৩০ জুলাই, ২০২২ ১১:৫০

‘এই সব মোল্লাগিরি রবীন্দ্র-নজরুল চর্চায় বেশি ক্ষতি করেছে’

ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল

‘এই সব মোল্লাগিরি রবীন্দ্র-নজরুল চর্চায় বেশি ক্ষতি করেছে’

ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল

একবার কোনো এক অনুষ্ঠানে আমি একটি বাউল অঙ্গের রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছিলাম সামান্য একটু চড়া স্কেলে। সি শার্প বা ডি তে। উপস্থিত শ্রোতারা গান ভাল লেগেছে বলে কমপ্লিমেন্ট দিলেন। আরও গাইতে বললেন। অনুষ্ঠান শেষেও অনেকে প্রশংসা করলেন।

একজন সিনিয়র শিল্পী (তিনি বাংলাদেশ বেতারের সংগীত পরিচালকও বটে) এসে বললেন আপনি গানটা এত চড়া স্কেলে কেন গাইলেন? রবীন্দ্র সংগীত এই স্কেলে গাওয়া ঠিক না।

আমি বললাম আমার গলায় তো যায়। আমি কি কোথাও ডিসটিউন ছিলাম?

উনি বললেন, তা গেছে। ডিসটিউনও বিষয় না। শুনতে ভাল লাগে না। অত চড়া স্কেলে গাওয়া ঠিক না।

ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলের গান গাইতে গিয়ে এ জাতীয় বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি এমন শিল্পী পাওয়া যাবে না। আমি সমালোচনা নিতে পারি না বিষয়টা তা নয়। এটা যে সমালোচনা নয়, বরং অহেতুক মৌলবাদ সেটা বুঝতে পেরেই বিরক্ত ছিলাম। এই সব মোল্লাগিরি রবীন্দ্র-নজরুল চর্চায় অনেক বেশি ক্ষতি করেছে। করেই যাচ্ছে।

শ্রদ্ধেয় সুবীর নন্দী এক সময় নজরুল সংগীত গাইতেন। একবার এক ঘরোয়া আড্ডায় আমাকে বলেছিলেন, প্রতিবার বেতারে নজরুল সংগীত গাওয়ার পর কিছু সিনিয়র শিল্পী উনাকে নানাভাবে বিরক্ত করতেন। সুর ঠিক হয়নি, স্কেল নির্বাচন ঠিক হয়নি ইত্যাদি। এরপর থেকে রাগ করে উনি নজরুল সংগীত গাওয়াই বাদ দিলেন। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে তিনি কিছু নজরুল সংগীত রেকর্ড করেছিলেন। স্পেল বাউন্ড হয়ে সেসব গান শুনি। আহা কি সুর! কি ওস্তাদী!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর