রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

পাকিস্তান জামায়াতের ওয়েবে শুধুই গোলাম আযম

পাকিস্তান জামায়াতের ওয়েবে শুধুই গোলাম আযম
যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযমের মৃত্যুতে পাকিস্তান থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যুর পর থেকেই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন প্রদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার করা হয়। শুক্রবার সিন্ধু, পাঞ্জাবের বিভিন্ন শহরে এবং ইসলামাবাদ ও করাচির বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা নামাজে জানাজার আয়োজন করে পাকিস্তান জামায়াত। গতকাল দিনভর ঢাকায় গোলাম আযমের নামাজে জানাজা ও দাফনের খবর মুহুর্মুহু প্রচার করে পাকিস্তান জামায়াতের বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইটগুলো। এর সঙ্গে প্রচার হতে থাকে পাকিস্তান জামায়াতের আমিরসহ অন্য নেতাদের বক্তব্য ও বিবৃতি। এসব বক্তব্যে গোলাম আযমকে ইসলামের কাণ্ডারি উল্লেখ করে জামায়াত নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অবৈধ শাস্তি’ দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বকে এখনই এগিয়ে আসতে বলেছে পাকিস্তান জামায়াত।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় গোলাম আযমের মৃত্যু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই পাকিস্তান থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে গায়েবানা জানাজার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দেন পাকিস্তান জামায়াতের আমির সিরাজুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠিয়েছে কারণ তিনি ভারতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চেয়েছিলেন। এখন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতাদের যেসব ‘অবৈধ শাস্তি’র ব্যবস্থা করা হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বের এগিয়ে আসা কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার ইসলামাবাদে জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজায় সিরাজুল হকই ইমামতি করেন। এর পর থেকেই তার এবং দলের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রচার হয় দলের বিভিন্ন বিবৃতি। মৃত্যুর পর পরই সিরাজুল হক বলেন, ‘গোলাম আযমের মৃত্যু মুসলিম উম্মাহর জন্য বিরাট ক্ষতি (ট্র্যাজিক লস)। তিনি (গোলাম আযম) ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মহান ইসলামি নেতা ছিলেন। ইসলামের প্রতি ভালোবাসার জন্যই হাসিনা ওয়াজেদ তাকে কারাগারে ঢুকিয়েছেন।’
আমির সিরাজুল হক ছাড়াও পাকিস্তান জামায়াতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দুই দিন ধরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় গোলাম আযমকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এতে গোলাম আযমের ছবির পাশাপাশি পাকিস্তানের বিভিন্ন নেতার ছবি দিয়ে উর্দু ভাষায় বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। এর একটিতে ভিডিও আছে। দীর্ঘ ভিডিওতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন সময়ে ইসলামপন্থি দলগুলোর সংঘর্ষের চিত্রগুলো স্থান পেয়েছে। এর মাধ্যমে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে সরকারের হাতে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছেন। গোলাম আযম ও কাদের মোল্লার ছবি আরেকটি পোস্টে ব্যবহার করে বলা হয়েছে- তারাও মুসলমান হওয়ায় মৃত্যুর মুখোমুখি হলেন। ওয়েবসাইটে।

সর্বশেষ খবর