তাইওয়ানের বিখ্যাত ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ বা গভীর গিরিখাত দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। এ গিরিখাতটিকে আমেরিকার অ্যারিজোনা রাজ্যের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সাথে তুলনা করা হয়।
১৯৯৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এ ক্ষয়ের গতি আরও বেড়ে গেছে। তখন থেকে গিরিখাতটি যে গতিতে ক্ষয় হচ্ছে- সে সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর আর কোনো জায়গায় এত দ্রুত ক্ষয়ের ঘটনা ঘটেনি। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এভাবে ক্ষয় হতে থাকলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে থাইল্যান্ডের গিরিখাতটি।
থাইল্যান্ডের দান নদীর অববাহিকায় অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। নদীটি প্রায়ই ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয়। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ বার প্রচণ্ড ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্প এতটাই ভয়ঙ্কর হয় যে, একটি ভূমিকম্পের পর অপরটির স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। সে কারণে সেখানকার ফল্টলাইন (যার মাধ্যমে ভূমির গঠন দেখে ভূমিকম্প সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়) সম্পর্কে জানা যায় না। কিংবা জানা গেলেও তা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি ন্যাচার জিওসায়েন্স নামের একটি জার্নালে বিষয়টি সম্পর্কে প্রাপ্ত গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের ভূতত্ত্ববিদ ড. কৃস্টেন কুক জানান, এখানকার পরিবর্তনটি এত দ্রুত ঘটে যে, তা বোঝাই যায় না। আমরা কখনও তা দেখিনি। ১৯৯৯ সালের জিজি ভূমিকম্পের সময় ১০ মিটার উচ্চ ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়, যার ফলে দান নদীর তীরে এক কিলোমিটারের বাঁধ তৈরি হয়।
এ ছাড়া কুক ও তার সহকর্মী গিরিখাত ক্ষয়ের নতুন একটি বিষয় আবিষ্কার করেছেন, সেটি হলো (তাদের ভাষায়) ডাউনস্ট্রিম সুইপ। আর এই ডাউনস্ট্রিম সুইপের কারণে দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ডের ওই গিরিখাতটি।