সুমেরু বৃত্তের রেকর্ড বরফে চিন্তায় পড়ছেন বিজ্ঞানীরা, তবে আনন্দের শেষ নেই মেরু ভল্লুকসহ সুমেরুর অন্য বাসিন্দাদের৷
ছয় বছর আগে এমনই একদিনে ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসি-র এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আশঙ্কা করা হয়েছিল ২০১৪-র গ্রীষ্মে সুমেরু বৃত্তে পাওয়া যাবে না একটুকরো বরফও৷ কিন্তু পরিবেশবিদদের সব হিসাব ভুল প্রমাণ করে ২০১২ পর্যন্ত সুমেরুবৃত্তে আশঙ্কাজনক ভাবে কমতে থাকা বরফের পরিমাণ ২০১৪ সালে এসে প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷
এমন হাড় কাঁপানো গরম গত কয়েক দশকে দেখেনি সুমেরুবৃত্তের বাসিন্দারা৷ কার্বন ডাই অক্সাইডসহ একাধিক গ্রিনহাউস গ্যাসের দৌরাত্ম্যে উত্তর মেরুকে এক রকম 'ডেথ সার্টিফিকেট ' লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ এই অঞ্চলের বরফের সবটা গলে গেলে পৃথিবীর সমুদ্রতল কত ফুট বাড়বে এবং তার ফলে কোন কোন অঞ্চলগুলি ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকবে তারও মোটামুটি হিসাব করে ফেলেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷
সবচেয়ে বড় কথা, শ্বেত ভাল্লুক, মেরু শৃগালসহ আরও কত প্রজাতির জীবের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে তা নিয়েও প্রচুর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে৷ কিন্তু 'শেষের সেই' গ্রীষ্মকাল যখন সত্যিই এল তখন বিজ্ঞানীদের চক্ষু চড়কগাছ৷ তাদের হিসাব বলছে গত দু'বছরে সুমেরুবৃত্তে বরফ আস্তরণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অন্তত ১০ লক্ষ বর্গমাইল এলাকায়৷
গরমে সুমেরু সংলগ্ন অঞ্চলের অবস্থা দেখার জন্য গিয়েছিলেন কয়েকদল অভিযাত্রী৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরফের বিপুল পাহাড় ভেদ করে বেশি দূর যেতে পারেননি তারা৷ একদল বিজ্ঞানী তো ভাবতে শুরু করেছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন নয়, পৃথিবী এবার হয়তো আরও একবার বিশ্ব শৈত্যের দিকে এগোতে চলেছে৷
গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বে যেভাবে পরিবেশ রক্ষার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার জন্যই প্রকৃতি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷