২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:২০

যশোরের গ্রামে গ্রামে ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরির ধুম

বেনাপোল প্রতিনিধি:

যশোরের গ্রামে গ্রামে ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরির ধুম

যশোরের গ্রামে গ্রামে ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরির ধুম পড়েছে। প্রতিবছর এ সময় গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতে এ বড়ি তৈরির রেওয়াজ রয়েছে। মাছ ঝোলে বা সবজির সাথে কুমড়ো বড়ি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার। 

বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুমড়ো বড়ি পাওয়া গেলেও চালকুমড়া অথবা মূলার সঙ্গে মাষকলাই ডাল মিশিয়ে তৈরি বড়ি স্থানীয়দের খুবই প্রিয়।

বড়ি তৈরির পদ্ধতি জানাতে গিয়ে উত্তর বারোপোতা গ্রামের গৃহবধূ শামীমা আক্তার বিউটি  বলেন, বড়ি দেওয়ার আগের দিন মাষকলাই ডাল (স্থানীয়দের ভাষায় বলে ঠিকরী কলাই) খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। সন্ধ্যায় চালকুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের নরম অংশ ফেলে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কুমড়ার পানি ঝরিয়ে নিতে কুমড়া মিহি করে কুরিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে সারারাত ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

পরদিন ভোরে ডালের পানি ছেঁকে মিহি করে বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পানি ঝরানো কুমড়ার সঙ্গে প্রায় সমপরিমাণ ডাল ও পরিমান মতো লবণ মেশাতে হয়। পরে কড়া রোদে পরিষ্কার কাপড়, চাটাই বা নেটের ওপর ছোট ছোট করে বড়ি দিতে হবে। এই বড়ি ভালো করে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায় বলে জানান শামীমা। 

তিনি বলেন, 'শীত না পড়লি বড়ি  ভালো হয় না। যত বেশি শীত পড়বে তত বড়ির স্বাদ হবে। খাতি ভালো লাগবে।'

শীত এলেই চালকুমড়া ও মাষকলাইয়ের ডাল দিয়ে বড়ি তৈরি করেন শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা। তিনি বলেন, বড়ি রোদে শুকিয়ে কৌটায় ভরে অনেক দিন রাখা যায়। তরকারিতে এ বড়ি দিলে খুব সুস্বাদু হয়। নতুন প্রজন্মের মেয়েরা এসব শিখতে কিংবা বড়ি তৈরি করতে আগ্রহী না। তারা এই রেওয়াজ থেকে যেভাবে পিছিয়ে পড়ছে, তাতে আগামীতে এটা হারিয়ে যাবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর