২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৩:০৭

এদের ধরবে সেই সাধ্য কার?

আলী রিয়াজ

এদের ধরবে সেই সাধ্য কার?

আলী রিয়াজ

অবৈধ জুয়া খেলা নিয়ে এখন সারাদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা, উত্তেজনা। ক্যাসিনো থেকে স্পা, বাড়িঘর থেকে ক্লাব কিছুই বাকি থাকছে না যেখানে বস্তা বস্তা টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। ধরপাকড় - চুনোপুটিদের ওপর দিয়েই যাচ্ছে, রাঘব বোয়ালরা কোথায় কে জানে।

কিন্তু জুয়া কি কেবল অবৈধ ক্যাসিনোয় খেলা হয়েছে বা হচ্ছে? পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাকের ডগায়, চোখের সামনে কী করে এইসব করেছে সেই প্রশ্ন করছেন অনেকেই। কিন্তু এর চেয়ে বড় জুয়া খেলা যে আমার-আপনার নাকের ডগায় চলছে, বৈধভাবেই - তার কী হবে? এই বৈধ জুয়া খেলা চলছে ক্যাসিনোতে নয়, ব্যাংকিং খাতে। বিশ্বাস না হলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আইএমএফ -এর ৬৯ পৃষ্ঠার রিপোর্টের খবর পড়তে পারেন।

ডেইলি স্টারের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সরকার এতদিন খেলাপি ঋণের যে হিসেব দিয়েছে আসলে খেলাপি ঋণ তার দ্বিগুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এতদিনের হিসেব ছিল খেলাপি ঋণ ১১২,৪২৫ কোটি টাকা; আই এম এফ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবপত্র ঘেঁটে বলছে এর পরিমাণ হচ্ছে ২৪০,১৫৭ কোটি টাকা। এও এক ধরণের জুয়া খেলাই বটে। হিসেবের এই পার্থক্যটা হচ্ছে এই কারণে যে, অনেক কার্যত খেলাপি ঋণকে বিভিন্ন নামে সাজানো হয়েছে। সরকারের হিসেব অনুযায়ী খেলাপি ঋণ মোট ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ; বাস্তবে তা ২২ শতাংশের ওপরে। ব্যাংক নামের ক্যাসিনো থেকে যারা এই টাকা নিয়ে গেছেন তারা তা লুকিয়ে তো করেননি; আমার-আপনার সামনেই করেছে। এরা চুনোপুটি তো নয়ই, এমনকি রাঘব-বোয়ালও নয় -রীতি মতো হাঙর মাছ। এদের ধরবে সেই সাধ্য কার?

লেখক : অধ্যাপক, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

সর্বশেষ খবর