মঙ্গলে পাড়ি জমানোর স্বপ্নে একধাপ এগিয়ে গেল নাসা। আকাশে ওড়ালো ‘উড়ন্ত চাকতি’। নাসার ভাষায় ‘উড়ন্ত চাকতি’ মানে ‘ফ্লাইয়িং সসার’। দেখতে চাকতির মতো এবং মহাকাশে সুপারসনিক গতিতে উড়তে সক্ষম এ ফ্লাইয়িং সসারকে ‘উড়ন্ত চাকতি’ বলে অভিহিত করা যায়। একটি হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে যুক্ত করে উড়ন্ত চাকতিটি পাঠানো হয় পৃথিবীর শুষ্ক বায়ুমণ্ডলে। মঙ্গলে এ ধরনের মহাকাশ যান পাঠানোর আগে গত শনিবার পৃথিবীতে তা পরীক্ষা করে নেওয়া হলো।
নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ প্রযুক্তি মঙ্গলপৃষ্ঠে মানুষের অবতরণের অভিযানে বিরাট অবদান রাখবে। আশা করা হচ্ছে, একদিন এ প্রযুক্তির সাহায্যে মঙ্গল পৃষ্ঠে ভারী মহাকাশযান, এমনকি মানুষও বহন করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে!
তবে নাসার উড়ন্ত চাকতির প্রাযুক্তিক পরীক্ষা প্রথমবার পুরোপুরি সফল হয়নি। হিলামিয়াম বেলুন অর্থাৎ যে প্যারাস্যুটটির সঙ্গে চাকতিটি যুক্ত ছিল সেটি ঠিকঠাক কাজ করেনি। এর পরও চাকতিটি ভূপৃষ্ঠের ১ লাখ ২০ হাজার ফুট (২৩ মাইল) ওপরে যেতে সক্ষম হয়।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাউয়াই দ্বীপের ‘নো-ফ্লাই জোনে’ চাকতিটিকে উড্ডয়ন করানো হয়। উড্ডয়নের এ দৃশ্য অনেকেই সরাসরি দেখেছেন। চাকতিটি ভূপৃষ্ঠের ২৩ মাইল ওপরে উঠে কয়েক মুহূর্তে ব্যবধানে তা আবার মাটিতে ফিরে আসে। মাটিতে ফেরার সময় এর গতি ধীরে ধীরে কমে যায়।
উড়ন্ত চাকতির এ পরীক্ষায় নাসার খরচ হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শতভাগ সফল না হলেও মঙ্গলে অবতরণের জন্য এ প্রযুক্তির ওপরই ভরসা করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। কারণ এ প্রযুক্তিতেই ১৯৭৬ সালে ‘ভাইকিং’ মহাকাশযান লাল গ্রহের পৃষ্ঠে অবতরণ করাতে সক্ষম হন সে সময়কার মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল, বিবিসি অনলাইন।