর- যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ইতিমধ্যে প্রমাণিত। দুর্নীতি প্রমাণ করতে এফবিআইকেও সম্পৃক্ত হতে হয়েছিল। নাইকোর কেলেঙ্কারিতে বেগম জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কানাডার আদালত। সেখানে আপিল করেও তারা হেরেছেন।
আর বালিশ কিংবা পর্দা কেলেঙ্কারির বিষয়টি সংগঠিত হবার অপচেষ্টা হয়েছে নিচের দিকে অর্থাৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তা লেভেলে। যখন শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ও সচিবদের কাছে বিষয়টি ধরা খেয়েছে তখনই তারা আটকে দিয়েছেন। তারা দুর্নীতি সংগঠিত হতে দেননি। তারা চেয়েছেন বলেই জাতি এটা জানতে পেরেছেন। মন্ত্রী-সচিবরা দুর্নীতিবাজ হলেই ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চুপ থাকতে পারতেন।
যদি মন্ত্রী-সচিবরা না চাইতেন তাহলে দেশবাসী তা জানতেও পারতো না, সিমেন্স- নাইকো কেলেঙ্কারির মতো বিদেশের আদালতে গিয়ে দুর্নীতি খুঁজতে হতো। আর এখন দেশের মাটিতেই তা ধরা পড়ছে।
দুর্নীতিবাজদের ধরা পড়ার বিষয়টিই প্রমাণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার যে জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা