বুধবার, ১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে আসলাম চৌধুরী

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশান থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবদুল্লাহ আবু ও তাপস কুমার পাল রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর প্রচেষ্টায় নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা ও বোমাবাজির সঙ্গে আসামি আসলাম চৌধুরীর যোগসূত্র রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, ইকবাল হোসেন ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ আদালতকে বলেন, কেবল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ছবির ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা আইনের অপব্যবহার। ব্যবসায়ী আসলাম চৌধুরী দাওয়াত পেয়ে ভারতের এক অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির ওই নেতার সঙ্গে তার দেখা হয়। তাদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কী কথা হয়েছিল তা তো রাষ্ট্রপক্ষ এখানে বলতে পারছে না। এদিকে মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৬ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছিল, সম্প্রতি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেন আসলাম চৌধুরী। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের সরকার উত্খাত করাই ছিল এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর একত্রে ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। গণমাধ্যমে এসব বৈঠকের ছবি ও খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা একে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।

সর্বশেষ খবর