পঞ্চগড়ে এ বছর লটকনের ব্যাপক ফলন হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাগানভিত্তিক ও সৌখিন লটকন চাষে আগ্রহের কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে লটকন ফলের বাগান, বদলে যাচ্ছে চাষিদের ভাগ্যের চাকা।
পঞ্চগড়ে উৎপাদিত লটকন সুস্বাদু ও ফলের আকার বড় হওয়ায় এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে জানা গেছে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন প্রচুর লটকন নিয়ে যাচ্ছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে প্রায় ১৪ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ হয়েছে। সৌখিন চাষি ছাড়াও প্রায় শতাধিক বাগান গড়ে উঠেছে। প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৮ টন ও একটি গাছে ৫ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত লটকন উৎপাদিত হচ্ছে।
এত ফলন হওয়ার অন্যতম কারণ এই জেলার মাটি লটকন চাষের উপযোগী। এখানকার মাটিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও খনিজ উপাদান থাকায় অধিক মিষ্টি ও সামান্য টক জাতীয় লটকন উৎপাদিত হচ্ছে বলে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
একজন ফল ব্যবসায়ী জানান, পঞ্চগড়ের লটকন সুস্বাদু ও আকারে বড় হয়। এই লটকন ঢাকা ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর চাহিদা।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবছর একটা করে বাগান কিনে নেই। এবারও নিয়েছি। খরচ বাদ দিয়ে লাখ খানেক টাকা আয় হয়।’
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, লটকন খাদ্যমানে ভরপুর। এতে ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, খনিজ লবণ ও অন্যান্য ভিটামিনও রয়েছে।