সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আহতদের পাশে বাংলাদেশিরা

লুৎফর রহমান বাবু, প্যারিস থেকে

আহতদের পাশে বাংলাদেশিরা

প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। এরই মধ্যে কমিউনিটির লোকেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে রক্তদাতা সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।

শুক্রবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সমগ্র ফ্রান্সজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে আছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির জনগণও। নৃশংস ওই হামলায় শুক্রবার অন্তত ১২৯ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিক হিসাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম নিহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক বলে জানায়। ওই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩৬২ জনের মধ্যে ৯৯ জনের অবস্থা গুরুতর। প্যারিসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, হামলার পর থেকে তারা আতঙ্কে কাজে বের হতে পারছেন না। শুধু বাংলাদেশিই নন, না পারতে কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে কিছু মিডিয়া বাংলাদেশিদের নিয়ে ভুল বার্তা দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তাদের। কমিউনিটির নেতারা বলেন, জঙ্গি হামলার পর কীভাবে হতাহতদের পাশে দাঁড়ানো যায় তা নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। রক্ত সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশি-বিদেশি অনেক মিডিয়া বাংলাদেশিদের নিয়ে ভুল বার্তা দিচ্ছে। ‘বাংলাদেশকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে’; ‘সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে প্যারিসের বাংলাদেশিদের’- এমন নানা শিরোনামে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটা চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করছে। এদিকে হামলার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিবৃতিতে আইএসের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অভিযান অব্যাহত থাকলে দেশটি শীর্ষ টার্গেটেই থাকবে বলে হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। বিবৃতিটি ১৪ নভেম্বর অনলাইনে পোস্ট করা হয়। শুধু তাই নয় প্যারিসে তাণ্ডব চালানো প্রথম হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের এক সংসদ সদস্য। ইসমাঈল ওমর মোস্তেফাই নামে ২৯ বছর বয়সী ওই হামলাকারী আলজেরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। ২০১২ সাল থেকে তিনি প্যারিসের ৯৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে শাত্রেঁ শহরে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছেন মেয়র জঁ-পিয়েরে জর্জ। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মোস্তেফাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তিনি বহুবার সিরিয়া ভ্রমণ করছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর