২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩৯

মানিকগঞ্জের মাটির পাতিলের চাহিদা দেশব্যাপি

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের মাটির পাতিলের চাহিদা দেশব্যাপি

মানিকগঞ্জের মাটির পাতিলের চাহিদা দেশব্যাপি

কালের বিবর্তনে প্লাস্টিক, সিরামিক, মেলামাইনের দাপটে হাড়িয়ে গিয়েছে মাটির তৈরী তৈজষপত্র। তবে দই'র জন্য এখনো টিকে আছে মানিকগঞ্জের মাটির পাতিল। 

তবে হাড়ি, পাতিল, ঢাকুন, কলস, পিঠা বানানোর সাঝসহ অন্যান্য সকল প্রকার মাটির তৈরী পণ্য অচল হয়ে পড়েছে। অন্য পণ্যের চাহিদা না থাকলেও দই তৈরীর পাতিলের চাহিদা কমেনি। তাই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্বসানবান্ধা এলাকায় এই পাতিল তৈরীর কার্যক্রম আগের মতই আছে।। এলাকার প্রায় ৮০টি পাল পরিবার শুধু মাটি দিয়ে দই'র পাত্র তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি পরিবারের নারীপুরুষ সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি পরিবারের শিশুরাও লেখাপড়ার পাশাপাশি মা-বাবাকে কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। কাজের ফাঁকে সুবোধ পাল বলেন, করোনায় কাজ একেবারে বন্ধ ছিল। এখন আবার মালের চাহিদা হয়েছে তাই সকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বউ বাচ্চা নিয়ে কাজ করছি। আগে কুপি, কলস, ঢাকুন, থালা, পুতুল,হাতি-ঘোড়া থেকে শুরু করে শত শত জিনিস তৈরী হতো। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র দই'র পাতিল তৈরী করছি। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এগুলি ঢাকা-চট্টগ্রামে বিক্রি হয়।

 সুবোধ পাল আরো বলেন, তবে মাটি থেকে শুরু করে লাকড়ি, খড়, রং শ্রমিক সকল কিছুর দাম বাড়ায় এখন আর আগের মতো লাভ হচ্ছে না। তাই সন্তানরা এ মাটির কাজ করতে চায় না। তারা বিভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছেন। 

মানিকগঞ্জের দই-মিষ্টি ব্যবসায়ী ও শহর বণিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান খান মিন্টু বলেন, অন্য কোন পাত্রে দই রাখলে বেশীক্ষণ মান ভাল থাকে না। তাই দই'র মান ঠিক রাখতে মাটির পাতিলের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। 

স্থানীয় ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, আগে এই পাল পরিবার হরেক রকম জিনিস তৈরী করতো। তবে অনেকেই এখন এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর